নানা আয়োজনে না.গঞ্জে বৈশাখী টিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বৈশাখী টিভির ২০ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে নানা আয়োজনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করে হয়েছে। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়কে এক আনন্দ রালির মধ্য দিয়ে এ উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এর পর আলোচনা সভা ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে পালন করা হয় বিশেষ এই দিনটি।
সভায় বৈশাখী টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম রফিকের সঞ্চালনায় আলোচনা শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, দৈনিক অগ্রবানী পত্রিকার সম্পাদক স্বপন চৌধুরী, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোহাম্মদ মাসুম, জেলা ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান শ্যামল, সিনিয়র সাংবাদিক ছড়াকার ইউসুফ আলী এটম, নাগরিক টিভির জেলা প্রতিনিধি ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল লাইভ নারায়ণগঞ্জের সম্পাদক কামাল হোসেন, দেশ টেলিভিশনের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি বিল্লাল হোসাইন, মডেল গ্রুপের কর্মকর্তা মনির হোসেন, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট এসোশিয়েশনের সাবেক সভাপতি শফিউদ্দিন বিটুসহ আরও অনেকে।
মহানগর জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মনোয়ার হোসাইন বলেন, সাংবাদিকের কাজ হল সত্যকে সত্য, মিথ্যাকে মিথ্যা বলে তুলে ধরা। কিন্তু বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলের সাংবাদিক ভাইয়েরা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারেনি। এখন এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমরা সকল সাংবাদিক ভাইয়ের কাছে আশা করবো যে, সকলেই বর্তমানে পরিস্থিতি থেকে সাদা কালো ভাবেই তুলে ধরার। আজকের এই আয়োজন আমি বৈশাখী টিভির আগামীর পথ চলাকে শুভকামনা এবং মঙ্গল কামনা করছি।
নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সাউদ মাসুদ বলেন, ২০ বছর উপলক্ষে বৈশাখী টিভির আয়োজনে তাদের মঙ্গল কামনা করি। আমার ছোট ভাইয়ের রফিক সেই শুরু থেকেই বৈশাখী টেলিভিশনের পক্ষ হয়ে কাজ করছে। এ পর্যন্ত সে নিষ্ঠা ও সততার সাথে কাজ করে আসছে। তার কোন কর্মকান্ড আমরা বিতর্কিত কিছু পাইনি। বিভিন্ন নিউজের কারণে আমি বিতর্কতে জড়ালেও, আমার ছোট ভাই কোন বিতর্কে জড়ায় নি। মুক্ত সাংবাদিকতার অর্থ এটা নয়, আমি যা খুশি তাই লিখতে পারি। সাংবাদিকদের কিছু এথিক্স মেনেই চলতে হয়। তবে দুঃখের সাথে বলতে হয়, নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকতায় চরিত্র হরণ এবং স্বার্থ সাধনের বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। আমি সকল সাংবাদিকদের আহ্বান জানাবো, আসুন আমরা এ থেকে বের হয়ে আসি। যারা এ সকল কর্মকাণ্ড করছেন তারা আগে আয়নায় নিজের চেহারা দেখুন। বিগত দেড় মাস ধরে হাতেম সাহেবের বিরুদ্ধে একাধারে সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে। এটা সাংবাদিকতার কোন ইথিক্সে পড়ে না। তার এবং তার সন্তানদের বিরুদ্ধে যে চরিত্র হরণের সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে সেটার বিরুদ্ধে আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ প্রকাশ করছি। আমরা সাংবাদিকরা অর্থনৈতিকভাবে সংকটে থাকলেও নৈতিকতার দিক দিয়ে অটল থেকেই সংবাদপত্রে কাজ করি। কিন্তু আমাদের মাঝে কিছু অনৈতিক সাংবাদিক ঢুকে গিয়েছে।
প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবন বলেন, ফ্যাসিস্ট জমানায় সংবাদপত্রের কোনো স্বাধীনতা ছিল না। দলবাজ মিডিয়ার মাধ্যমে সাংবাদিকদের ঘৃণার পাত্র বানিয়ে দিয়েছিল ফ্যাসিস্ট সরকার। আন্দোলনের সময় আমার গাড়িতে সংবাদপত্রের নাম থাকায় সেই গাড়ি ভাঙচুর হয়। মানুষ সাংবাদিকদের দেখতেই পারত না। তবে এখন লেখার স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সকলের প্রতি আহ্বান থাকবে আপনারা যখন যা লিখবেন, আপনারা যেন নিরপেক্ষ হয়ে লেখেন। বিএনপির আমলে আমরা হাত খুলে লিখেছি। তৎকালীন এমপি গিয়াস উদ্দিন, আবুল কালাম তাদের নাস্তানাবোধ করে ছেড়েছি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এসে আমরা সেভাবে মুক্তভাবে লিখতে পারিনি, মুক্তভাবে আমাদের মাসুদ ভাই লিখতে গিয়ে ১৭-১৮টি মামলা খেয়েছে এবং তার পত্রিকাও বন্ধ হয়েছে। মাসুম ভাইকে রাজাকারের বাচ্চা ছাড়া কথাই বলত না তারা। সাংবাদিকদের এই মামলা নির্যাতন কারণ তারা ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে কথা বলতো। বৈশাখী টেলিভিশনের প্রতিনিধি রফিক ভাই অত্যান্ত ভালো মানুষ। বিগত প্রেসক্লাব নির্বাচনে সে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়া সত্বেও সে নির্বাচনের দিন আমাকে বুকে জড়িয়ে নিয়েছেন। তার মত সৎ নিষ্ঠা সাংবাদিক আমাদের দরকার।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, সব ভয়কে জয় করেই বৈশাখী টেলিভিশন এগিয়ে গেছে। আর আজ বৈশাখী টেলিভিশনের এই যাত্রার ২০ বছর। ১৯৭১ থেকে ৭৫ সালে ৪ টা পত্রিকা বাদে বাকি সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাকশাল কায়েম করেছিল। তার সুযোগ্য মেয়ে ফ্যাসিস্ট সরকার হাসিনা সংবাদপত্রের কন্ঠ রোধ করে রেখেছিল। এই ২৪ পর্যন্ত তারা কি কি করেছে আপনারা সবাই জানেন। নারায়ণগঞ্জের গডফাদার সেলিম ওসমান, শামীম ওসমান ও নাসিম ওসমান এবং তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে কিছু লিখতে গিয়ে অনেকেই মামলার শিকার হয়েছেন। এখন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথে। আপনারা লেখেন তবে সব রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী এক না। আপনারা যাচাই-বাছাই করে তবে লিখবেন। আপনারা কেন ওই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে এখনো লেখেন না। সেলিম ওসমান সেই ঢাকায় বসে এখনো কেন মানুষকে ফোনে হুমকি দেয়? বিভিন্ন সেক্টরে ভোট দেওয়ার জন্য রিকোয়েস্ট করে। তাকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না। আমি যদি অন্যায় করি তাহলে আমার বিরুদ্ধেও লিখবেন, তবে কথা হচ্ছে বস্তুনিষ্ঠা সংবাদ প্রকাশ করতে হবে। সত্যতা যাচাই-বাছাই করে সংবাদ করতে হবে। তারা বিভিন্ন মিডিয়া কন্ঠ রোধ করেছে কারণ সেই সরকারের ৩০০ এমপি-মন্ত্রী কেউ বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে না তারা দুর্নীতি করেনি। পার্শ্ববর্তী দেশ তাদের দুর্নীতিগুলো প্রশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের মিডিয়াগুলোকে কন্ট্রোল করেছে। শেখ হাসিনার পক্ষে এবং বিপক্ষে কি লেখা হবে সেটা তারা ঠিক করেছে। সকল সাংবাদিকের কাছে অনুরোধ, আপনারা যা খুশি তাই লিখবেন না। একটি মানুষের একটি ভুল হতে পারে, তাই বলে তার বিরুদ্ধে সারা মাস, সারা বছর নিউজ করলে সেটা হাস্যকর লাগে। তখন মনে হয় এটা একটা ইনটেনশনালি সাংবাদিকতা করা হচ্ছে। ইনটেনশনাল সাংবাদিকতা করবেন না। আমার অনুরোধ থাকবে নারায়ণগঞ্জ আর কাদা ছিটা-ছিটি করবেন না। গডফাদার, সেভেন মার্ডারের পৃষ্ঠপোষক এবং ত্বকী হত্যাকারীরা এখন পালিয়ে গেছে। আন্দোলনে তারা রাইফেল ক্লাব নারায়ণগঞ্জ ক্লাব থেকে অস্ত্র নিয়ে সাধারণ জনগণের উপর হামলা চালিয়েছে। রাইফেল ক্লাব, নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে হামলা হওয়ার কথা না কিন্তু হয়েছে ক্ষোভের কারণে। গডফাদারের শালা ৭২ কোটি টাকা নারায়ণগঞ্জ ক্লাব থেকে চুরি করেছে। একদিনেই ২৭ কোটি টাকার চেক উঠিয়ে নিয়ে গেছে। সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ থাকবে আপনারা এগুলো তুলে ধরেন তিতাস বিদ্যুৎ এবং বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিষয় তুলে ধরেন। শুধু রাজনীতিবিদরা, সাংবাদিকরা যে অসাধু এটা বললে চলবে না। গ্যাস সেক্টরে অবৈধ লাইন দিয়ে সরকারি কর্মকর্তারা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা মঈননুদ্দিন আহমাদ বলেন, ৫ তারিখের পর এসে বৈশাখী টেলিভশন ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে এটাই প্রত্যাশা করি। আগে যে যাই করেন সেটা মানুষ মনে রেখেছে, এখনো যে যা করছেন সেটা মানুষ বুঝতেছে। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে বৈশাখী টেলিভিশন ভূমিকা পালন করবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। সবাই পালায়নি, অনেকেই কিন্তু রয়ে গেছেন। প্রশাসনের মধ্যে যারা এসেছেন তারা তো নতুন করে আসেন নি, হয়তো কেউ রংপুর বা ফরিদপুর থেকে এসেছেন। কিন্তু তারাও তো আগে কোথাও দায়িত্বরত ছিলেন। মানুষের স্বভাব পরিবর্তন করা যায় না। বিগত দিনে যে যাই করেছে এত সহজেই সেটা বদলে যাবে এমনটা হয় না। আমাদের ডিসি সাহেব এসপি সাহেব এবং সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী এই তিনজন ব্যক্তি মানুষ ভালো। কিন্তু কেউ কোন অভিযোগ নিয়ে গেলে তারা শুনেন আর চা খেতে দেন, কিন্তু সমস্যার সমাধান হয় না।
প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান মাসুম, বৈশাখীর মালিকের স্বাধীনতা নাই। আপনারা জানেন বৈশাখের মালিক ডেসটিনি করতো। তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস কোন এক সুতার টানে তার জামিন হয় না। বৈশাখের মালিক জেলে থাকলেও বৈশাখী টেলিভিশন হাটি হাটি পা পা করেও টিকে আছে। নারায়ণগঞ্জের বৈশাখী টিভি জেলা প্রতিনিধি আমার অনেক স্নেহভাজনের একজন মানুষ। নারায়ণগঞ্জ বেঁচে থাকলে আমাদের অস্তিত্ব আছে। তবে কিছু কিছু সময় দেখা যায় এই নারায়ণগঞ্জ একটি পরিবারের কাছে জিম্মি, আবার এখন দেখা যাচ্ছে একটি অদৃশ্য শক্তির কাছে নারায়ণগঞ্জ জিম্মি। প্রশাসনের কাছে গেলে তারা মুখে হাসি নিয়ে কাপ চা দেন, তারপর সমস্যার কথা শুনে বলেন আচ্ছা আমরা বিষয়টা দেখব। পুলিশ প্রশাসনের কাছে গেলে তারা জিজ্ঞেস করে কোন থানার? আচ্ছা ওমুক থানার ওসিকে বলে দিচ্ছি। এভাবে তো সমস্যার সমাধান হয় না। পূরণ কোর্ট থেকে নতুন কোর্ট যেতে ৪৫ মিনিট, ১ ঘন্টা সময় লাগে। কারণ দেখা যায় সড়কে সবাই দাড়িয়ে আছে কিন্তু বিসিক গামী ট্রাকগুলো অনবরত চলছে, তাদের থামানের কোন ইঙ্গিত নেই। রাস্তা নিয়ে যে একটা বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গি এটা পরিহার করার জন্য আহ্বান জানাই। ট্রাফিক পুলিশদের দেখলে মনে হয় তারা বিপ্লবের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিচ্ছে।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মনির, বৈশাখী সহ সকল টিভি চ্যানেলের ৫ আগষ্টের আগে তাদের কথা বলার ধরন অনেকের পছন্দ হয় নাই। তবে আগামীতে তারা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশাবাদী। একাত্তরের দৈনিক পত্রিকা ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা তোফাজ্জল হোসেন। সরকারের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে তাকেও অনেক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। একজন সাংবাদিক চাইলেই অসত্যকে শক্ত করে তুলে ধরার চেষ্টা করতে পারে, তবে তাই বলে অসত্য সত্য হয়ে যায় না। একজন সাংবাদিক সমাজের আসল পরিস্থিতিকে সবার সামনে তুলে ধরতে পারে। ঢাকা ক্লাব ও গুলশান ক্লাবের আগে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব হয়েছে। কিন্তু আমরা পিছনে পড়েছি আমাদের ভুলের কারণে। নারায়ণগঞ্জ অনেক ঐতিহ্যবাহী একটি এলাকা তবে এই এলাকার ঐতিহ্য কলঙ্কিত করেছে সেভেন মার্ডার। যদি আমরা নারায়ণগঞ্জকে সেই ঐতিহ্যবাহী আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাই তাহলে বিভাজনকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। ভুল-ত্রুটি সবকিছুর মধ্যে থাকবে, তবে সবকিছু নিয়েই চলতে হবে। আমাদের সকলের চিন্তা এক রকম হতে হবে। তাহলে আমরা একটা পরিবর্তন করতে পারবো এবং প্রশাসন আমাদের কথা শুনতে বাধ্য হবে। আমরা যদি চাই এই রাস্তাটি ওয়ান ওয়ে হবে, শিশুদের স্কুলে যাওয়ার সময় আবার অন্যান্য সময় সাধারণ থাকব। তাহলেই প্রশাসনে এটা করতে পারবে। এখন যদি এতে কেউ দ্বিমত পোষণ করেন তাহলে এটা হবে না। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ‘শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার’ বলা চাটুকার সাংবাদিকদেরও আমরা দেখেছি। তবে চাটুকার পরিণতি কি সেটাও আমরা দেখেছি। এখানে মইন ভাই আছেন তার রাজনৈতিক চিন্তা চেতনা বা কর্মসূচি ভিন্ন হতে পারে আমারও ভিন্ন হতে পারে। কিন্তু আমরা তো সকলেই সমাধান এবং পরিবর্তন চাই। এই পরিবর্তনের সহায়ক হচ্ছে মিডিয়া। এরাই সৎ পথ দেখাতে পারে এরাই আবার সৎপথকে বাঁকা ভাবে দেখাতে পারে।
প্রসঙ্গত, বাঙালি সংস্কৃতি লালনের অঙ্গীকার নিয়ে ২০০৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করে। চ্যানেলটি ১৯ বছর পূর্ণ করে ২০ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে আলোচনা সভায় বিশিষ্টজনরা বলেন, বৈশাখী টেলিভিশন যাত্রা শুরুর পর থেকেই দর্শকদের কথা চিন্তা করে বস্তুুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করছে। তাই দর্শকদের ভালোবাসা পেয়ে এত দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে পেরেছে।