নারায়ণগঞ্জে শীতে স্থবিরতা নেমেছে জনজীবনে
# কষ্টে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী মানুষজন
# ঠাণ্ডা কম হলেও রাতে হাত-পা বাইরে রাখাই মুশকিল: ভুক্তভোগী
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: শীতে স্থবিরতা নেমে এসেছে নারায়ণগঞ্জের জনজীবনে। গত দুই সপ্তাহে বেশি সময় ধরে তাপমাত্রা নিম্নগামী থাকায় অনেকটাই ব্যহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। গত ২ দিন ধরে শহর অঞ্চলসহ গ্রাম অঞ্চলেও দিনের বেলায়ও ঠিকমতো সূর্যের দেখা মিলছে না। এতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষজন।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৭ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া সূত্রে জানা যায়, আকাশে মেঘ থাকায় দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের দেখা না মেলার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে শ্রমিক ও স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষেরা। সোনারগাঁও, আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ ও বন্দর এলাকায় তীব্র ঠাণ্ডায় অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টাও করছেন। দিনের বেলা তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও সন্ধ্যার পর থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত তীব্র শীত অনুভূত হয়। বিশেষ করে শীতে কষ্টে পড়েছে প্রবাহিত নদ-নদী তীরবর্তী মানুষজন।
বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের রুহুল আমিন বলেন, আমি অটোরিকশা চালাই। কিন্তু কনকনে ঠাণ্ডায় যাত্রীর সংখ্যা কমে গেছে। দিনে ঠাণ্ডা কম হলেও রাতে হাত-পা বাইরে রাখাই মুশকিল হয়ে পড়ে।
সোনারগাঁও উপজেলার নুনেরটেক এলাকার এক কৃষি জানায়, জমিতে চারা তৈরির জন্য ধান ছিটাচ্ছি। কিন্তু এতো ঠাণ্ডা যে কাদা পানিতে পা রাখা যাচ্ছে না। ঠাণ্ডার কারণে ঠিকমত কাজ করতে পারছি না। শীতের কাপড় কম থাকায় রাতে বউ বাচ্চাসহ শীত কষ্টে ভুগছি।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গত দুই সপ্তাহ থেকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭-২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। এ মাসেই এ জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।