নগরীর ব্যস্ততম সড়কে ‘নির্মান’ ভোগান্তি, ঈদের আগে সমাধানের আশ্বাস
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ড্রেনেজ লাইন সংস্কারের জন্য কাজ করা হচ্ছে নগরীর সব থেকে ব্যস্ততম সড়কগুলোতে। বিগত রমজানের শুরু থেকে রাস্তার উপর করা হয়েছে খোঁড়াখুঁড়ি, বানানো হয়েছে বিশাল বিশাল গর্ত। এতে পায়ে হেটে কোন ভাবে আসা যাওয়া করা গেলেও বন্ধ হয়েছে যানবাহন চলাচল। তার মধ্যে বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টি। সামান্য বৃষ্টিতে সড়কের একপাশে থাকে কাদা-মাটি অন্যদিকে থাকে জলাবদ্ধতা। এতে করে আসন্ন ঈদুল-আযহায় সড়ক পথে যোগাযোগ নিয়ে চিন্তিত নগরবাসী। এদিকে গণগনের এমন ভাগান্তিতে দুঃখ প্রকাশ করেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন। ঈদুল আজতার আগে এ সড়কে চলাচলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছে তারা।
বুধবার (২১ মে) নগরীর শায়েস্তা খাঁ সড়ক ও নবাব সিরাজদৌলা সড়কে দেখা মেলে এমন চিত্র। প্রতিদিনে যাতায়াতে বেশ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন কর্মজীবী মানুষ ও স্কুল কলেজে পড়ুয়া শিক্ষর্থীরা।
এসময় ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় বাসিন্দা আসফাক বলেন, শহরের সব থেকে ব্যস্ততম সড়ক হলো বঙ্গবন্ধু সড়ক আর শায়েস্তা খা সড়ক। সামনে কোরবানীর ঈদ, কিন্তু এই সময়ই দুটো সড়কই নির্মান কাজ চলছে। ঈদে গরু নিয়ে বাসায় আসার সব থেকে সহজ রাস্তা ছিলো কালিরবাজারের রাস্তা। কিন্তু এখন রাস্তার পরিস্থিতি হিসেবে সেটা সম্ভভ না। আমাদের বাসায় আসতে হলে চাষাড়া-আমলাপাড়া ঘুড়ে আসতে হবে। শুধু ঈদের বিষয় না, প্রতিদিনের যাতায়াতে আমাদের অনেকটা দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়। আজ বাসায় কেউ অসুস্থ হলেও অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে তারপর হাসপাতালে নিতে পারবো।
টানবাজারের এক দোকানি রাফি মজুমদার বলেন, কুমুদিনির সড়কে যে বিশাল বিশার গর্ত করে রাখা হয়েছে তাতে পড়ে যাওয়ার ভয়ে থাকি। তার মধ্যে ময়লার দূগন্ধের জন্য রাস্তা দিয়ে চলাচলের মতো পরিবেশ থাকে না। শায়েস্ত খা সড়কে কাল দেখলাম রাস্তা কাটার পর সেখানের পাড়গুলো ভেঙে ভেঙে পরছে। সেই ভিডিও ফেসবুকে অনেক ভাইরাল হইছে। রমজানের ঈদেও মানুষ অনেক ভোগান্তীতে ছিলো। এবারের কোরবানী ঈদেরও একই অবস্থা থাকবে বলে মনে হয়।
চাকুরিজীবি মিজান বলেন, এ সড়কে আগে সকালে ময়লা নিয়ে যাওয়ার জন্য সিটি কর্পোরেনের গাড়ি আসতো। শুধু একটা গাড়ির জন্য পুরো সড়ক আটকে যেত। এখন সড়কে এতো বড় বড় গর্ত করা হয়েছে। গত রমজান মাস থেকে কালিরবাজারের ফ্রেন্ডস মার্কেটের সামনে আর কুমুদিনির সামনে বিশাল বিশার গর্ত করে রেখেছে। গর্তের মাটি রাখা হয়েছে সড়কের উপর। সেখানে পা দিয়ে ময়লায় ডেবে যায়। আগে এ সড়কে যানজটের আর বর্জ্যের দুর্গন্ধের সমস্য ছিলো। কিন্তু এখন একবারে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ বলেন, ‘আমাদের এই কাজটা করছি যাতে নগরবাসীরা আর কোনদিন জলাবদ্ধতার সমস্যায় না পড়ে। এখানের কাজগুলো গত রমজান থেকে শুরু হয়েছে। সেই রাস্তাগুলোতে জণগন যাতে হাটতে পারে এমন ব্যবস্থা করে রাখা আছে। তাদের যাতায়াতের সমস্যা হবে বলেই আমরা শুধু রাতে সেই রাস্তাগুলোতে কাজ করাই, দিনে বন্ধ থাকে। তবে এমন সময়ে গাড়ি না চলতে পারায় নগরবাসীর যাতায়াতে কষ্ট হচ্ছে সেটা আমরা বুঝতে পারছি। আমরা সে বিষয়ে আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি। এ নির্মান কাজের মধ্যে আমরা নানান সমস্যার মূখে পরছি। তবে আমাদের আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে পাইপ লাইন বসিয়ে এই জুন মাসের ৪ তারিখের মধ্যে রাস্তাটা যাতায়াতের জন্য সচল করে দেওয়া। এই ঈদুল-আযহার আগে আমরা কাজটা সম্পন্ন করতে পারবো বলে আশা রাখছি।’
