বুধবার, মে ২৮, ২০২৫
Led05রাজনীতি

নবীগঞ্জ ঘাট দিয়েই কদমরসুল সেতু নির্মানের দাবি বিএনপিসহ ৪ দলের

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: শীতলক্ষ্যা নদীর উপর প্রস্তাবিত কদমরসুল সেতুটি ৫নং ঘাট দিয়ে নয় নবীগঞ্জ দিয়ে র্নিমানের দাবি করেন বিএনপি ও জামায়াতসহ চারটি রাজনৈতিক দল। সোমবার (২৬ মে) সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক এএইচএম কামরুজ্জামানের সঙ্গে এক বৈঠকে এ দাবি জানান দলগুলোর নেতৃবৃন্দ।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা আবদুল জব্বার, সাবেক আমীর মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মনোয়ার হোসাইন, মহানগর ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, মহানগর খেলাফত মজলিসের সভাপতি কবির হোসেন।

বৈঠক শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের পর নারায়ণগঞ্জের মানুষ সব ধরনের দুর্ভোগ নিরসন থেকে মুক্তির আশা করেছিল। কিন্তু গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে রেখে যাওয়া জঞ্জাল দ্রুতই সমাপ্ত করা সম্ভব নয়। ফ্যাসিস্টের দোসররা সরকারের বিভিন্ন কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করছে। এসব বাধ পেরিয়ে কীভাবে নাগরিক সংকট সমাধান করা যায় সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। সরকারের যাতে কোনো বদনাম না হয়।’

দলের সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, এ এলাকায় (একরামপুর-পাঁচ নম্বর ঘাট) কদমরসুল ব্রিজ হলে যানজট ও জনদুর্ভোগ বাড়বে। সেতুটি ৫ নম্বর ঘাট দিয়ে না হয়ে নবীগঞ্জ-হাজীগঞ্জ দিয়ে হলে মানুষের উপকার হবে। শহরে চলমান সংস্কার কাজের কারণে মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। রেল ও বাস টার্মিনাল শহরের বাইরে নিয়ে যাওয়া উচিৎ বলেও দাবি করে তিনি।

মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমীর আবদুল জব্বার বলেন, ‘এখনও সরকারি ব্যক্তিদের কাছে দায়সারা কিছু বক্তব্য শুনি। তারা বলেন, এটি একনেকে পাস হয়ে গেছে, আমাদের কী করার আছে! এখানে আপনাকে জনগণের খেদমতের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মানুষের উদ্বেগ ও দৃষ্টিভঙ্গি আগে দেখতে হবে। এমন কিছু করা যাবে না যাতে জনদুর্ভোগ আরও বাড়ে। প্রয়োজনে কদমরসুল সেতু প্রকল্প রিভাইজ করারও যেতে পারে। হাজীগঞ্জ-নবীগঞ্জ ঘাটে ব্রিজটা হতে হবে। নাহলে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে, মানুষ বসবাস করতে পারবে না।’

ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘আজকে নারায়ণগঞ্জে একটি ইতিহাস সৃষ্টি হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যেসব রাজনৈতিক দল সম্পৃক্ত ছিল, বিশেষ করে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে আমরা যেসব রাজনৈতিক দল মাঠে ছিলাম, তারা সবাই সিটি কর্পোরেশনে এসেছিলাম। আমরা স্বেচ্ছায় এসেছি এবং প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেছি। এককভাবে আমরা আগেও এখানে এসেছি, কথা বলেছি কিন্তু সম্মিলিতভাবে কথা বললে উপকার হবে, সেই আশায় আমরা বিভিন্ন দাবি জানিয়েছি।’

এবিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক এএইচ কামরুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতারা এসে জলাবদ্ধতা, হকার, যানজট সমস্যা নিয়ে বিস্তৃত কথা বলেছেন। এসব সমস্যা সমাধানে আমাদের আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই। জনজীবন সহজ করতে আমাদের চেষ্টা রয়েছে। প্রকল্প অ্যাপ্রুভালের একটা প্রসেস আছে। একনেকে অনুমোদন হওয়ার পর প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের বিষয় আসে। এই ধরনের প্রকল্পে প্রকল্পক্ষেত্র পরিবর্তন করা কঠিন হয়ে যায়, এখানে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয় থাকে। আমরা বাস্তবায়নকারী সংস্থাকে এ দাবি প্রসঙ্গে জানাতে পারি কিন্তু পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন তারা। জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে এই বিষয়ে হয়তো পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।’

RSS
Follow by Email