নারায়নগঞ্জ হাই স্কুলে এডহক কমিটি গঠনের দাবী
ঐতিহ্যবাহী নারায়নগঞ্জ হাই স্কুল ছুটির মধ্যেও আবার ফুসে উঠেছে শিক্ষক ও ছাত্ররা। রোজার মধ্যে এখন পর্যন্ত শিক্ষকদের বেতন না হওয়ায় শিক্ষকরা মঙ্গলবার হেডমাষ্টারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে। সকাল এগারোটায় ওই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে হেডমাষ্টার মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়া বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পরে অনৈতিক কাজের কারনে ছাত্র শিক্ষকদের আন্দোলনের চাপে তিন মাস পলাতক থাকার পর সাবেক জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হকের সহযোগিতায় স্কুলে কিছু শর্তাবলী দিয়ে দায়িত্ব পুনরায় নেয়ার পর আবার জড়িয়ে পড়েছে আর্থিক কেলেংকারীতে। সরকারী বিধি মোতাবেক ২৮জানুয়ারীর মধ্যে প্রতিটি এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এডহক কমিটি গঠন করার নির্দেশ থাকার পরও জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এডহক কমিটি গঠন করার নির্দেশ থাকলেও নারায়নগঞঞ্জ হাই স্কুলে এখন পর্যন্ত এডহক কমিটি গঠন করে নতুন নির্বাচনের প্রস্ততি না নেয়ায় অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে বর্তমানে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে জেলা প্রশাসক। প্রধান শিক্ষককের বিষয়ে সকল শিক্ষকরা ১৮টি অভিযোগ এবং অর্থনৈতিক কেলেংকারীর বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে তাকে অপসারনের আবেদন জানালে সাবেক জেলা প্রশাসক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি)কে তদন্তের নির্দেশ দেয়ার পর তদন্ত কালক্ষেপন করে শিক্ষকদের উপর চাকুরী থেকে বাদ দিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে তিন মাস পালিয়ে থাকার পর হেডমাষ্টার কে স্ববেতনে পুন:বহাল করেন।
এদিকে বর্তমান জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়া দায়িত্ব নেয়ার পর গত রবিবার গভনিং বডির সভা করে কোন কারন ছাড়াই প্রধান শিক্ষকের বেতন ১০হাজার টাকা বৃদ্ধি করায় শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। একই ভাবে প্রধান শিক্ষকের সহচর কলেজ শাখার শিক্ষক আবদুর রহিম পলাতক থেকে চাকুরী থেকে রিজাইন দেয়ার পর তাকে আবার পুন:বহালের সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রতিবাদে শিক্ষকরা ক্ষুব্দ হয়ে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে।
একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেন পতিত ফ্যাসিষ্ট সরকারের সময় গঠন করা গভনিং বডি এখন পর্যন্ত বহাল থাকায় স্কুলের সকল কর্মকান্ড ব্যহত হচ্ছে। শিক্ষকরা অভিযোগ করেন সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বর্তমানে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা চন্দন শীল এবং তার স্ত্রী সুতপা শীলের তল্পীবাহক মাহমুদুল হাসান ভুইয়াকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করেন।বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় প্রধান শিক্ষক এবং অপর শিক্ষক মাহাবুবুর রহমান আওয়ামী সরকারের পক্ষে চন্দন শীলের সাথে মিছিল কওে নানান ষ্ঠ্যাটাস দিয়ে বিতর্কেও সৃষ্টি করেন। তার তৈরী করা গভনিংবডির সদস্য রয়েছেন আলোচিত ত্বকী হত্যা মামলার আসামী ভোমরের ভাই ও সাবেক সাংসদ সেলিম ওসমানের অনুগত সোহেল আক্তার সোহান,১২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পলাশ দেওয়ান,সৈয়দা ফাহমিদা আহমেদ এখনো বহাল তবিয়তে আছেন।এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হাসান ভুইয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানান এডহক কমিটি গঠন করার দায়িত্ব জেলা প্রশাসকের আর তিনি নতুন ভাবে কাজে যোগদানের পর গতকাল গভনিং বডির সভায় জেলা প্রশাসক তার বেতন ১০হাজার টাকা বাড়ানো কারনে কিছু শিক্ষক ক্ষুব্দ হয়ে তার বিরুদ্ধে অপপপ্রচার চালাচ্ছে।