না.গঞ্জে ঢিলেঢালায় পালন বিএনপির প্রথম দিনের অবরোধ, আটক ১৩
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: দ্বিতীয় দফায় বিএনপির ডাকা দুইদিনের অবরোধ কর্মসূচির প্রথমদিনে নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেছে দলটির নেতাকর্মীরা। তবে, অবরোধের পুরো দিন পুরো জেলায় যানবাহন চলাচল ছিলো স্বাভাবিক। পুলিশও ছিলো সতর্ক অবস্থানে। তাই তেমন কোন বড় ঘটনা ঘটেনি।
রবিবার (৫ নভেম্বর) সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের একাধিক স্থান, এশিয়ার হাইওয়ের মদনপুরে, ঢাকা-সিলের মহাসড়কের বান্টিবাজার এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণসহ গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের নির্দেশে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করে আগুল জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় আশেপাশে দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে মারে। একই সময়ে ককটেল বিস্ফোরণ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এসময় অবরোধকারী নেতাকর্মীরা সরকার বিরোধী নানা স্লোগান দেয়।
আরও জানা গেছে, মহানগর ছাত্রদলের নির্দেশে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মহাসড়কের শিরাইল এলাকায় এবং জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খায়রুল ইসলাম সজীবের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা এশিয়ান হাইওয়ের মদনপুর এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে কর্মসূচি পালন করেন। এছাড়া ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বান্টিবাজার এলাকায় অল্প সময়ের জন্য নেতাকর্মীরা জড় হয়ে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়। এছাড়া সিদ্ধিরগঞ্জের হাজীগঞ্জ বাজার এলাকায় ঝটিকা মিছিল ও অগ্নিসংযোগ করেছে মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা লাঠিসোটা নিয়ে মহড়া দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং একটি প্রাইভেটকারের জানালার কাঁচ ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই তারা পালিয়ে যায়।
এদিকে, দুপুর ১১টার দিকে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে অবরোধ সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আড়াইহাজার ও রূপগঞ্জ উপজেলায় অবরোধের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গ সার্কেল) মো. আবির হোসেন বলেন, আড়াইহাজার ও রূপগঞ্জ উপজেলায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বান্টিবাজার এলাকায় অবরোধকারীরা একত্রিত হওয়ার চেষ্টা করেছিল। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) চাইলাউ মারমা বলেন, জেলার অনেক স্থানে ৫-৭ জন মিলে হঠাৎ করে আগুন জ্বালিয়েছে। আবার পুলিশ দিয়ে তাদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দিয়েছে। আজকে সকাল পর্যন্ত ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এমনিতে বড় ধরনের কোন নাশকতার ঘটনা ঘটেনি।
ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন কোন ঘটনার তথ্য আমাদের জানা নেই।
এর আগে, শনিবার দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি যাত্রীবাহী ফাঁকা বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে পুরো বাস পুড়ে গেছে।