না.গঞ্জে এক কাতারে ধনী-গরিব, ছোট-বড় মিলে সম্পন্ন হলো মাগফিরাতের শেষ জুমা
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: পবিত্র রমজানের দ্বিতীয় দশক অর্থাৎ মাগফিরাতের ১০ দিন চলছে। দুনিয়ার সকল গোনাহগার মানুষের জন্য চিরস্থায়ী শান্তি ও মুক্তির দিশারী এ মাগফিরাতের দশক। এ দশকে বান্দার বান্দার ক্ষমা লাভ আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। এবারের মাগফিরাতের দশকে রহমতপূর্ণ দুটি জুমার দিন পড়েছে। এটি আল্লাহর নৈকট্য লাভে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য একটি বড় সুযোগ। আজ মাগফিরাত দশকের শেষ জুমা আদায় করেছেন মুসল্লিরা।
বিশেষ করে রোজার মাসের জুমার দিনগুলো আরো বেশি বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও ইবাদতে পরিপূর্ণ হওয়ার মতো সময়। রমজান মাস নিজেই অশেষ বরকত ও রহমতের মাস, আর এর মধ্যে শুক্রবার (জুমার দিন) হলে তা আরও বেশি ফজিলতপূর্ণ হয়ে যায়। ইসলাম ধর্মে শুক্রবারকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়, আর এই দিনের জুমার নামাজকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রমজানের সঙ্গে মিলিত হলে এটি দ্বিগুণ মর্যাদাপূর্ণ হয়ে ওঠে।
নারায়ণগঞ্জে পবিত্র মাহে রমজানের মাগফিরাতের শেষ জুমায় মসজিদ গুলোতে মুসল্লিদের ঢল লক্ষ্য করা গেছে। এক কাতারে ধনী-গরিব, ছোট-বড় সকলের জুমার নামাজ আদায় করেছেন। মুসল্লিদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল মসজিদ। শুধু মসজিদই না, মসজিদে জায়গা না পেয়ে মসজিদের বাহিরে আশেপাশের সড়কে মুসল্লীরা নামাজে শরীক হয়। শুক্রবার (২১ মার্চ) জুমার নামাজের আজানের আগ থেকেই মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের উপস্থিতি শুরু হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর বিভিন্ন মসজিদে গেট দিয়ে মুসল্লিরা নামাজের জন্য প্রবেশ করেন। বেলা সোয়া ১২টা পার হতেই মুসল্লিদের ঢল নামে এসব মসজিদে। বেলা ১টা বাজতেই কানায় কানায় পূর্ণ হয় মসজিদের ভেতর-বাহির প্রাঙ্গণ। মসজিদের ভেতরে জায়গা না পেয়ে মুসল্লিদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে দেখা যায়। ভেতরে তিল ধারনের জায়গা না থাকায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা গেটের বাহিরের সিঁড়ি ও রাস্তায় নামাজ আদায় করেন।
মাহে রমজানের দ্বিতীয় দশক শেষ হলো। কাল শুরু হবে নাজাতের দশক। গত ২০ দিন ধরে যারা খোদার রহমত আর মাগফিরাত কামনায় দিন পার করেছেন কাল থেকে তারা নাজাতের জন্য আল্লাহর দরবারে মাথা নোয়াবেন। জাহান্নামের ভয়াবহ আজাব থেকে মুক্তির জন্য মহামহিম আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানাবেন। এদিকে পবিত্র মাহে রমজানের মাগফিরাতের শেষ জুমায় নামাজ ঘিরে নগরীতে বিভিন্ন মসজিদ এবং আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।