না.গঞ্জে ড. শফিকুল ‘আ.লীগ দেশ, দলের কর্মী ও জনগনের সাথে তামাশা করেছে’
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, আপনারা এমন নেতাদের পিছনে ঘুরলেন যারা দেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বললেন দল ও দেশের প্রতি আমাদের দায়িত্ব নাই। আমরা ধিক্কার জানাই যারা প্রাচীন দল হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেন। তারা এই রকম দেশ, দলের কর্মী এবং জনগনের সাথে তামাশা করেছেন।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের জেলা শিল্পাকলা একাডেমিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান বক্তা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. শফিক বলেন,শেখ হাসিনা দেশকে নিয়ে যে দায়িত্বহীন বক্তব্য দিয়েছেন। এই বক্তব্যের কারনে শুধু গনহত্যা নয় এই দেশ, এই সমাজ এবং এই পৃথিবী যতদিন থাকবে আপনারা আর কোন আদর্শ নিয়ে রাজীনীতি করতে পারবেন না। জনগনের সিদ্ধান্তেরও দরকার নেই। এই বক্তব্যের কারণে আদর্শিকভাবে এবং নৈতিকভাবে আপনারা আর এ দেশের মানুষের মাঝে উপস্থিত হতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, যখন এই আন্দোলনকে কোনভাবেই দমন করা যাচ্ছে না। তখন তারা যড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম এবং ছাত্র শিবির নিষিদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে। শেখ হাসিনা বিগত ১৫ বছর আমাদের কোন উপকার করতে পারে নাই। কিন্তু ১ আগষ্ট জামায়াত ইসলামকে নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে আপনি (শেখ হাসিনা) একটা উপকার করে দিয়ে গেলেন। এই ২০২৪ সালে নিষিদ্ধের মাধ্যমে এই আন্দোলনের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে জামায়াতকে আপনি চিহ্নিত করে দিয়েছেন। এটাই প্রমাণিত হয়েছে ছাত্র সমাজ জামায়াত ইসলাম এবং ছাত্র শিবিরকে বুকে ধারণ করে বিজয়ের পতাকা তারা উত্তীর্ণ করেছে।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, একটি সরকারে জামায়াতের তিনজন মন্ত্রী মন্ত্রণালয় পরিচালনা করেছিল। সেই সময়কার তথ্য এখনও টিআইবির কাছে আছে, সংসদে আছে, সাংবাদিকসহ সবার কাছে আছে। তারা হলেন জামায়াতের আমীর ও সেক্রেটারি মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ। তারা বলেছিলেন আমরা দুই টাকার দুর্নীতি করেছি প্রমাণ করতে পারলে শুধু এমপি বা মন্ত্রী পদ থেকে নয়, জামায়াতের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করবো। আজ পর্যন্ত তারা এগুলো প্রমাণ করতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জবাসীকে গত সাড়ে ১৫ বছর তারা অন্ধকারে নিমজ্জিত করে রেখেছিল। তারা বলেছিল কোন কিছুর দরকার হবে না, শুধু নারায়ণগঞ্জই যথেষ্ট। শুধু বলেছিল নেত্রী নির্দেশ দিলে এটা ওটা করে ফেলবো। আজ বলতে চাই আপনার নেত্রী এমন অপকর্ম করেছেন সেই নির্দেশ টুকু দেয়ার সময় পেলেন না। আপনারা কার পেছনে ঘুরেছেন। আপনারা এমন নেত্রীর পেছনে ঘুরেছেন যারা ৫ আগষ্ট দেশত্যাগ করে জানিয়ে দিল শুধু দল নয় ওই দেশের প্রতি তাদের কোন দায়িত্ব নেই। আমরা ধিক্কার জানাই, যারা প্রাচীন দল বলে নিজেকে পরিচয় দেন। এ দেশের মানুষকে নিয়ে যে দায়িত্বহীন বক্তব্য দিয়েছেন এর ফলে শুধু গণহত্যা হয়নি, আপনারা এ দেশে আর রাজনীতি করতে পারবেন না। দেশের প্রতি আপনাদের দায়িত্ব যেহেতু নেই, আপনারা নৈতিকভাবে আর রাজনীতি করতে পারবেন না।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর আমীরের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা মাঈনুদ্দিন আহমেদ, ঢাকা দক্ষিনের আমীর মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন, নারায়ণগঞ্জ জেলার আমীর মমিনুল হক সরকার, মহানগরী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মানয়োর হোসাইন,সহ সেক্রেটারি জামাল হোসাইন, কর্ম পরিষদের সদস্য হাফেজ নাসির উদ্দিন, নরিসিংদী জেলা আমীর মাওলানা মোসলেহ উদ্দিন, ইসলামী এডুকেশন সোসাইটির পরিচালক প্রিন্সিপাল ড. ইকবাল হোসাইন ভূইয়া,মহানগরী নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল কাইয়ূম,জেলা সেক্রেটারি জাকির হোসাইন, মহানগরী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি হাফেজ আবদুল মোমিন, ছাত্রশিবির মহানগরীর সভাপতি আসাদুজ্জামান রাকিব, সেক্রেটারি ইসমাঈল হোসাইন, মহানগর কর্ম পরিষদের সদস্য, থানা আমির, থানা সেক্রেটারী বৃন্দ।