না.গঞ্জে বিআরটিএ চেয়ারম্যান ‘গাড়ির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে সমাধান অসম্ভব’
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি সংখ্যক যানবাহন রাস্তায় চলাচলের অনুমতি দেওয়া হলে সড়কের শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব নয়—এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, “আমি কেন, আমার মতো দশটা বিআরটিএর লোক আসলেও এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে না।”
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জে ‘গ্রীণ এন্ড ক্লীন নারায়ণগঞ্জ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে পেশাদার গাড়িচালক ও হেলপারদের বিশেষ প্রশিক্ষণ পরবর্তী ইউনিফর্ম প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, নারায়ণগঞ্জে বর্তমানে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার গাড়ি চলছে, যার ধারণক্ষমতা নেই। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, “এই গাড়ি রাখার জায়গা নাই।” তিনি আরও জানান, পৌরসভা থাকাকালীন এত চাহিদা সত্ত্বেও তিনি মাত্র ৫০০ ইজিবাইকের অনুমোদন দিয়েছিলেন, অথচ এখন চলছে প্রায় সাড়ে আটশ। যদি আরও বাড়াতে হয়, তবে “কিছুদিন পর আমি আপনি গাড়ি ঘোড়া গরু সব একসাথে চলব।”
যানজট নিরসনে কয়েকটি পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা বাইরে থেকে গাড়ি আমদানি করার জন্য চেষ্টা করছি।” একই সাথে, সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-কে আধুনিকীকরণের জন্য একটি খসড়া তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ নিজেকে জনগণের ‘খাদেম’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “এই ১৬ কোটি মানুষের ট্যাক্সের টাকায় আমার বেতন হয়।” তিনি চালকদের উদ্দেশে বলেন, “দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ, আর এটা আমাদের কর্মের মাধ্যমে দেখাতে হবে।”
তিনি আরও জানান, এখন থেকে আন্তর্জাতিক মানের ড্রাইভার ও ড্রাইভিং কোয়ালিটি নিশ্চিত করতে ৬০ ঘণ্টার এক্সটেনসিভ ট্রেনিং নিতে হবে। এর জন্য প্রশিক্ষণার্থীরা ১৮ হাজার টাকা করে পাবেন। বিআরটিএ পরীক্ষা নিয়ে যোগ্যদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেবে।