সোমবার, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪
Led02জেলাজুড়েরাজনীতিরূপগঞ্জ

দাউদপুরে সহিংসতায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, নিরাপত্তাহীনতায় চেয়ারম্যান

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: রূপগঞ্জে নির্বাচনোত্তর সহিংসতার আতঙ্ক এখন থামেনি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ভাঙচুরসহ ককটেল বিস্ফোরণ, একটি প্রাইভেট কার ও তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়া হয়। এক পক্ষ অপর পক্ষকে ঘায়েল করতে নানা কৌশল পন্থা অবলম্বন করছে। হচ্ছে মিছিল, মানববন্ধন। অপর দিকে ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম নিজের জীবন নিরাপত্তাহীনতার ভুগছেন বলে দাবি করছেন।

স্থানীয়রা জানায়, একটি গ্রুপ নির্বাচনের পর অপর পক্ষের প্রতিশোধ নিতে মরিয়া। যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন গ্রুপের সন্ত্রসীরা সাধারণ কৃষক সেজে হামলা করছে, মানববন্ধন, মিছিল করছে।

এদিকে অপর আরেকটি পক্ষ দাবি করছে, নির্বাচনের সময় তাদের বিরুদ্ধে কাজ করায়, এখন আমাদের নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে গণমাধ্যমকে ভুল বুঝিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছে।

এদিকে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়ার বলয়ে রাজনীতি করেন। বিপরীতে দাউদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আমিন রানা ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সাত্তার বিজয়ী সংসদ সদস্যর বলয়ে রাজনীতি করেন। এ নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের বিপক্ষে শাহজাহান ভূঁইয়া স্বতন্ত্র নির্বাচন করলে নুরুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলামদের মধ্যে বিরোধ আরও প্রকট হয়। সেই বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।

গত ১৬ জানুয়ারি দুপুরে রূপগঞ্জের দাউদপুর ইউপি কার্যালয়ের সামনে নির্বাচনী বিরোধ কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ককটেল, গাড়িতে আগুন দেওয়া ও ভাঙচুর করা হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়। সংঘর্ষে অন্তত ৭জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ জানায়, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের নৌকা প্রার্থী ও পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়ার সমর্থক বলে জানা গেছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চেয়াম্যানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। এসব প্রকাশিত সংবাদ মানহানিকর ও অসত্য বলে দাবি করেছেন চেয়ারম্যান।

কৃষকদের ব্যানারে মানববন্ধন ও গণমাধ্যমে ভূমিদস্যুতার খবর প্রকাশের প্রতিবাদ জানিয়ে চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম বলেন, একটি কুচক্রি মহল আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে, আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক অভিযোগ এনে বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে চলেছে। আমি মূলধারার গণমাধ্যমগুলোকে অনুরোধ করছি, অসত্য তথ্যসম্বলিত মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন না করতে। প্রকৃত সত্যটা তুলে ধরুন।

তিনি আরও বলেন, আমি একজন নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান। সরকার আমাকে গেজেট দিয়েছে। সমাজের কিছু কতিপয় ব্যক্তি ও আমার প্রতিপক্ষের ইশারায় সম্পূর্ণ মিথ্যা ঘটনার বিবৃতি স্থাপন করে আমার বিরুদ্ধে মারাত্মক রকমের অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আমার কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিতে ব্যর্থ হয়ে প্রতিপক্ষের বেঁধে দেওয়া মিথ্যা স্থাপনকৃত অভিযোগ নামে-বেনামে প্রজাতন্ত্রের বিভিন্ন দপ্তরে দাখিল করা হচ্ছে। একই সাথে গণমাধ্যমে মারাত্মক রকমের মানহানিকর ও মিথ্যা ঘটনার বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে।

ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, যে সকল অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে আনা হচ্ছে। এর স্বপক্ষে কোন সাক্ষ্য-প্রমাণ দিতে পারবেনা অভিযোগকারী বা অভিযোগকারীরা। কেননা অভিযোগের জায়গাগুলোই কাল্পনিক। শুধুমাত্র আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার মানসিকতা হতেই আমার বিরুদ্ধে চলমান এই অপপ্রচারের মিশন। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, অপপ্রচার করা হচ্ছে।

RSS
Follow by Email