রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪
Led02জেলাজুড়েবন্দররাজনীতি

নবীগঞ্জ গার্লস স্কুলের সেই শিক্ষিকার সমাধান দিলেন সেলিম ওসমান

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নবীগঞ্জ গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষিকা অপদস্ত হওয়ার ঘটনায় সমাধান দিয়েছেন সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। সম্প্রতি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইংরেজী বিষয়ের সহকারী শিক্ষিকা রওশন আরা বেগম অভিযোগ করেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষিকা সায়মা খানম তাকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে অপদস্ত করছেন। তিনি এ বিষয়ে শিক্ষানুরাগী ও সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সেই ভিডিও বার্তা সেলিম ওসমানের নজরে আসা মাত্রই স্কুলে গিয়ে শিক্ষিকার সমস্যার সমাধান করেন।

রবিবার (১৪ জুলাই) সকালে সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান সরেজমিনে নবীগঞ্জ গালর্স স্কুল এন্ড কলেজে গিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষিকা সায়মা খানম, অভিযোগকারী ইংরেজি সহকারী শিক্ষিকা রওশন আরাকে নিয়ে দীর্ঘ আলোচনায় বসেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী শিক্ষিকা উম্মে সালমা এবং স্কুল পরিচালনা কমিটির প্রস্তাবিত সভাপতি ও বন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন। দীর্ঘ আলোচনার বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান দেন সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান।

সেলিম ওসমান জানান, ইংরেজি শিক্ষিকা রওশন আরা অসুস্থ্য, সেই সাথে তিনি গর্ভবর্তী। কিন্তু অসুস্থ্যতার বিষয়টি প্রধান শিক্ষিকাকে অবহিত করেননি। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ৬ মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি রয়েছে। সেই ছুটিটি সাত মাসের গর্ভাবস্থা থেকেই শুরু হয়। কিন্তু ৮ মাস হয়ে গেলেও উনি ছুটির আবেদন করেন নি। স্কুলে যেহেতু বহুতল ভবনের ক্লাস গুলোতে লিফটের ব্যবস্থা নেই, তাই শিক্ষিকা রওশন আরাকে ৬ মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটিতে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে। ওনি আবেদন করেছেন এবং আজকে থেকেই ওনার ছুটি মঞ্জুর হবে। এছাড়াও আরেকজন শিক্ষিকার স্কুলের কাছে কিছু পাওনা রয়েছে, ওই বিষয়টিও সমাধানের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি স্কুল পরিচালনা কমিটি সম্পন্ন হলে এসকল সমস্যা দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।

প্রধান শিক্ষিকা সায়মা খানম জানিয়েছেন, রওশন আরা মেডাম আমার সহকর্মী। আমাদের সাথে একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। এমপি মহোদয় বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। উনি এসে ম্যাডামকে নিয়েই আমার সাথে কথা বলেছে। ম্যাডাম যে অসুস্থ্য এটি উনি আমাকে অবগত করেননি। ম্যাডাম অসুস্থ্য জানিয়ে ছুটির আবেদন করেছেন, আগামীকাল থেকে উনার মাতৃত্বকালীন ছুটি হবে। আরেকজন শিক্ষিকা উম্মে সালাম বহিস্কৃত হয়েছিলেন। পরে বোর্ডের মাধ্যমে আবারো যোগদান করেছেন। ওনার কিছু দেনা পাওনা ছিলো। যেটি সরকারী কোষাগারে চলে গেছে। এর সাথে স্কুলের কোন দায়ভার নেই। তবে একটি উপায় আছে টাকাটি ফেরত আসার। যদি আমি একটি ফরওয়ার্ডিং দেই তবে টাকাটা আবার ফেরত আনা সম্ভব। কিন্তু এর মধ্যে উম্মে সালাম ম্যাডাম বোর্ডে গিয়ে ম্যানিজিং কমিটির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। ম্যাডাম অভিযোগটি প্রত্যাহার করে নিলে আমি ফরওয়াডিংটা দিতে পারবো ওনার পাওনা টাকাও ফেরত আনা সম্ভব হবে।

তিনি আরো বলেন, এমপি মহোদয় সকলের উদ্দেশ্যে বলে গেছেন, আমি স্কুলটি করে দিয়েছি। আমি চিরদিন বেঁচে থাকবো না। স্কুলটি আপনাদের এলাকাতে থাকবে, আপনারাই থাকবেন। আপনার স্কুলটি নিয়ম মাফিক পরিচালনা করুন। এমন কিছু করবেন না যেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির বদনাম হয়।

RSS
Follow by Email