দুদকের মামলা আমার কাছে আশীর্বাদ স্বরূপ: চেয়ারম্যান এহসান
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: দুদকের মামলাটি আমার কাছে একটি আশীর্বাদ স্বরূপ। আমার কাছে এই মামলা দুশ্চিন্তার কোনো বিষয় নয় বলে মন্তব্য করেছেন বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি আরও বলেন, আমার সাবেক সচিব ইউসুফ এই টাকার প্রধান আত্মসাৎকারী। আমি তার বিরুদ্ধে মামলা করেছি এবং বিগত চার বছর ধরে সেই মামলা চলমান আছে। এর মধ্যে দুই বছর সে পলাতক আসামি ছিল, প্রায় ২০-২৫ দিন জেল খাটার পর সে হয়তো এখন জামিনে আছে। আমার করা সেই মামলার অনেকটা ট্রু-কপি হচ্ছে দুদকের এই মামলা। এই মামলায় পুঙ্খানুপুঙ্খ অপরাধের বিবরণ এবং বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছে। যেভাবে এই রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে সেখানে প্রকৃত অপরাধী কে সেটা উঠে আসবে বলে আমার বিশ্বাস। আমি কখনো বিশ্বাসঘাতকদের সাথে কম্প্রোমাইজ করিনি। আর সেই ফলাফলই হচ্ছে আজ দুদকের মামলা। তবে আপনাদের মনের প্রশ্ন থাকতে পারে যে মামলার আসামি আমি কেন?
ইউনিয়ন পরিষদের টাকায় কেনা একটা কলমও যদি চুরি হয়ে যায় তাহলে নিয়ম অনুযায়ী সেই দায়ভার চেয়ারম্যান হিসেবে আমার ঘাড়ে এসে পড়ে। আর যতক্ষণ পর্যন্ত এই কলম উদ্ধার না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এই কলম চুরির দায় আমার উপর থাকবে। সেভাবেই টাকা আত্মসাৎকারীর তথ্য সঠিকভাবে শনাক্ত এবং টাকা উদ্ধার না করা পর্যন্ত এ মামলার দায় আমার উপরেই বর্তায়। সেই হিসেবে এই মামলার আসামী আমাকে করা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি মামলার মাধ্যমে বের হয়ে আসবে আসল টাকা আত্মসাৎকারী কে। আমি যদি মরেও যাই তাহলেও আপনারা জানতে পারবেন যে কে এই টাকা আত্মশাৎ করেছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) মোট ৩৩ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদ ও পরিষদের সাবেক দুই সচিবের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অভিযুক্ত ৩ জন নিজেদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তারা অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ইউপির জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ফি বাবদ আদায়কৃত ৩৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। এছাড়াও তারা জাল জন্ম নিবন্ধন ব্যবহার ও সংরক্ষণ, অস্তিত্বহীন ব্যক্তির নামে জন্ম নিবন্ধন আইডি তৈরি করেন যা দণ্ডবিধির ধারা অনুযায়ী দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।