সোমবার, অক্টোবর ৬, ২০২৫
Led05জেলাজুড়ে

না.গঞ্জের র‍্যাবের অভিযানে সাড়ে ৫ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ধরা

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন জিসান হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত একমাত্র পলাতক আসামি শ্রাবণ ওরফে শাওনকে (২৪) ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১১। নারায়ণগঞ্জ সদর কোম্পানি, র‍্যাব-১১-এর একটি চৌকস দল দীর্ঘ গোয়েন্দা নজরদারির পর গতকাল রবিবার (৫ অক্টোবর, ২০২৫) রাতে ঢাকার বিমানবন্দর রেল স্টেশন এলাকা থেকে তাকে ধরতে সক্ষম হয়।

সাড়ে পাঁচ বছর আগে ঘটে যাওয়া চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীদের একজন হিসেবে শ্রাবণ ওরফে শাওন পলাতক ছিল। সে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চর গোবরার বাসিন্দা।

গণমাধ্যম ও মামলার সূত্রে জানা যায়, নিহত ইসমাইল হোসেন জিসান ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি রাইড শেয়ারিং ‘পাঠাও’-এ মোটরসাইকেল চালাতেন। ২০১৯ সালের ১২ মে তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে শ্যামলীর বাসা থেকে বের হন এবং নিখোঁজ হন। তার বাবা সাব্বির হোসেন শেরেবাংলা নগর থানায় জিডি করার ১১ দিন পর, ২৩ মে, গাজীপুরের গাছা থানা এলাকার একটি বাসার সেফটি ট্যাংক থেকে ইসমাইলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে যে, মূল আসামি হাসিবুল হোসেন অফলাইনে ৮০০ টাকায় ইসমাইলের মোটরসাইকেল ভাড়া করেন। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী, হাসিবুল ও তার দুই বন্ধু শ্রাবণ ওরফে শাওন এবং আব্দুল্লাহ আল নোমান ঘুমের ওষুধ মেশানো জুস ইফতারির সময় ইসমাইলকে খাইয়ে অচেতন করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর মরদেহ সেফটি ট্যাংকে ফেলে দিয়ে তার মোটরসাইকেলটি নিয়ে যায়।

এই চাঞ্চল্যকর মামলায় গত ৫ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফারজানা ইয়াসমিন ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো হাসিবুল হোসেন ওরফে হাসিব, আব্দুল্লাহ আল নোমান এবং পলাতক আসামি শ্রাবণ ওরফে শাওন। রায় ঘোষণার পর হাসিবুল ও নোমানকে কারাগারে পাঠানো হলেও শ্রাবণ ওরফে শাওন দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল।

পরবর্তীতে র‍্যাব-১১ এই পলাতক আসামিকে গ্রেফতারে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় র‍্যাব-১১ ও র‍্যাব-১ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল তাকে ঢাকার বিমানবন্দর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামি শ্রাবণ ওরফে শাওনকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

RSS
Follow by Email