নগরীর টুপি-আতরের দোকানে ভিড় জমেছে
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: রমজান মাস বিদায় নিতে যাচ্ছে। দুই-একদিন পরই ঈদুল ফিতর। ঈদগাহে যেতে নতুন জায়নামাজ কিংবা পাঞ্জাবিতে পছন্দের সুবাস দিতে আতরের রয়েছে বাড়তি কদর। তাইতো নতুন কাপড় কেনাকাটার পাশাপাশি টুপি, আতর, জায়নামাজের দোকানে ভিড় জমাচ্ছে নগরবাসী।
সোমবার (৯ এপ্রিল) নগরীর ডিআইটির বিভিন্ন আতর, টুপি, জায়নামাজের দোকানে সরেজমিনে এ চিত্র দেখা যায়। পছন্দের টুপি বাছাই করতে ব্যস্ত ক্রেতারা। পরিবারের মুরুব্বি থেকে নিয়ে সবার আদরের খোকার জন্য সুন্দর দেখে টুপি কিনে নিচ্ছেন। সেই সাথে পাঞ্জাবিতে ব্যবহারের জন্য আতর ও ঈদের নামাজ আদায় করতে জায়নামাজ নিচ্ছেন।
দোকানিদের সাথে কথা হলে তারা জনান, ঈদের দু-এক দিন আগে ক্রেতাদের ভিড় বেশি জমে। যদিও গত বছরের তুলনায় ক্রেতাদের চাপ কম পড়েছে। টুপির মধ্যে ব্রুনেই টুপি, রুমি টুপি, ওমানি টুপি, সৌদি টুপি, পাগড়ি টুপি, আফগান টুপি, ইন্দোনেশিয়ান টুপি, পাকিস্তানি সিন্দি টুপি, মিসরীয় টুপি বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা নিজের সাধ্য অনুযায়ী বিভিন্ন ধরণের টুপি নিচ্ছেন। তবে পাকিস্তানি টুপি ও দেশীয় টুপির প্রতি ক্রেতাদের ঝোঁক কিছুটা বেশি। এছাড়া বাচ্চাদের জন্য রয়েছে জরির কাজ করা তুর্কি টুপি বেশি বিক্রি হচ্ছে। আতরের মধ্যে জান্নাতুল ফেরদাউস, বেলি ফুলের আতর, আলিফ আতর, গোলাপ ফুলের আতর, কস্তুরী, দরবার বেশি কিনছেন ক্রেতারা। সাধ্যমত ছোট, বড় ও মাঝারি সাইজের শিশি বোতলে আতর নিচ্ছেন।
এদিকে, টুপির পাশাপাশি জায়নামাজের বিক্রিও বেশ বেড়েছে। বেশির ভাগ জায়নামাজ তুরস্কের তৈরি। তবে পাকিস্তান, ভারত, চীন বা সৌদি আরবের তৈরি কিছু জায়নামাজও পাওয়া যাচ্ছে। দোকানিরা জানান, মানভেদে ১০০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকার জায়নামাজও রয়েছে। কেউ কেউ দেশী পাতলা কাপড়ের জায়নামাজ নিচ্ছেন যা ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও বিদেশী ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার জায়নামাজ বিক্রি হচ্ছে।