না.গঞ্জে মহাসপ্তমীতে মন্ডপে মন্ডপে ভক্তদের পুষ্পাঞ্জলি
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ষষ্ঠীপূজার মধ্যদিয়ে শুরু হয়। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জে মন্ডপে মন্ডপে ভক্তদের পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে মহাসপ্তমী পূজা শুরু হয়েছে।
সকাল ছয়টা ১০ মিনিটে থেকে মহাসপ্তমীর পূজা অনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। যা সকাল ১১ টায় এসে শেষ হয়। চন্ডী ও মন্ত্রপাঠের মাধ্যমে পূজা, দেবী-দর্শন, দেবীর পায়ে ভক্তদের অঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ গ্রহণের মাধ্যমে দিনব্যাপী চলবে পূজার আনুষ্ঠানিকতা।
বৃহস্পতিবার নগরীর বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, শারদীয় দূর্গোৎসবের দ্বিতীয় দিনে মণ্ডপে মণ্ডপে নেমেছে ভক্তদের ঢল। শঙ্গ, ঢাক, কাঁসর, ঘণ্টা ও উলুধ্বনিতে মুখরিত হচ্ছে প্রতিটি মণ্ডপ। বিভিন্ন কারুকাজ, শিল্পীদের রংতুলির ছোঁয়ায় রাঙানো হয়েছে প্রতিটি মন্ডপ। সেই সাথে সুন্দর আলোকসজ্জায় উৎসবের আমেজ আরও রঙিন হয়েছে। বর্ণিল সাজসজ্জা, হইচই আর মহা ধুমধামের যেন শেষ নেই। প্রতিটি পূজাস্থলে চলছে চন্ডী পাঠ। ভক্তদের পূজা- আর্চনা, দেবী-দর্শন, দেবীর পায়ে ভক্তদের পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ গ্রহণের মাধ্যমে দিনব্যাপী চলবে পূজার আনুষ্ঠানিকতা। সকালে পূজার জন্য মন্ডপে ভিড় দেখা যায়। তবে বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলবে প্রতিমা দর্শন। সে সময় ভোক্তাদের ভিড় বেড়ে যাবে কয়েক গুণ। ঘরের আদরের শিশু থেকে নিয়ে ঠাকুরমা সবাই আসছেন প্রতিমা দর্শনে।
সনাতনী শাস্ত্র অনুযায়ী, ভক্তদের কষ্ট দূর করতে দেবী দূর্গা এসেছেন দোলায় বা পালকিতে চড়ে, আর বিজয়া দশমীর দিন ঘোটকে বা ঘোড়ায় মর্ত্যলোক ছেড়ে কৈলাসে চলে যাবেন। এ বছর দেবী দুর্গার আগমন হবে দোলায় বা পালকিতে। পালকি বা দোলায় দেবীর আগমন বা গমন হলে এর ফল হয় মড়ক। খাদ্যশস্যে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ হবে ও রোগব্যাধি বাড়বে। এছাড়া দেবী স্বর্গে গমন করবেন ঘোটকে বা ঘোড়ায়। শাস্ত্রমতে দেবীর গমন বা আগমন ঘোটকে হলে ফলাফল ছত্রভঙ্গ হয়। সেই নিরিখে ২০২৪ সালে দেবীর গমন ঘোড়ায় হওয়ার জেরে ফলাফল ছত্রভঙ্গ হতে পারে। শাস্ত্রমতে এই ঘোটকে গমনের ফলে সামাজিক ও রাজনৈতিক এলোমেলো অবস্থাকে ইঙ্গিত করে।
এদিকে, শুক্রবার মহাঅষ্টমী ও শনিবার অনুষ্ঠিত হবে মহানবমীর পূজা। পঞ্জিকা মতে, এবার মহানবমী পূজার পরই রবিবার দশমী বিহিত পূজা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর মহালয়ার মাধ্যমে দেবীপক্ষ ও শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্নের শুরু হয়।