মঙ্গলবার, জানুয়ারি ৭, ২০২৫
Led01জেলাজুড়েবিশেষ প্রতিবেদন

না.গঞ্জে বাড়ছে গণপিটুনির প্রবণতা, ৩৫ দিনে নিহত ৪

#আইন কোনক্রমে হাতে তুলে নেওয়া যাবে না: পুলিশ সুপার

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে গণপিটুনির ঘটনা বেড়ে চলেছে। এলাকায় ‘চোর’ কিংবা ‘ডাকাত’ শব্দ শুনলেই উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছেন স্থানীয়রা। সন্দেহভাজন যুবককে পাকরাও করে তার উপর সকলে চড়াও হচ্ছেন। লাঠিসোটা কিংবা হাতের কাছে যা পাচ্ছে তা দিয়েই এলোপাথারিভাবে মারধর করা হচ্ছে। পরবর্তীতে মুমূর্ষু অবস্থায় আহত যুবকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পত্রিকায় এমন ঘটনা নিয়ে সংবাদ হরহামেশাই চোখে পড়ছে।

সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, নারায়ণগঞ্জে ১ ডিসেম্বর থেকে নিয়ে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ৪টি গণপিটুনির ঘটনায় চার জন নিহত হয়েছেন। এই চারটি নিহতের ঘটনা দুটি আড়াইহাজারের ও দুটি ফতুল্লার।

৪ জানুয়ারি দিবাগত রাতে আড়াইহাজার মাহমুদপুর ইউনিয়নের জোগারদিয়া এলাকায় ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে মকবুল হোসেন মুকুল (৪৫) নামে এক যুবক নিহত হন। পুলিশ জানায়, মকবুল হোসেন মুকুলের বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানায় ডাকাতিসহ ৫টি মামলা রয়েছে।

২৭ ডিসেম্বর ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে বিল্লাল (৪৫) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়। নিহত বিল্লাল আড়াইহাজার উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের নারান্দী গ্রামের মজিদের ছেলে। পুলিশ জানায়, বিল্লাল পেশাদার ডাকাত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

১৫ ডিসেম্বর ফতুল্লায় ছিনতাইকারী সন্দেহে কামরুল হাসান (২৪) নামে এক যুবককে গণপিটুনি দেয় এলাকাবাসী। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। নিহত কামরুল হাসান চাঁদপুর জেলার হাইমচর থানার পশ্চিম কৃষ্টপুর গ্রামের মাইনুদ্দিন পাটোয়ারীর ছেলে।

১ ডিসেম্বর ফতুল্লায় ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনিতে নাদিম (৩৩) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায়, ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার সময়ে গণপিটুনিতে আহত হয় নাদিম। পরে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এব্যাপারে পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, আইন কোনক্রমে হাতে তুলে নেওয়া যাবে না, এই বিষয়ে সকলকে সতর্ক হতে হবে। জনসাধারণকে আরও সচেতন হতে হবে।

RSS
Follow by Email