না.গঞ্জে জুলাই আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেত্রীরা ‘নারীদের সরাসরি রাজনীতিতে আসার উচিত’
# শেখ হাসিনার বিচার মধ্য দিয়ে নারীদের রাজনৈতিক সুরতের সমাপ্তি ঘটবে: সামান্তা শারমিন
# দেশের জন্য কোনটা সঠিক সে সিদ্ধান্ত নারীরা নিতে পারবে: নুসরাত তাবাসসুম
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ও পরবর্তী রাজনৈতিক বন্দোবস্তে নারীদের অংশ গ্রহন শীর্ষক নারী সমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) নগরীর আলী আহম্মদ চুনকা নগর পাঠাগার ও মিলনায়তনে, জাতীয় নাগরিক কমিটি নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগ ওই নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় জাতীয় নাগরিক কমিটির নারী বিষয়ক সেলের সম্পাদক সাদিয়া ফারজানা দিনার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম, জাতীয় নাগরিক কমিটির শহীদ ও আহত কল্যান সেল সম্পাদক ডা. মাহমুদা মিতু, সংস্কৃতি বিষয়ক সেলের সন্পাদক তাজনূবা জাবীন, কেন্দ্রিয় সদস্য নাহিদা সারোয়ারসহ নেতৃবৃন্দ।
নারী সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের ও শেখ হাসিনার বিচার চাচ্ছি, তাঁকে দেশে প্রত্যাবতন করা হোক এবং শেখ হাসিনার বিচার করা হোক। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের নারীরা তার যে রাজনৈতীক সুরত সেটার সমাপ্তি ঘটাতে পারবে। সেটা অন্য মাত্রায় আমরা প্রবেশ করতে পারব। আমরা সে কারণে বিচারের কথা বলছি, আমরা সংস্কারের কথা বলছি। আমরা দেখতে পাচ্ছি এখনো উপদেষ্টা পরিষদে উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক নারী আমরা দেখতে পাচ্ছি না। যদি এমন হয় বিভিন্ন সেক্টরে নারীরা পিছিয়ে আছে তাহলে কি করলে নারীরা এখানে এগিয়ে আসতে পারবেন সে প্রদ্ধতি আমাদেরই বের করতে হবে।
তিনি বলেন, গত ৩টি অবৈধ নির্বাচনের পরে আবারো প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন হতে পারেনা। আরো একটি তথাকথিত নির্বাচন হতে পারেনা। অবশ্যই গণপরিষদ নির্বাচন হতে হবে। গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংবিধান পুনর্লিখিত হতে হবে। ক্যাম্পাসগুলোতে নতুন ধারার রাজনীতি চালু হয়েছে। আগামীতে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন হতে যাচ্ছে। নারীদের সিদ্ধান্ত গ্রহনের জায়গায় আসতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নুসরাত তাবাসসুম বলেন, আমাদের জন্য কঠিন সিদ্ধান্ত কী হয়। প্রতিদিন রাতে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হয় পরেরদিন সকালে কী রান্না হবে। বাড়ির পুরুষদের জিজ্ঞেস করবেন, তারা উত্তর দিতে পারবে না। তাহলে এসকল সিদ্ধান্ত নিতে পারলে পলিটিক্যাল ও দেশের সিদ্ধান্ত নেয়া তো এতটা কঠিন না। নারীরা বাচ্চারা কীভাবে পড়বে কোন কোচিংয়ে পড়বে সেটা নারীরা ঠিক করতে পারলে দেশের জন্য কোনটা সঠিক সে সিদ্ধান্তও নারীরা নিতে পারবে।
তিনি বলেন, আপনাদের যারা বাড়িতে আছে তাদের গিয়ে বলবেন এ কথাগুলো। ঘরে বসে বক্তব্য দিয়ে কাজ হয় না। কাজ হবে যখন আপনারা কথা বলবেন। রান্নাঘরে কাজ করতে করতেও আলেচনা করুন দেশ কোনদিকে যাচ্ছে তা নিয়ে। আপনারা সরাসরি রাজনীতিতে আসুন। এর মানে এই না আপনাকে নির্বাচন করতে হবে। ভোট দেয়াও একটি রাজনীতি।
তিনি আরও বলেন, নারীর একটি ভোট পুরুষেরও একটি ভোট। আপনার ভোট ও পুরুষের ভোটের সমান ক্ষমতা। আপনাদের জানার প্রয়োজন নেই যে আপনাদের বক্তব্য কেউ শুনছে না। আমরা জনমত করতে গিয়ে নারীদের মতামত সবচেয়ে বেশি পেয়েছি।
নূসরাত তাবাসসুম বলেন, একজন নারী যখন বলে আমি শেখ হাসিনার বিচার চাই। এটা অনেক বেশী শক্তিশালী একটি বক্তব্য। একজন নারী যদি বলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন করাবে সেটা অনেক শক্তিশালী। আপনারা যদি এভাবে বক্তব্য চালান তবে আপনারা আপনাদের অধিকার আদায় করে নিতে পারবেন।