না.গঞ্জে অনেকেই সম্পদ রেখে গেছেন, সন্তানকে লেখাপড়া শেখান নি: শামীম ওসমান
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেন, আমি একটা কথা প্রায়ই বলি, যে সম্পদ রেখে যেও না, ছেলে মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়ে যাও। নারায়ণগঞ্জে অনেক ধনী আছেন যারা সম্পদ রেছে যাচ্ছেন কিন্তু ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া শেখাননি। আমার মা বাবা আমাদের লেখাপড়া করিয়ে গেছেন, তারা টাকা পয়সা রেখে যাননি।
রবিবার (৪ জানুয়ারি) জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এক মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি। মতবিনিময় সভায় জেলার মাধ্যমিক, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণসহ জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় শামীম ওসমান আরও বলেন, একজন বাবা যখন তার ছেলেমেয়ের কথা গর্ব করে বলে তখন সে গর্ভের অনুভূতিটা আমি বুঝি। কারণ আমার মেয়েও অনার্স কমপ্লিট করেছে। পৃথিবীর মধ্যে র্যাংকিং এর চার নম্বর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমার মেয়ে লেটার সংখ্যক মার্ক নিয়ে ফাস্ট ক্লাস পেয়েছে। একথা যখনই কোথাও বলি, আমার গর্বের সাথে বুক উঁচু হয়ে যায়।
এমপি শামীম ওসমান বলেন, এখানে জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা, পুলিশ সুপার আছেন, তারা বয়স আমার অনেক ছোট হবেন। তাদের দেখলে আমার মনে হয়, হয়তো আমারও বয়স হয়ে গেছে। আমাদের বন্ধু বান্ধবের মধ্যে আমরা যারা আছি, আমরা কেউ নিজেদের ১৮ বছরের উপরে উঠতে দেইনি। আমরা মনে করি আমরা ১৮ বছর বয়সই। যেদিন মরে যাবো একদিন তো মরেই গেলাম কিন্তু এর আগ পর্যন্ত আমাদের বয়স আঠারো বছর। এখানে যে শিক্ষক এবং অফিসাররা জেলা প্রশাসক পুলিশ সুপাররা আছেন তাদের দেখলে আমি আশার আলো দেখতে পাই। দেখলে মনে হয় যেন আমাদের দেশ ঘুড়ে দাঁড়াবে। আর তাই শুধু আপনাদের সবার একটু ভালোবাসা দরকার। আপনারা শিক্ষকরা এক মহৎ পেশায় এসেছেন। এখানে আজ আপনারা যারা আছেন, তারা কেউ স্কুলের শিক্ষক কেউবা মাদ্রাসার। এই পেশাকে বেছে নিয়ে আপনারা টাকা কে নয়, সম্মানকে বেঁচে নিয়েছেন। আমি যখন প্রভাবশালী ছাত্রনেতা ছিলাম, তখন জিয়াউর রহমান ক্ষমতাই ছিলেন। আমরা সাত জন ছেলেপেলে নিয়ে জিয়াউর রহমানের গাড়ি আটকে দিয়েছিলাম। এই দোষ আমাকে মারা হয়েছিলো। এতটাই মারা হয়েছিলো যে আমি আর ব্যাথা অনুভব করিনি। এখন এমপি হিসাবে ততটাও ক্ষমতা নেই আমার যতটা একজন ছাত্র নেতা হিসেবে ছিল। আমাদের ছাত্রনেতাকর্মীদের জেল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসার জন্য আমরা কখনো ডিসির বা এসপির কাছে যেতাম না। সোজা জেলখানার গেইট এ যেতাম সেখানকার লোকদের বলতাম দরজা খোলো। আমাদের ছেলেদের বলতাম বের হও। বের হলে আমি তাদের নিয়ে চলে আসতাম। আমাদের জন্য পুলিশ খুব প্রবলেমে থাকতো।