বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪
Led01Led02ধর্ম

দূর্গার চরণ থেকে সিঁথিতে সিঁদুর দিচ্ছে বিবাহিতরা, অবিবাহিত ও শিক্ষার্থী চাইলেন জ্ঞান

# মেয়ে বাপের বাড়ি যাওয়ার মতো খারাপ লাগছে
# দুর্গার বিদায়ে বিষাদের মাঝে আনন্দ কেবল সিঁদুর খেলায়
# বিদ্যা বেদীর কাছে সকলের মঙ্গল চাইলাম
# আশির্বাদ চাই যাতে আবার আমরা আনন্দে মেতে উঠতে পারি

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: পঞ্জিকা বলছে আজ একাদশী, আবার কোনও পঞ্জিকা বলছে, আজ দশমী। এখনো নারায়ণগঞ্জে মা দুর্গার বিসর্জন হয়নি, এমন কী সিঁদুর খেলাটাও তুলে রাখা ছিল রবিবারের জন্য। অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ, কল্যাণ এবং সব মানুষের মধ্যে শান্তি ও সম্প্রীতির আকাঙ্খা নিয়ে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আজ শেষ হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। তাইদুর্গাপূজার মণ্ডপগুলোতে একদিকে বিসর্জনের বিষাদ, অন্যদিকে সিঁদুর খেলার আনন্দ। ফলে আনন্দ-বিষাদে ভরে আছে ভক্তদের অন্তর। আবারও দেবী দুর্গার মর্ত্যলোকের আগমনে অপেক্ষা এক বছরের। চোখের কোণে জল নিয়েও উৎসবমুখর পরিবেশে ত্রিনয়নীকে বিদায় দেবেন ভক্তরা। চাইছেন অশুভ শক্তি বিনাশের আশীর্বাদ।

রবিবার (১৩ অক্টোবর) শহরের দেওভোগ, টানবাজার, আমলাপাড়া, ভূইয়ারবাগ, নিতাইগঞ্জসহ বিভিন্ন পূজা মন্ডপে এমন চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গোৎসবে আজ বিজয়া দশমী। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হচ্ছে এ উৎসব। তাই দেবী দুর্গার বিদায়ের আগে মন্দিরে মন্দিরে চলছে সিঁদুর খেলা। লাল-সাদা শাড়ি পড়ে গৃহিণীরা বরণডালা ও সিঁদুরের কৌটা নিয়ে হাজির। তারা দেবীর চরণ স্পর্শ করে সঙ্গী বা উপস্থিত অন্য ভক্তদের কপালে-কপোলে সিঁদুর মাখিয়ে দিচ্ছেন। পাশাপাশি অবিবাহিত নারী ও শিক্ষার্থীরা জ্ঞান, সঙ্গীত, শিল্পকলা, বাক্য, প্রজ্ঞা ও বিদ্যার্জনের দেবী মা সরস্বতীর কাছেও চেয়েছেন আশির্বাদ। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হবে বিজয়া দশমীর আনুষ্ঠানিকতা। দেবী দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী ও কার্তিক গণেশকে দেয়া হবে বিসর্জন। দুর্গার বিদায়ে বিষাদের মাঝে আনন্দ কেবল সিঁদুর খেলায়। আবারও দেবী দুর্গার মর্ত্যলোকের আগমনে অপেক্ষা এক বছরের। চোখের কোণে জল নিয়েও উৎসবমুখর পরিবেশে ত্রিনয়নীকে বিদায় দেবেন ভক্তরা। চাইবেন অশুভ শক্তি বিনাশের আশীর্বাদ।

এদিকে, বিসর্জন উৎসবমুখর ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জে বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা পুলিশ। দশমীর শোভাযাত্রা ও বিসর্জন উপলক্ষে বিশেষ নিরাপত্তার জন্য প্রস্তুত আছে সেনাবাহিনী, পুলিশ, ডিবি, র‌্যাবসহ নৌ পুলিশ টিম। বিসর্জন শোভাযাত্রার সম্ভাব্য রুট হলো, বিভিন্ন মন্দির থেকে বের হয়ে বি.বি রোডে আসবে। এরপর প্রধান এই সড়কের নিতাইগঞ্জ, মন্ডলপাড়া, ২নং রেলগেট, উকিলপাড়া, গলাচিপা থেকে চাষাড়া হয়ে আমলাপাড়া, কালির বাজারের মোড় দিয়ে ১নং গেইট দিয়ে ৩নং মাছ ঘাটে গিয়ে শেষ হবে।

অন্তরে আনন্দ-বিষাদ নিয়ে বিবাহিত ভক্ত ও অবিবাহিত তরণী এবং শিক্ষার্থীরা জানান, মাকে বিদায় দিয়ে দিবো তাও চেষ্টা করছি আনন্দের সাথে মাকে বিদায় দিতে। হিন্দু র্ধমমতে মায়ের পায়ে সিঁদূর দিয়ে তারপর আমরা একজন আরেকজনকে সিঁদুর লাগাই। মা চলে যাচ্ছে ভালোও লাগছে আবার খারাপও লাগছে। মায়ের চরণে বছরে একবার সিঁদূর দেই। বিদায়ের বেলায় সবারই খারাপ লাগে প্রকাশ করার মতো না। আবার ১ বছর পর আসবে এই সময় কেউ বেচেঁ থাকবে কেউ মারা যাবে, তাই সবাই তো একসাথে এক হতে পারবো না। মেয়ে যখন বাপের বাড়ি থেকে যাওয়ার খারাপ লাগে এমনি লাগছে। মা যাচ্ছে সবার জন্য যাতে মঙ্গল করে। দেশ যাতে ভালো থাকে সেই আশির্বাদ চাই মায়ের কাছে।

তরণী এবং শিক্ষার্থীরা জানান, মায়ের কাছে বিদ্যার্জন চাইলাম, যাতে আরও ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারি। আমরা সিঁদুর খেলতে পারি না। বিদ্যার দেবীর কাছে চাইলাম সামনে যাতে ভালো রেজাল্ট করতে পারি। সিঁদুর মূলত মায়ের পায়ের নিচে থেকে নেয়া, সেটাসবাই দিতে পারে বিবাহিত-অবিবাহিত। কিন্তু অবিবাহিতরা সিঁথিতে সিঁদুর দিতে পারে না। বিদ্যা বেদীর কাছে সকলের মঙ্গল চাইলাম। তাতীঁবাজারের ঘটনার জন্য মনটা একটু খারাপ। আমাদের আশির্বাদ চাই যাতে আবার আমরা আনন্দে মেতে উঠতে পারি।

RSS
Follow by Email