দেওভোগে চমৎকার নান্দনিক মসজিদ নির্মাণ, উদ্বোধনী জামাতে মুসুল্লীদের ঢল
# মসজিদ নির্মানে আল্লাহ বরকত দিয়েছে: মসজিদের প্রধান উপদেষ্টা
# মসজিদে লাশ গোসলের ঘর বানানো হয়েছে
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নগরীর পশ্চিম দেওভোগে ‘বায়তুল আকসা জামে মসজিদ’র উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় পশ্চিম দেওভোগ পূর্বনগর এলাকায় ওই মসজিদের উদ্বোধন করা হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বায়তুল আকসা জামে মসজিদ’র প্রধান উপদেষ্টা ও মোতওয়াল্লী আলহাজ্ব মো. বুলবুল ইসলাম।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মসজিদ নির্মাণে ইঞ্জিনিয়ারসহ যারা এই মসজিদের কাজের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো, তাদের সকলকে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মননা দিয়েছে। এছাড়া বায়তুল আকসা জামে মসজিদ’র নির্মাণের মূল উদ্যোক্তা, প্রায় সকল ব্যয় যার মাধ্যমে হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা ও মোতওয়াল্লী আলহাজ্ব মো. বুলবুল ইসলামকে স্থানীয়রা ও নির্মাণের সকল ইঞ্জিনিয়ার-ঠিকাদাররা মিলে পৃথকভাবে সম্মননা ক্রেস্ট দেয়। সকলকে খেজুর দিয়ে মসজিদে স্বাগতম জানানো হয়। এরপর দোয়া ও আলোচনা সভা করা হয়। নান্দনিক এই মসজিদে ১২শ’ মুসুল্লী ধারণা ক্ষমতা সম্পন্ন হলেও, উদ্বোধনী দিনে প্রায় ৫ গুণ বেশী মুসল্লীর আগমন ঘটে। অনেকে মসজিদে জায়গা না পেয়ে মসজিদের বাহিরে আশেপাশের সড়কে মুসল্লীরা নামাজে শরীক হয়। কেউ কেউ জায়গা না পেয়ে অন্যত্র চলে যেতে দেখা গেছে।
এ সময় বায়তুল আকসা জামে মসজিদ’র সভাপতি শফিউদ্দিন খোকন সরদারের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন খন্দকার সিপনের সঞ্চালনায় প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামিআ আরাবিয়া দারুল উলুম দেওভোগ মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, বিশেষ মেহমান ছিলেন দেওভোগ মাদ্রাসা মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি হারুন অর রশীদ, দাতা সড়ক বাইতুল হক জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আব্দুর রহমান। আলোচনায় ছিলেন বায়তুল আকসা জামে মসজিদ’উপদেষ্টা হাফেজ মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন, বায়তুল আকসা জামে মসজিদ’র ইমাম ও খতিব মুফতি মিসবাহ্ খাঁন। আরজগুজার ছিলেন বায়তুল আকসা জামে মসজিদ’র সাধারণ সম্পাদক মাঈন উদ্দিন আহম্মেদ।
বায়তুল আকসা জামে মসজিদ’র প্রধান উপদেষ্টা ও মোতওয়াল্লী আলহাজ্ব মো. বুলবুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদের প্রতিক্ষায় আল্লাহ আমার স্বপ্ন পুরণ করেছে। আমার স্বপ্ন ছিলো এখানে একটা মসজিদ করবো। মসজিদ নির্মানের সময় আল্লাহ অনেক বরকত দিয়েছে। মসজিদে লাশ গোসল দেয়ার ঘর বানানো হয়েছে। মসজিদের কমিটির একতা সম্ভব। আমরা সবাই একতা থাকলে হিংসা থাকবে না, ইসলাম গুছানো থাকবে ও প্রতিহিংসা দূর হয়ে যাবে। সৌদি আরবের মক্কার সাউন্ড সিস্টেম ২য় কপিটা আমরা এনেছি এই মসজিদের জন্য। পুরো মসজিদ ১০ শতাংশ ও অজুখানা ৪ শতাংশ জমিতে তোলা হয়েছে। ৮ তলার ফাউন্ডেশন করে ৩ তলা করা হইছে। এ পর্যন্ত মসজিদের নির্মাণ কাজে প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। আরেকটি ভবন করা হয়েছে,সেটিতে অফিস কক্ষ, ইমাম ও মোয়াজ্জেমের জন্য থাকার কক্ষ তৈরী করা হবে। এছাড়া মক্তব করা হবে।