নতুন বছরে কমেনি মাংসের দাম, অপরিবর্তিত মাছের বাজার
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বিদায়ী বছরের শেষে বিভিন্ন অজুহাতে মুরগির দাম বৃদ্ধি পেলেও, এখনো তা কমেনি। নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহে বাজার ঘুরে দেখা গেলো, আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে মুরগির মাংস। তবে, কিছু কিছু দোকানে ৫-১০টাকা কমে মুরগির মাংস বিক্রি করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে, গরু ও খাসির মাংশের দামও বিদায়ী বছরের মতোই।
রোববার (৫ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ শহরের দিগুবাবুর বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
মাংসের বাজার চড়া
নতুন বছরের আগমনকে সামনে রেখে বেড়েছিল মুরগির দাম। তবে নতুন বছর চলে এলেও স্বস্তি ফেরেনি মাংসের বাজারে। এখনও ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ২০০ টাকার ওপরে। কক মুরগির দাম ৩০০ টাকা। ওজন অনুযায়ী ব্রয়লার মুরগি ১৯৭-২০৩ টাকা, কক মুরগি ৩৩৫-৩৩৮ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৮০-৩০০ টাকা, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা কেজি দরে।
এছাড়া প্রতি পিছ হাঁস ৮০০-৯০০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের মুরগির প্রতি হালি লাল ডিম ৩৪ টাকা, হাসেঁর ডিম ৭৬ টাকা করে হালি বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৭৮০ টাকা। খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ টাকা।
মুরগি বিক্রেতা মো. সুলতান বলেন, ‘মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। তবে সেভাবে কমেনি। থার্টি ফার্স্ট নাইট এর জন্য বেড়েছিলো। তবে, এখনও কেন কমছে না তা বলতে পারছি না।’
এদিকে গরুর মাংসের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতারা কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি।
মাছের বাজারও অনেকটাই অপরিবর্তিত রয়েছে
বাজারে আকার ও ওজন অনুযায়ী ইলিশ মাছ ৭০০-২৬০০ টাকা, রুই ৪০০-৭০০ টাকা, কাতল ৪০০-৬৫০ টাকা, কালিবাউশ ৪০০-৮৫০ টাকা, চিংড়ি ৯০০-১ হাজার ৩০০ টাকা, কাঁচকি ৪০০ টাকা, কৈ ২৫০-১ হাজার টাকা, পাবদা ৪০০-৬০০ টাকা, শিং ৪০০-১ হাজার ২০০ টাকা, টেংরা ৬০০-৭০০ টাকা, বোয়াল ৬৫০-১ হাজার ১০০ টাকা, শোল ৯০০-১ হাজার ২০০ টাকা, মেনি ৮০০ টাকা, চিতল ৬০০-৮০০ টাকা, সরপুঁটি ২৫০-৫০০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ ৮০০-১ হাজার ২০০ টাকা, কেজি প্রতি নাইকলি মাছ ২৫০ টাকা, কেজি প্রতি চাপিলা ২৫০ টাকা, কেজি প্রতি পোয়া ৩৫০, কেজি প্রতি টুনা ৩৫০, কেজি প্রতি বাগদা ৭০০ টাকা কেজি প্রতি গলদা ৭৫০/৮০০ টাকা কেজি প্রতি তেলাপিয়া ২০০/২৫০ টাকা কেজি প্রতি পাবদা ৪০০/৪৫০ টাকা কেজি প্রতি দেশি মাগুর ৭০০ টাকা কেজি প্রতি কারফু ২৮০/৩০০ টাকা।