বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪
জেলাজুড়েসদর

নগরীতে স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে প্যালিয়েটিভ কেয়ার বিষয়ে সভাসভা

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নগরীতে কমিউনিটি স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে প্যালিয়েটিভ কেয়ার বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহষ্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সভা কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আয়াত এডুকেশন’র আয়োজনে ‘মমতাময় নারায়ণগঞ্জ’ প্রকল্পের আওতায় নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবকদের কমিউনিটি ভিত্তিক প্যালিয়েটিভ কেয়ার কার্যক্রমের সাথে তাদের উদ্বুদ্ধ করতে এবং প্রকল্পের কল্যাণমূলক কাজে তাদের সম্পৃক্ততা জোড়দার করার লক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়।

আয়াত এডুকেশনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর সুমিত বণিক এর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের চিফ হেলথ অফিসার ডা. নাফিয়া ইসলাম, আয়াত এডুকেশনের ডিরেক্টর প্রোগ্রাম লায়লা করিম, বিএসএমএমইউ’র রিসার্চ এ্যাসিস্টট্যান্ট ওয়াহিদা পারভীন। স্বেচ্ছাসেবার গুরুত্ব ও মমতাময় নারায়ণগঞ্জ প্রকল্পে ভলান্টিয়ারদের অবস্থা এবং গুরুত্ব বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন এ্যাসিস্টট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার সারওয়ার আলম, কমিউনিটি মবিলাইজার ফাহিম হোসেন প্রমুখ।

লায়লা করিম বলেন, ‘ভলান্টিয়ারিজম একটা সমাজের জন্য শক্তি। আর এই স্বেচ্ছাসেবা বা ভলান্টিয়ারিজম সবাই করতে পারে না, এমন কি সবার মন থেকে আসেও না। আর অন্যকে সেবার মধ্য দিয়ে যে প্রশান্তি পাওয়া যায়, তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে এবং নিজের মাঝেও উপলব্ধি করতে হবে। মমতাময় নারায়ণগঞ্জ প্রকল্পে নিরাময় অযোগ্য রোগে আক্রান্ত একজন রোগীর জীবনে ভলান্টিয়ারদের অনেক ভূমিকা রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য শুধু স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে আপনাদের প্রকল্পের কার্যক্রমের সাথে যুক্ত করা নয়, বরং পেশাগত জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা বৃদ্ধি করা।’

ওয়াহিদা পারভীন বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ ও বন্দর উপজেলার তরুণ ও ভলান্টিয়াররা এক হিসেবে সৌভাগ্যবান, কারণ এখানেই একমাত্র প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। আমরা কাজের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ করেছি যে, দুরারোগ্য ও জীবন-সীমিতকারী রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর, সমাজের মানুষ রোগী সম্পর্কে অনেক নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে, ভলান্টিয়ারদের এসব বদ্ধমূল ধারণা ও দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে যথেষ্ট কাজ করার সুযোগ রয়েছে।’

সমাপনী বক্তব্যে ডা. নাফিয়া ইসলাম বলেন, ‘এই জেনারেশনের ছেলে-মেয়েদের দেখে খুব আশা জাগে। কারণ যেকোন উন্নয়ন ও পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে পারে। প্যালিয়েটিভ কেয়ারের প্রয়োজনীয়তা আমরা তখনই বুঝতে পারবো, যখন আমাদের পরিবারে কারোর এই সেবাটি প্রয়োজন হবে। আপনার একটু আন্তরিক ব্যবহার, সহানুভূতি, সমবেদনা একজন প্যালিয়েটিভ কেয়ার রোগীর জীবনে কতটুকু প্রয়োজন, সেটার গুরুত্ব সবাইকে উপলব্ধি করতে হবে।’

বক্তব্য ও অভিজ্ঞতা উপস্থাপনের পর উপস্থিত স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ মুক্ত আলোচনা পর্বে এ সংক্রান্ত নিজেদের মতামত ও প্রশ্নগুলো তুলে ধরেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন আয়াত এডুকেশনের কমিউনিটি মবিলাইজার অনন্যা রহমান, কমিউনিটি ভলান্টিয়ার ও সংবাদকর্মী ইউসুফ আলী প্রধান, বিডি ক্লিন’র শফিকুল ইসলাম, সমাজ কর্মী সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

RSS
Follow by Email