না.গঞ্জে এসে সাকি, ‘মন্দিরে হামলা হলে লাভ হবে ফ্যাসিস্টদের’
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, এদেশের প্রতি ধর্মের ধর্মালম্বী মানুষ যার যার ধর্ম পালন করবে। এই যে সামনে দুর্গাপূজা হবে একটা মন্দিরও যদি হামলা হয় তাহলে কাদের হবে ? লাভ হবে ফ্যাসিস্টদের। যাদের পতন ঘটেছে তারা বিশ্বকে দেখাবে যে দেখ আজ হিন্দুরা কত অনিরাপদ। এরপর ভারতের মিডিয়ায় হিন্দুদের ওপর দিয়ে সারা পৃথিবীতে অপপ্রচার করবে। তারা বাংলাদেশকে একটি জঙ্গী রাষ্ট্র হিসাবে পরিচয় করাবে। মন্দিরে বা পাহাড়ের কোন চাকমা মারমা সাঁওতালের উপর হামলা করে তাহলে বুঝে নেবেন তারা পতিত ফ্যাসিস্টদের দোসর। আজ হিন্দু মন্দিরে, পাহাড়ে মাজারের উপর হামলা করা হয় সেগুলো হচ্ছে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। ভারতের উগ্র বিজেপি ও হিন্দুদের সাথে বাংলাদেশের পতিত ফ্যাসিস্টদের ষড়যন্ত্র। এদের টাকা খেয়ে হামলা গুলো হচ্ছে। সম্প্রীতি ছাড়া আমরা বাংলাদেশকে রক্ষা করতে পারবো না।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক গণসংলাপের আয়োজন করেছে গণসংহতি আন্দোলনের জেলা ও মহানগর কমিটি। এসময় গণসংলাপে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে যে ধর্মগুলো আছে সেখানে জবরদস্তি অনুমোদন কোন ধর্ম দেয় না। এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ ইসলাম ধর্ম আছে, ইসলামে কোন জবরদস্তি অনুমোদন করে না। যারা অন্যের ওপর জবরদস্তি করছে ধর্ম নিয়ে, পরিষ্কার বুঝতে হবে তাদের কোন রাজনৈতিক মতলব আছে। হয় সম্পত্তি দখল করবে আর না হয় কোন রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে। এদেশে নাগরিকরা যার যার ধর্ম পালন করবে এবং রাষ্ট্র সকলকে নাগরিক হিসেবে গণ্য করবে। বাংলাদেশে আরো ৭০ জাতের জাতেরা আছে তাদের সংখ্যা যত হোক, তাদের ও আপনার আমার নাগরিক অধিকার কম বেশি নয়। বাংলাদেশে এমন জায়গায় আমাদের প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, জুলাই আগস্টের অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের মানুষ কেন সফল হয়েছে? কারণ তারা ঐক্যবদ্ধ ছিল। ওই ঐক্যবদ্ধতা ভেঙে দেন তাহলে দেখবেন আবার আগের মত হয়ে গেছে। এখনই অনেকে মাথা ছাড়া দিচ্ছে। ফ্যাসিবাদের আবার আসে এমন যদি না চান তাহলে আপনাদের জনগণের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যে সত্যিই জনমানবের স্বার্থ থাকে সেই রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ঘটাতে হবে। যে শক্তি জনগণের সার্থক কথা বলবে সেই শক্তির শক্তি বৃদ্ধি করলেই জনগণের স্বার্থ রক্ষা জন্য জরুরী। গণতন্ত্র একটি সার্বক্ষণিক চর্চা সুরক্ষা এবং পাহারা দেওয়ার ব্যাপার। সেই জায়গায় জনগণকে পাহারাদার হিসেবে থাকতে হবে। এবং সেই জনগণের প্রতিনিধিত্ব থাকবে একটি দল। আমরা বলি গণসংহতি আন্দোলন বাংলাদেশের জনমানবের গণস্বার্থে কথা বলে। আমরা সেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছি, আসুন ঐক্যবদ্ধ হই। আমাদের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত লাগবে। আমাদের যে তরুণ ছাত্ররা ও অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারও বলছে এদেশে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত লাগবে। সেই বন্দোবস্ত হলো গণতান্ত্রিক বন্দোবস্ত। এই বন্দোবস্তের থাকবে বাংলাদেশের ১৮ কোটি নাগরিক। এরপর সে হিন্দু মুসলমান বৈধ না খ্রিস্টান সেটা রাষ্ট্র দেখবে না।