নানা দাবিতে ফতুল্লার ইউনিটি কম্পোজিট মিলস শ্রমিকদের মানববন্ধন
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নগরীতে বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস’সহ আইনানুগ পাওনা পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ফতুল্লার ইউনিটি কম্পোজিট মিলসের শ্রমিকরা। বুধবার (২১মে) সকাল সাড়ে ১০ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে ইউনিটি কম্পোজিটের শ্রমিক জানে আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি এম এ শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, আইন ও দরকষাকষি বিষয়ক সম্পাদক নূর ইসলাম আক্তার ইউনিটি কম্পোজিটের শ্রমিক মোঃ শাহীন প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, গার্মেন্টস মালিকরা সব সময় বেপরোয়া আইন-কানুনের ধার ধারে না। তারা ইচ্ছে খুশি মতো কারখানা চালায়। আবার স্বার্থ সুবিধা মতো কারখানা বন্ধ করে দিয়ে শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করে। বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই-নির্যাতন ও মামলা হয়লানি করা হচ্ছে। এসব বন্ধ করে শিল্পের সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। সরকার বদল হয়েছে কিন্তু ধনীক শ্রেণীর রাষ্ট্র ব্যবস্থায় বেপরোয়া মালিক গোষ্ঠীর লাগাম টানা যাচ্ছে না। ফতুল্লা কুতুব আইলের ‘ইউনিটি কম্পোজিট’ এর মালিক আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে হঠাৎ করে গত মার্চ মাসে কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে কিন্তু শ্রমিকদের পাওনাদী পরিশোধ করে নাই। শ্রমিকরা চাকরি হারিয়ে দুঃশ্চিন্তায় দিশেহারা। বকেয়া বেতন-ভাতা ও আইনানুগ পাওনা না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে চরম বিপদে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। ঘর ভাড়া দিতে পারছে না বাড়িওয়ালা অপমান অপদস্ত করছে। মুদি দোকানির বাঁকী টাকার জন্য লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছে। শ্রমিকের পাওনা নিয়ে টালবাহানায় মালিক কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের হয়রানি করছে। এই অবস্থা চলতে দেয়া যায় না।
নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, শ্রমিকদের পাওনা না দিয়ে বিপদগ্রস্থ ও হয়রানি করা কোন ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। সংকট সমাধানের জন্য কলকারখানা অধিদপ্তরে অভিযোগ দিয়ে কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। কারখানার মালিক সরকারি দপ্তরকে পাত্তাই দেয় নাই। ঈদকে সামনে রেখে ইউনিটি কম্পোজিট শ্রমিকদের সংকট নিরসনে মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ ও সরকারের পক্ষ থেকে দায়িত্বশীল পদক্ষেপ নিতে হবে। ঈদের আগে সকল শ্রমিকদের ঈদ বোনাস ও বকেয়া পাওনা পরিশোধ করতে হবে। ব্যত্যয় ঘটলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলে দাবি আদায় করার হুশিয়ারি দেন নেতৃবৃন্দ।