শুক্রবার, মার্চ ১৪, ২০২৫
Led04স্বাস্থ্য

না.গঞ্জে ভিটামিন এ ক্যাপসুল পাবে প্রায় ৫ লাখ শিশু

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সের ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৮৮ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্প্রতি জেলা সিভিল সার্জন ও সিটি কর্পোরেশেনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো ।

ষংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, ‘নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮২ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্দ্যেগ নেওয়া হয়েছে। ৬-১১ মাস বয়সী ২৪ হাজার ১৬৭ জন ও ১২-৫৯ মাস বয়সী ১ লাখ ৯ হাজার ৮১৫ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এছাড়াও সিটি কর্পোরেশন ব্যাতিত জেলার ৫টি উপজেলায় ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৩ লাখ ৪০ হাজার ৫০৬ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে। ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৪২ হাজার ২৯৪ জন শিশুকে নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২ লাখ ৯৮ হাজার ২১২ শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

এনসিসি এলাকায় মোট ৩৪০টি কেন্দ্রে কেন্দ্রে ২ জন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মী শিক্ষক ও স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে এ ক্যাম্পেইন কার্যক্রম বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ৫টি উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র ১ হাজার ৫৬টি, প্রতি কেন্দ্রে মোট ৩ জন (স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মীসহ) শিক্ষক ও স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রম বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেডিকেল অফিসার ডা. নাফিয়া ইসলাম বলেন, যেসব শিশুরা ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন চলাকালিন টিকা খেতে পারবে না তারা পরবর্তী সাত কার্য দিবসের মধ্যে ইপিআই টিকা দান কেন্দ্রে শিশুকে টিকা খাওয়াতে পারবেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. মুশিউর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, ২০১০ সাল থেকে নিয়মিতভাবে বছরে দুইবার ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখার ফলে বর্তমানে ভিটামিন এ এর অভাবজনিত রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা শূন্য দশমিক শূন্য চার শতাংশে নেমে এসেছে। ক্যাপসুল নিরাপদ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার তেমন কোনো ঝুঁকি নেই।

RSS
Follow by Email