নগরীতে ইসলামী আন্দোলনের গণইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নগরীতে কল্যাণময় রাষ্ট বিনির্মাণে মহে রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১০ মার্চ) বাদ আছর মহানগর ইসলামী আন্দোলনের উদ্যোগে ডিআইটি মসজিদের পাশে এই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, পীর সাহেব চরমোনাই সব সময় বলেন আসুন আমরা সবাই মিলে দেশ গড়ি, দেশ গড়তে হলে আমাদের এ সাথে থাকতে হবে। কিন্তু আজ দেশ দুই ভাগে বিভক্ত। একভাগ হলো মজলুম ও আরেক ভাগ হলো জালেম। তবে আমাদের বিশ্ব নবী হজরত মোহাম্মদ (স:) বলেছেন তোমরা মজলুম ও জালেম দুজনকেই সাহায্য করো। মজলুমকে সাহায্য করো যাতে সে আর অত্যাচারীত না হয়। জালেমকে সাহায্য করো তার হাত টেনে ধরে যাতে সে আর অত্যাচার করতে না পারে। এই ইসলাম ও মানবতার কল্যাণে এই দেশে যারা রাজনীতি করে তারা সবাই আমাদের বন্ধু। আমাদের চরমোনাই সাহেব সবাইকে নিয়ে একসাথে দেশ গড়তে বলেছেন। বিগত দিনে অকে সরকার বড় কথা বলেছে, উন্নয়নের কথা বলেছে। এগুলো আমরা অনেক দেখেছি আর ধোকা খেতে চাই না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি দেলাওয়ার হোসেন সাকী বলেন, রাজনীতি শুধু নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য নয় জনগণের জন্য করতে হয়। আমরা বিগত সময়ে বারবার ক্ষমতার মধ্যে পালাবলদ দেখেছি কিন্তু মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন দেখিনি। এদেশের মেহনতি মানুষের মুখে হাসি দেখিনি। এই ২৪শের আন্দোলনের পরও আজ মানুষর মুখে হাশি নেই আইনের হাশি নেই। ধষনের জন্য আজও মা বোন কান্ন করছে। সন্ত্রাসী ও মিথ্যা মামলার জন্য এখনো মামলা করতো। আগে কালা মিয়া চাদাঁবাজি করতো, এখনো লাল মিয়া চাঁদাবাজি করে। যদি রাজনীতি জণগনের জন্য করা হয় তাহলে বিএনপিকে ভাবতে হবে তারা রাজনীতি করেন কিনা। তারা যদি মানুষের কল্যানে রাজনীতি করে তাহলে এই মিথ্যা মামলা হামলা বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ পরিষ্কার রাজনীতি চায়। বিএনপি ক্ষমতায় যাক আমাদের আপত্তি নেই কিন্তু মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ক্ষমতায় গিয়ে নিজেদের পেট পূজা করলে হবে না। আমরা অনেক দেখেছি আর প্রতারিত হয়ে চাই না।
জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশ নিয়ে কথা বলতে রমজানের শিক্ষা নিয়ে কথা বলতে হয়। এই রমজানের শিক্ষার আওলেক একটা দেশ গড়তে পারলে এবং সেই দেশে বসবাস করাতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু এই দেশে খুন, ছিনতাই নিত্য দিনের ঘটনা। এই খুন, ছিনতাই, ডাকাতি করার জন্য ২৪শের আন্দোলন করা হয়নি। রমজানের শিক্ষার আলোকে ২৪শের অভ্যুত্থান হয়েছে। আসেন আমরা সবাই রমজান ও ইসলামের ভিত্তিতে দেশ গড়ি।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, একজন মুসলিমের কাজ কথায় ও কাজে মিল থাকে। ভিতরে এক কথা কিন্তু বাহিরে আরেক কথা এমন করলে হবে না। খুনি হাসিনা, গডফাদার আমাদের যে নির্যাতন করেছে টা আমরা ভুলে গেলেও আগামী প্রজন্ম ভুলবে না। আওয়ামীলীগ মানেই ফ্যাসিস্ট, যারা আওয়ামীলীগ করে সবাই ফ্যাসিস্ট। আওয়ামীলীগের এক অংশকে ফ্যাসিস্ট বললো অন্য অংশকে বলবো না এমন নয়। নারায়ণগঞ্জে ঘটে যাওয়া সকল হত্যার বিচার চাই। আমাদের খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ আছেন। তাদের জন্য আপনারা দয়া কইরেন।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ইসলামী আন্দোলনের সাথে বিএনপিরসহ অনেক সংগঠন খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে কাধে কাধ রেখে আন্দোলন করেছি। আমাদের এই আন্দোলনের সুফল যেন নষ্ট না হয়। রমজানের মাসে সকলকে ধর্য ধরার জন্য অনুরোধ করছি।
গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন বলেন, ইসলামী আন্দোলনের সাথে আমরা কাধে কাধ মিয়িলে অত্যাচারের বিরুদ্ধে ১৭ বছর লড়াই করেছি। তারা দীর্ঘকাল আমরা সাথে রাজপথে থেকে লড়াই করেছে। ওই ওসমানদের বিরুদ্ধে রাজপথে আমরা এক ছিলাম। আমরা জানি কারা ওসমানদের স্বার্থে কাজ করেছে, কিন্তু ইসলামী আন্দোলন কখনও সন্ত্রাসীদের পক্ষে কাজ করেনি। এই নারায়ণগঞ্জে আমাদের ত্বকী, মিঠু ও বুলুকে যে নির্মম ভাবে তারা হত্যা করেছিল ওসমানরা। এই বিচারহীনতার বিরুদ্ধে ইসলামী আন্দোলন কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করি।
মহানগর গনঅধিকার পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নাহিদ বলেন, ৫৪ বছর স্বাধীনতার হলেও আমরা আজও স্বাধীনতার স্বাদ পাইনি। কিছু লোক বা জাতির জন্য আমাদের স্বাধিনতার স্বাদ থেকে কুক্ষিগত করে রেখেছে। কিছু সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কারণে আজও দেশে বিভিন্ন অপরাধ লেগেই আছে। আমরা চাই না আগামীতে কোনো সন্ত্রাসী গুষ্টি যেন সরকারের ক্ষমতায় যেতে পারে। তাই আমরা সকল ইসলামী সংগঠনগুলোর সাথে একাক্কতা জানাই।