দুই-চার জন বিএনপি নেতার অপকর্ম রুখে দিতে হাজারো নেতাকর্মী আছে: আশা
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির নেতা আবুল কাউসার আশা বলেছেন, শত শত ছাত্রদের রক্তের বিনিময়ে এ স্বাধীনতা পেয়েছি। আমরা চেয়েছি বৈষম্যমুক্ত সমাজে যেখানে ছাত্ররা নির্বিঘ্নে পড়াশুনা করবে, ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে ব্যবসা করবে। গত ১৫ বছরের শেখ হাসিনার সরকারের কারণে মানুষ কথা বলার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ৫ই আগস্টের পর স্বাধীনতা লাভের পর মানুষ সেই অধিকার পেয়েছে। কিন্তু কতিপয় মানুষজন নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য পুলিশের উপর চরাও হয়ে দুর্নীতি ও লুটপাতে লিপ্ত হয়েছে। আপনাদের হুশিয়ারী দিতে চাই, আপনারা দুই চার জন বিএনপি নেতা ছাড়াও হাজারো নেতাকর্মী আছে যারা এ অপকর্ম রুখে দেওয়ার জন্য যথেষ্ঠ।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল শেষে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সভায় একথা বলেন তিনি।
আবুল কাউসার আশা বলেন, গতকাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিবের ওপর হামলা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। পাশাপাশি টিপু সাহেবকে বলব আপনার ভাষা সংযত করুন। আজেবাজে কথা বলবেন না। সুজন ও রাজু গরু লুট করে তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। এর প্রমাণ প্রশাসনের কাছে আছে। আপনারা তাদের মদদ দেন, আর বলেন জাকির খান জেল থেকে চাঁদাবাজি করছে। আরে যারা বাইরে আছে তাদের আগে শাসন করেন। জেলে বসে যদি কেউ অপকর্ম করে প্রশাসন সেটা দেখবে।
তিনি বলেন, আমাদের কমিটি না থাকলেও হাজার হাজার নেতাকর্মী আমাদের সাথে হাঁটে। কমিটি না থাকলে আপনারা রিক্সায় ওঠার লোকও পাবেন না। মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দের প্রতি সম্মান রেখে বলছি। আপনাদের সাথে একসাথে আন্দোলন সংগ্রামে ছিলাম। অনেক মামলার আসামি হয়ে একসাথে আমরা কারবরণ করেছি। আপনারা সত্য না জেনে গতকাল যে বক্তব্য দিয়েছেন, কেউ বলেন বাড়ির ইট খুলে নিয়ে আসবেন, কেউ বলেন শহরে থাকতে দিবেন না। আপনাদের বলতে চাই অন্য কোন দলের হলে আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতাম। যেহেতু এক দল করি, আমরা সবাই সাফারার। আপনাদের বক্তব্য সংযত করুন, সত্য জানার চেষ্টা করুন।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার অস্ত্র ছিল মামলা দিয়ে দমিয়ে রাখা। মহানগর বিএনপির এখন যারা আছেন, তারাও একই রাস্তায় হাটছে। মামলার পরে মামলা দিয়ে যাচ্ছে। প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করার উদ্দেশ্যে ব্যবসায়ীদের থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষদের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে মামলা দিচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। শিল্পপতিদের বিরুদ্ধে নাম দিচ্ছে, যাতে চার্জশিট থেকে নাম কাটার সময় মোটা অঙ্কের টাকা নিতে পারে। আপনারা ভালোর পথে আসুন। ভালোর পথে চললে, কথা দিচ্ছি আমরা আপনাদের সাথে থাকবো।