নগরীতে চারুকলা প্রাঙ্গণ জমে উঠেছে বাংলা বর্ষবরণের প্রস্তুতিতে
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: দুয়ারে কড়া নাড়ছে বাঙালির সর্বজনীন উৎসব পহেলা বৈশাখ। পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে, নতুন বছর বরণে নারায়ণগঞ্জে হবে শোভাযাত্রা। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের চারুকলা ইনিস্টিউট শিক্ষার্থীদের শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি চলছে। চারুকলা প্রাঙ্গণ জমে উঠেছে বাংলা বর্ষবরণের প্রস্তুতি।
পহেলা বৈশাখ উৎসবের রূপ ফুটিয়ে তুলতে শোভাযাত্রার জন্য তৈরি হচ্ছে বর্ণিল মুখোশ, রঙিন মোটিফ আর বিশাল আকৃতির কাঠামো। এবারে ঘোড়া ও গ্রাম বাংলার নব্বই দশকের টমটম গাড়ির থিম দিয়ে তৈরী করা হচ্ছে নানা চারু শিল্পের কাজ।
আগামী সোমবার পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে চারুকলা ইনিস্টিউট থেকে শোভাযাত্রা বের হবে। সরেজমিন দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা বানাচ্ছেন রাজা-রানীর বিশাল মুখোশ, পেঁচা, জাতীয় পশু বাঘ, ইলিশ মাছ, পাখি ও ফুলের রঙিন অবয়ব।
এসব কাজে ব্যবহার হচ্ছে বাঁশ-কাঠ এবং কাগজ। এর মাধ্যমে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের পাশাপাশি তুলে ধরা হবে গ্রাম বাংলার চিরায়ত সংস্কৃতি। উঠে আসবে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলা বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবিও।
শিক্ষার্থীরা জানান, প্রতিবছরের মত এবারও পহেলা বৈশাখে নারায়ণগঞ্জ চারুকলা ইনিস্টিউট থেকে শোভাযাত্রা বের হবে। শোভাযাত্রার জন্য আমরা নানা রকমের মুখোশ তৈরি করেছি ও ছবি এঁকেছি। এর মাধ্যমে বাংলার সংস্কৃতির নানান অনুষঙ্গ ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করছি। প্রশাসনের নিরাপত্তার চাদরে পুর্ণ হবে আমাদের পহেলা বৈশাখের উদযাপন।
নারায়ণগঞ্জের চারুকলা ইনিস্টিউটের প্রভাষক শাওন সাহা সনেট জানান, আমাদের শিক্ষার্থীরা পহেলা বৈশাখে নানা আয়োজন করছে। আমাদের এখন পর্যন্ত বৈশাখ নিয়ে কোন শঙ্কা নেই। অতীতে আনন্দ শোভাযাত্রা ছিলো সেখান থেকে মঙ্গলশোভা যাত্রা হয়ে আবার সেটা বৈশাখী আনন্দ শোভাযাত্রা হয়েছে।
যেহেতু বৈশাখ আছে এতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। আমরা চাই এই বৈশাখের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক চিন্তার অবসান ঘটুক ও গুজবে কান না দিয়ে সমাজটাকে এগিয়ে নিয়ে যাক।