নগরভবন ছাড়ার সময় আইভী ‘কমেই সন্তুষ্ট’
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর অন্তর্বতীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে জনপ্রশাসন বিভাগ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় বিভিন্ন অঞ্চলে জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অপসারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে নারায়ণগঞ্জের সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদ থেকে সেলিনা হায়াত আইভীকে অপসারণ করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) স্থানীয় সরকার বিভাগের এক প্রজ্ঞাপন এর মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জসহ ১২টি সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে অপসারণের আদেশ দেওয়া হয়।
মেয়র পদ থেকে অপসৃত হওয়ার পর নগরভবন ত্যাগ করার পূর্বে সেলিনা হায়াত আইভী বলেন, ৫ তারিখের পর থেকেই আমি আল্লাহর কাছে দোয়া চেয়েছি, আল্লাহ তুমি যেটা সবার জন্য ভালো মনে করো সেই ফয়সালা দিও। মা শিখিয়ে গেছেন, যত বিপদে পর না কেন আলহামদুলিল্লাহ বলবা। কারণ তুমি জান না এর পিছনে আল্লাহ কি পরিকল্পনা করেছেন। কম খাওয়া, কমে থাকা, কমে সন্তুষ্ট হওয়া এটা আমি আমর মা থেকে শিখেছি। এ জন্যই হাসিমুখে যেতে পারছি, একটু খারাপ লাগছে। বার বার মনে হচ্ছে এটাই আমার জন্য উত্তম। শুধু একা আমাকে যেতে বলা হলে প্রতিবাদ করতাম। কিন্তু সমগ্র দেশের একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরে প্রতি সম্মান দেখিয়ে আমি সরে আসছি।
তিনি বলেন, আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে দল-মত নির্বিশেষে নগরবাসীর সেবা করেছি৷ সিটি মেয়র হিসেবে কখনও কাউকে দলীয় চোখে দেখিনি, নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছি৷ সবসময় অন্যায়, অত্যাচার, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাহসের সঙ্গে প্রতিবাদ করেছি৷ আগামীতেও আমি একইভাবে নারায়ণগঞ্জবাসীর পাশে থাকব৷
প্রসঙ্গত, ১৬ আগস্ট ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’, ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’, ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ ও ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া অনুমোদন করে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। পরে তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়। ওই সংশোধনীর কারণে বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে সরকার জনস্বার্থে কোনো সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরকে অপসারণ করতে পারবে। একইভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের অপসারণ করতে পারবে। একই সঙ্গে এগুলোয় প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে সরকার।