বুধবার, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪
Led01অর্থনীতি

দেশের অর্থনীতির চাকায় গতি ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্র অভূতপূর্ব ভূমিকা রাখবে: হাতেম

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বিকেএমইএ‘র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, তৈরি পোশাক রপ্তানিতে একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বে বাজারে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। প্রথমত আমি একজন ব্যবসায়ী, সেই সাথে বাংলাদেশের নিটওয়ার এক্সপোর্ট সেক্টরের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন এর একজন নেতা। সে হিসেবে আপনাদের উদ্দেশ্যে আমি কিছু কথা বলতে চাই। আমরা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নতুন একটি বাংলাদেশ পেয়েছি। বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি সংকটময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে দেশের গঠন কাঠামো এক অভিনব পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নোবেল বিজয়ী ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার দেশের কাঠামোতে পুনর্গঠনের সেই চেষ্টা চালাচ্ছে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকায় গতি ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের (ইউএসিএ)‘র ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা অভূতপূর্ব ভূমিকা রাখবে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত রিবিল্ড বেটার বাংলাদেশ সামিটে এ কথা বলেন তিনি। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) হার্ভার্ড এবং কলোরাডো ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের আয়োজনে এ সামিটে সহযোগিতায় ছিলেন গ্রেটার নিউইয়র্ক চেম্বার অব কমার্স, আই অ্যাম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ইনক্ এবং ওয়ার্ল্ড হিউমান রাইটস ডেভেলপমেন্ট ইউএসএ।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বাংলাদেশ ও ইউএসএ‘র ব্যবসায়ীরা একত্রে মিলে কাজ করলে, সঠিক পলিসি প্রয়োগ করে অর্থনীতির কাঠামোতে সজীবতা ফিরিয়ে আনতে পারি। আপনাদের সকলের তাৎক্ষণিক সহযোগিতা বাংলাদেশের অথর্নীতিকে চাঙ্গা করে তুলবে। বর্তমানে আমাদের দেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নোবেল জয়ী ও গুণবান ব্যক্তি ডক্টর ইউনূস। তিনি ইউএসএ‘র প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে সাক্ষাত করেছেন। ডক্টর ইউনূসের সমস্ত উদ্বেগকে জো বাইডেন সমর্থন করেছেন। ২০১৩ সালে পোশাক শিল্পে জিএসপি সাসপেন্ড করা হয়েছিল, শুধুমাত্র খেলনা ও অল্প কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে জিএসপি ছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে পোশাক ক্যাটাগরি সহ জিএসপি স্কিম পুনরুদ্ধারে আমরা মার্কিন সরকারকে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। অথবা চুক্তির অধীনে মার্কিন বাজারে আমাদের পোশাক শুল্কমুক্ত করে আনয়নের ব্যবস্থা করে দিন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিরাপত্তা ও কর্মীদের অধিকারের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। পোশাক উৎপাদন, বিশ্বে সামাজিক সম্মতি ও নিরাপত্তার মান নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ একটি রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হয়। এনএফপিএ স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করে কাঠামোগত, বৈদ্যুতিক এবং অগ্নি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিশ্বের সর্বোচ্চ মান বজায় রাখছে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। আমাদের দেশে বিশ্বের সর্বোচ্চ সংখ্যক ইউজিবিসি সার্টিফাইড গ্রিন এবং প্লাটিনাম ক্যাটাগরির কারখানা রয়েছে, যার সংখ্যা ২২৭ টি। সুতরাং, জিএসপি পুনরুদ্ধার বাংলাদেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন করে দেশের ভাবমূর্তি গড়ে তুলবে।

RSS
Follow by Email