নানা দাবিতে অর্থমন্ত্রী বরাবর জেলা সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের স্মারকলিপি পেশ
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সরকারিভাবে এলাভিত্তিক মানসম্পন্ন ডে-কেয়ার সেন্টার ও কর্মজীবী নারীদের জন্য হোস্টেল নিমার্ণে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছে জেলা সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম।
মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুর ২ টায় জেলা সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম এ স্মারকলিপি পেশ করেন। এর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে স্মারকলিপি পাঠ করেন সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আক্তার, বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুন্নাহার, প্রচার সম্পাদক সুইটি বেগম, অর্থ সম্পাদক বিথী মাহমুদ, জেলার সদস্য মোর্শেদা আক্তার।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আগামী ৬ জুন আমাদের দেশের ২৪—২৫ অর্থ বছরের বাজেট সংসদে পেশ করা হবে। গৃহস্থালী কাজ ছাড়া কোন পরিবার ও সমাজ কল্পনা করা যায় না। গৃহ ব্যবস্থাপনার প্রায় ৮০ ভাগ কাজ নারীরা করে থাকেন। কিন্তু পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রে এ কাজের কোন স্বীকৃতি মর্যাদা তো নেই ই বরং এ কাজকে তাচ্ছিল্য করা হয় সবসময়। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির গবেষণায় দেখা যায় যে নারীরা ঘরে প্রতিদিন প্রায় ৪৫ ধরনের কাজ করে। এই কাজের ৭৮—৮৭ শতাংশই অর্থনৈতিক হিসাবে আসে না। তারা বলেন যে নারীর গৃহস্থালী কাজের আর্থিক মূল্য বছরে প্রায় ১১ লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু বারবার গৃহস্থালী কাজের আর্থিক মূল্য জিডিপিতে অন্তর্ভূক্ত করতে বলা হলেও আমাদের এই দাবি এ বছরের বাজেটেও সরকার অন্তর্ভূক্ত করবে কি না আমরা অনিশ্চিত। এছাড়াও সরকারি ভাবে এলাকাভিত্তিক মানসম্মত ডে কেয়ার সেন্টার নির্মাণ, কর্মজীবি নারীদের জন্য হোস্টেল নির্মাণ, নারীর শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ পাবলিক টয়লেট,হাসপাতালে মাতৃসদনসহ নিমাের্ণ বাজেটে বরাবরই বরাদ্দ কম দেওয়ার হয় । দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীসমাজ অথচ তাদের চাহিদা কে অগ্রাহ্য কেও বাজেট পেশ করা হলে এই বাজেট মেনে নেওয়া হবে না। বাজেটে শুধু অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিই নয় বরং সরকারের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিও প্রতিফলিত হয়। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীর অগ্রযাত্রার সাথে দেশের এগিয়ে যাওয়া ও যুক্ত। নারী প্রতিনিয়ত
বাল্যবিবাহ, মাতৃমৃত্যু, নির্যাতন, ধর্ষণ,হয়রানি, কর্মক্ষেত্রে মজুরি বৈষম্যের শিকার হচ্ছে । অথচ দেশের প্রশাসনের সে দিকে কোন নজরদারি নেই। তাই আসন্ন বাজেটে উপরিউক্ত দাবিতে নেতৃবৃন্দ বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দেওয়ার জোর দাবি জানান।