নতুন বাড়ি বানালে কিছুসংখ্যক দুষ্কৃতকারীকে চাঁদা দিতে হয়: ড. ইকবাল ভূঁইয়া
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ড. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকালে পাইনাদী নতুন মহল্লা থেকে শুরু হয়ে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে এই গণসংযোগ ধনু হাজী রোড পর্যন্ত পৌঁছায়। গণসংযোগ শেষে সেখানে এক উত্তাপপূর্ণ উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
উঠান বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধান অতিথি ড. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া এলাকার চলমান সমস্যাগুলো তুলে ধরে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি অভিযোগ করেন, “আমি শুনেছি সিদ্ধিরগঞ্জে ওয়ার্ড কাউন্সিলর যার প্রতি খুশি হয়, তাকে ভাতা দেওয়া হয়। ২য় হচ্ছে লোকেরা নতুন নতুন বাড়ি বানালে কিছুসংখ্যক দুষ্কৃতকারীকে চাঁদা দিতে হয়। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে কোনো চাঁদা দিতে হবে না, জিরো টলারেন্স ঘোষণা করবে।”
মাদকের আগ্রাসন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই এলাকায় মাদকের আগ্রাসন আছে। আমি বলছি যেসমস্ত ভাইয়েরা মাদক বিক্রি করেন, তারা সোজা হয়ে যান, না হয় জামায়াতে ইসলামী এবং এই এলাকার সাধারণ জনগণ আপনাদেরকে রুখে দিবে।”
গণসংযোগের শুরুতে ড. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া কালু বাড়ি মসজিদ এবং বায়তুস সালাম জামে মসজিদে মুসুল্লিদের সাথে পরিচিত হন এবং দোয়া কামনা করেন।
ড. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া সংবিধানে জুলাই সনদ অন্তর্ভুক্ত করে তার ভিত্তিতে ত্রয়োদশ নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান।
তিনি আগামী নির্বাচনের পূর্বে গণভোটের দাবিতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ৩ নভেম্বরের মধ্যে তারিখ ঘোষণার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি ৩ নভেম্বরের মধ্যে গণভোটের ঘোষণা না করা হয়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ছাত্র শিবির, সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়, সাধারণ জনগণ সহ এদেশের তৌহিদী জনতার নেতৃত্বে এমন আন্দোলন গড়ে তোলা হবে, ইলেকশন কমিশন পালানোর জায়গা পাবে না।”
উঠান বৈঠকে প্রধান বক্তা নারায়ণগঞ্জ মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ জামাল হোসাইন ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের ঘটনার কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, “২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর এই চিটাগাং রোডে লগি বৈঠার তান্ডবে আমাদেরই ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাথী ফয়সাল ভাই শহীদ হয়েছিল। আমি ২৮ অক্টোবরে যারা শহীদ হয়েছিল, তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।”
তিনি অভিযোগ করেন, “যারা ভারতের প্রেসক্রিপশনে ১৭ টি বছর রাজত্ব কায়েম করে আমাদেরকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। প্রিয় ভাইয়েরা, আমাদেরকে ভোট দিতে দেয় নাই, আমাদের নেতা নির্বাচন করতে দেয় নাই। বরং যারা এই বিষয়ে প্রতিবাদ করেছেন, হুংকার দিয়েছেন, এজন্য আমাদের নেতাদের শহীদ করা হয়েছিল।”
উঠান বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে মজলিসে শূরা সদস্য কফিল আহমদ, মাহবুবুল আলম, মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল এবং মোঃ আলীআক্কাস সহ সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার জামায়াতে ইসলামী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
