রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪
Led01অর্থনীতিসদর

না.গঞ্জে দুইদিনের ব্যবধানে পেয়াজের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ভারত রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পরই নারায়ণগঞ্জের বাজারে হু হু করে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। দুইদিনের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০০-১২০ টাকা। জেলার খুচরা বাজারে এখন এ পেঁয়াজের কেজি ২০০-২২০ টাকা। আর কেজিতে ৯০ টাকা বেড়ে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা। কেউ কেউ ২০০ টাকাও দাম হাঁকছেন।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের দিগুবাবুর বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, গত পরশু থেকে কিছুক্ষণ পর পরে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। গতকাল রাতে বাজারে যে দাম ছিল, বিকেলে তা কেজি প্রতি ৮০-১০০ টাকা বেড়ে গেছে। রাত নাগাদ বাজারে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে।

বাজারের পেয়াজ ব্যবসায়ী সিরাজ উদ্দিন বলেন, ভোরে মুন্সিগঞ্জ থেকে বহু কষ্টে এলসির (ভারতীয়) দুই মণ পেঁয়াজ এনেছি। আমি পাইকারিতে কিনেছি ৭ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে। আনতে খরচ পড়ছে ৪০০-৪৫০ টাকা। এখন ২০০ টাকা কেজি না বেচলে তো লস।

রাতারাতি পেঁয়াজের এমন দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। বাজারে এসে অনেকে পেঁয়াজ না কিনে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকে বাধ্য হয়ে গলাকাটা দামে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

বাজারে কথা হয় ক্রেতা সাইদুলের সঙ্গে। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, দুদিন আগেও দেশি পেঁয়াজ কিনলাম ১২০ টাকা করে। আজকে এসে দেখি সেটা ডাবল হয়ে গেছে। শুক্রবারও না কি ১২০ টাকা কেজি ছিল। রাতের মধ্যেই বেড়ে গেলো ১০০ টাকা। এটা কেমন কথা?

ক্রেতা সাইদুলের বক্তব্য অনুযায়ী, তার কাছে দেশি পেঁয়াজের কেজি ২২০ টাকা চাওয়া হয়েছে।

২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত। ৮ ডিসেম্বর এ আদেশ জারি করে দেশটির সরকার। এদিন বিকেলে নারায়ণগঞ্জের বাজারে এ খবর ছড়িয়ে পড়ে। এরপর রাতেই দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে ১৫০-১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল। আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ১২০-১৪০ টাকা কেজি। রাত পোহাতেই তা আরও এক দফা বাড়ে।

জানা গেছে, ভারতের বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে রপ্তানি বন্ধের পদক্ষেপ নেয় দেশটির ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি)। তবে পেঁয়াজ রপ্তানির জন্য যদি কোনো দেশ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ জানায়, তাহলে তা বিবেচনা করবে সংস্থাটি।

RSS
Follow by Email