দূর্গাপূজায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ-প্রশাসন ও সেনাবাহিনী তৎপর: ডিসি
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক বলেছেন, দূর্গা পূজা উপলক্ষে প্রতিবারই আমরা পূজার প্রস্তুতি, নিরাপত্তা এবং সার্বিকভাবে যথাযথ ব্যবস্থা নেই। তবে এবার আগের চাইতে একটু বেশি ধাপ অবলম্বন করা হচ্ছে। ৯ থেকে ১০টা মন্ডপ এর জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশের টিম থাকবে। সেই সাথে র্যাবের টিম থাকবে, সেনাবাহিনীও এক্টিভ থাকবে। আমরা সেনাবাহিনীর সাথে আলাদাভাবে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিব। কোন সেক্টরে কোন ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে এবং পুলিশের কোন টিম থাকবে। র্যাবের টিম কোন অঞ্চলে টহলে থাকবে, বিজিবি কোন অংশ কাজ করবে সেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আমরা আলোচনার মাধ্যমে অঞ্চলগুলোতে টহল টিম বন্টন করবো। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সকল ব্যবস্থা নেব।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে এক প্রস্তুতিমূলক সভায় এ কথা বলেন তিনি। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত এ সভায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী, প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গুজব হতে সাবধান থাকার আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন কিছু দেখলে আপনারা যাচাই করবেন। এখন ফেসবুকে অনায়াসে পুরোনো কোন ভোগান্তির চিত্র দিয়ে নিউজের আকৃতিতে রিপোর্ট করে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এগুলো যখন আপনারা দেখবেন, সাথে সাথে তা বিশ্বাস করবেন তা। নিজের মতো করে সেই তথ্য যাচাই করবেন। বিভিন্ন মানুষদের সাথে কথা বলবেন, প্রশাসনের ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীলদের সাথে কথা বলে জানার চেষ্টা করবেন এটি আসলেই সত্য কিনা। দেখামাত্রই কোনভাবে বিশ্বাস করা যাবে না। কোথাও কোন সমস্যা হলে তাৎক্ষণিকভাবে কন্ট্রোল রুম, ইউএনও, পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনীকে জানাবেন। নারায়ণগঞ্জের একটি ঐতিহ্য রয়েছে। কোন দুষ্কৃতিকারী কোন সুযোগ না নিতে পারে, কোন স্বার্থন্বেষী যাতে নিজের স্বার্থ হাসিল না করতে পারে দলমত নির্বিশেষে আমাদের একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, আজানের সময় সাউন্ডবক্স বা উচ্চস্বরে বাজনা যাতে বন্ধ থাকে। এ ব্যাপারটি মেইনটেইন করতে হবে। আরেকটি বিষয় হলো আনসার সদস্যরা মন্ডপের নিরাপত্তায় থাকবে। ২৪ ঘন্টাই তারা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন, প্রয়োজনে কোন সদস্য সড়ে গেলেও মন্ডপের সীমানায় যাতে দুইজন সদস্য থাকে সে ব্যবস্থা করা হবে। তবে আয়োজকদের বলবো, তাদের সুপেয় পানি ও বিশ্রাম নেওয়ার ব্যবস্থা করে দিবেন। খাওয়ার জন্য কোন সদস্য দূরে গেলে, দুষ্কৃতি প্রবেশের সুযোগ পাবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এলাকা ভেদে কিছু মানুষদের সাথে যোগাযোগ রাখবো, তাদের নাম ও ফোন নাম্বার নেওয়া হবে। পূজার প্রস্তুতি, মন্ডপ এ কোন কিছু হলে তারা জানাবেন। এছাড়াও সিসি টিভি ক্যামেরা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। থানার ওসি সাহেবরা এবং ইউএনও মন্ডপগুলোতে নজর রাখবেন। এরই সাথে যারা পূজা উদযাপনের জন্য আসবেন, তাদের কাছে ব্যাগ থাকলে প্রয়োজনে চেক করবেন। প্রতিটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ২৪ ঘন্টাই দুর্যোগ মোকাবেলায় রেডি থাকে। দূর্গা পূজা উপলক্ষেও ফায়ার সার্ভিস রেডি থাকবে।