নগরীতে হালকা কুয়াশায় শীতের আগমনী বার্তা
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সাদা মেঘের ভেলা ভাসিয়ে শরৎ বিদায় নিয়েছে। কার্তিকের শুরুতে নগরী শীতের হালকা চাদরে ঢাকা পড়েছে। প্রকৃতি যেন জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। ধীরে ধীরে দিন ছোট হয়ে আসছে। বিকেল সাড়ে চারটা না বাজতেই পশ্চিমে ঢলে পড়ছে সূর্য। জলদী নেমে আসছে সন্ধ্যা। তখনই কুয়াশার চাদর নগরবাসীর চোখে পড়ে।
দূরের দালান, মসজিদের মিনারের দিকে তাকালে ধোয়া ধোয়া দেখা যায়। হালকা কুয়াশা ও ঠান্ডায় নগরী শীতের আমেজ গড়ে উঠে। সন্ধ্যা শেষে যখন রাত শুরু হয়, বাহিরে হাটতে ঠান্ডা অনুভব হয়। হিমেল হাওয়ায় টের পাওয়া যায়, ধীর পায়ে শীত নামছে প্রকৃতিতে। চায়ের চুমুকে অনেকেই শীতের আমেজকে উপভোগ করছেন। রাত যত গড়ায় কুয়াশার চাদর ততই ঘন হতে থাকে, যা ভোর রাত্রি পর্যন্ত চলে। ভোর সকালে শীতের চাদর হালকা হতে শুরু করে, দুপুরের দিকে তা প্রায় দেখাই যায় না। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় খুব একটা গরম অনুভূত হয় না। দুপুর গড়িয়ে বিকেল আসলে হালকা কুয়াশার চাদর পুরো নগরীকে ঢেকে দেয়। কুয়াশায় সৃষ্ট এই শীতের আমেজ নগরবাসীর মনে দোলা দেয়।
অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তর কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে। বিশেষ করে গ্রাম্য অঞ্চলে সকালে কুয়াশায় শীতের দৃশ্য প্রায়ই দেখা যাচ্ছে। এরইমধ্যে নারায়ণগঞ্জ‘র শহর সহ আশেপাশের এলাকায় শীতের আমেজ তৈরী হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল থেকেই নগরী মেঘাচ্ছন্ন ছিল। সারা দিনের গড় তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা রাত হলে আরও ২-১ ডিগ্রি করে কমবে। দুপুর থেকে কুয়াশার আবছা চাদর লক্ষ করা যায়। বিকেলের দিকে আগের তুলনায় কিছুটা ঘন হয়। রাতের দিকে তাপমাত্রা কমায় ঠান্ডা অনুভব হবে, কুয়াশার চাদরে নগরী আচ্ছাদিত হবে ভোড় পর্যন্ত। গাছের পাতায় পাতায় জমবে শিশির ফোটা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ধীরে ধীরে কুয়াশা পড়তে শুরু করলেও শীতের শুরু হতে নভেম্বর এসে পড়বে। তবে এবছর কুয়াশার প্রকোপ থাকবে। জানুয়ারি আসতে আসতে শীতের মাত্রা বাড়বে।