ধরার ক্ষমতা যদি না থাকে, না.গঞ্জে পুলিশ থাকার দরকার নাই: সেলিম ওসমান
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, মাদক নির্মূলে পুলিশকে কঠিন হতে হবে। এই দায়িত্ব প্রশাসনের, সাধারণ মানুষের না। এখানে অনেক বড় হাত থাকতে পারে। এদের ধরার ক্ষমতা যদি না থাকে, নারায়ণগঞ্জে পুলিশ থাকার দরকার নাই বলে আমি মনে করি। পুলিশের উদ্দেস্যে বলবো, আপনারা মাদক ব্যবসায়ীদের ধরার চেষ্টা করেন। সামনে রোজার মাস, সাধারণ মানুষ যাতে কষ্ট না পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের একসাথে বসে অনেক কাজ করতে হবে। আমি একটা কথা বলতে চাই, কেউ উত্তেজিত হবেন না। কোরবানীর ঈদ পর্যন্ত সময় নেই, সে সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান করবো। মাদক এখন প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে। যারা বিক্রি করে, তাদেরকে বাঁচিয়ে দিয়েন না। তাদের ছবি তুলে পুলিশকে জানিয়ে দিন। পুলিশ অকর্মা না, বাংলাদেশের পুলিশ অনেক শক্তিশালী। শুধু ছবি তুলে দেন পুলিশের নিকট। প্রমাণের মাধ্যমে মাদক দূর হবে। সেই সাথে যে ভালো ছবি তুলে দিবে তাকে পুরস্কৃত করা হবে। আমাদের বাচ্চারা যেন ইভটিজিং এর শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। বাচ্চারা যাতে সময় মতো স্কুলে যেতে পারে। প্রত্যেক পাড়া-মহল্লায় প্রত্যেক গ্রামে প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে যাতে কেউ ইভটিজিং করতে না পারে।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) চাষাঢ়ায় বিকেএমইএ ভবনে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সেলিম ওসমান বলেন, রোজার মাস সামনে। দ্রব্য মূল্যের দাম কমিয়ে আনতে হবে। আমি সিটি কর্পোরেশনের কাছে অনুরোধ করবো, জেলা প্রশাসনের কাছেও অনুরোধ করবো যে, যারা শহরে রাস্তা ও ফুটপাথ দখল করেছে তাদের আইডি কার্ড সংগ্রহ করার ব্যবস্থা নিন। আইডি কার্ড নেওয়া হলে বুঝতে পারবো কয়টা দোকান রাখতে হবে, কয়টা দোকান সড়াতে হবে। রাস্তা-ফুটপাত দখলের কারণে সাধারণ মানুষের যাতায়াতে কষ্ট হচ্ছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে অতিরিক্ত সময় লাগছে। আমরা এক এক এলাকার জন্য এক এক বার বসবো। যতক্ষণ পর্যন্ত চলাচলের ব্যবস্থা ঠিক না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত কাজ করবে হবে। রাস্তার উপর যত্রতত্র বাস, রিকশা রাখা হয়। এত রিকশা কেন শহরে, এত ইলেকট্রিক ট্যম্পোর কে লাইসেন্স দেয়। যেখানে সেখানে বাসের স্ট্যান্ড হচ্ছে, কে পারমিশন দিচ্ছে। আজ আমারই এই ট্যাম্পোর জন্য বিএকএমইএ‘র অফিসের ভিতরে আসতে ২০ মিনিট লাগলো। এখানে কারা আয় করছে, কোথায় যাচ্ছে এ আয় জানা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, নাসিম ওসমান পার্ক, আমি চুরি করবো ডাকাতি করবো মাইক বাজিয়ে লটারি করবো; ওয়াট ইজ দিস। নাসিম ওসমান চার চার বারের সংসদ সদস্য হয়েছেন। তার নামে জুয়ার আশর বসবে, কে এই পারমিশন দিল। আমি চাই আজকে থেকে এই জুয়ার আশর যাতে বন্ধ হয়। আমি আজ সেখানে গিয়েছিলাম কিন্তু কাউকে পাই নি। আমি শুনেছিও নাসিম ওসমানের সন্তান এ অপকর্ম প্রতিরোধের চেষ্টা করেছে। ওই পার্কটি চিলড্রেন পার্ক হিসেবে তৈরী করা হয়েছে। কিন্তু ওখানে যে জুয়া চলবে এটা তো হতে পারে না। আইনশৃঙ্খলা বাহীনির প্রতি অনুরোধ রাখবো আজ রাত থেকেই এই জুয়া যাতে না চলে সে ব্যবস্থা করুন। তিনি যত বড়ই নেতাই হন না কেন, এই কাজ সে করতে পারবে না।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দ্বীপু, সহ-সভাপতি বিল্লাল হোসেন রবিন, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবন, যুগ্ম সম্পাদক আহসান সাদিক, কোষাধ্যক্ষ আনিসুর রহমান জুয়েল, কার্যকরী সদস্য আবু সাউদ মাসুদ, মাহফুজুর রহমান, আব্দুস সালাম, আফজাল হোসেন পন্টি, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান বাদল ও রুমন রেজা, প্রেস ক্লাবের স্থায়ী সদস্য এম আর কামাল, প্রনব কৃষ্ণ রায়, রফিকুল ইসলাম রফিক, দিলীপ কুমার মন্ডল, আনোয়ার হাসান। এছাড়া নাগরিক টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি ও লাইভ নারায়ণগঞ্জ অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক মোহাম্মদ কামাল হোসেন, দৈনিক ইত্তেফাক’র ফটো সাংবাদিক তাপস সাহা, দৈনিক সমকাল’র ফটো সাংবাদিক মেহেদী হাসান সজীব, বাংলা নিউজ টোয়েন্টি ফোরের পারেভজ, জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধি মোবাশ্বেরসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
ব্যবসায়ী নেতৃবন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, সহ-সভাপতি (অর্থ) মোরশেদ সরোয়ার সোহেল, পরিচালক শাজাহান হোসেন সাজানু, নিটিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি সেলিম সারোয়ার, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া প্রমুখ।