থানা বিএনপির সংবাদ সম্মেলন বিষয়ে সেন্টু ‘ষড়যন্ত্র করে প্রতিহিংসার রাজনীতি কায়েমের চেষ্টা’
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বিগত সরকারের আমলে অক্লান্ত পরিশ্রমে স্বচ্ছ নেতৃত্বে কুতুবপুর বিএনপি’র একজন অনুপ্রেরনা হয়ে উঠেছেন মনিরুল আলম সেন্টু। সকলের কাছে গ্রহন যোগ্যতা পেয়েছেন তিনি। এই গ্রহন যোগ্যতা সেন্টু দেশ এবং দলের জন্য কাজ করতে গিয়ে অর্জন করেছেন। এলাকার উন্নয়নের জন্য, দলের জন্য তার একনিষ্ঠতা দেখে বিভিন্ন দলের নেতারা তার আদর্শের অনুসারী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকা কালীন তিনি পেরেছেন অন্য দলের নেতাদের নিজের দলের প্রতি অনুপ্রানিত করতে। দল ক্ষমতায় না থাকা সত্বেও গোপনে বিএনপি’কে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন কুপুবপুরের সন্তান মনিরুল আলম সেন্টু।
মনিরুল আলম সেন্টুর প্রতি অনুপ্রানীত হয়ে, দলের নেতা কর্মীরা গোপনে ছায়া হয়ে কাজ করেছেন বিএনপি’র জন্য। তাদের নজরে সেন্টু আসলেই এলাকাবাসীর জন্য, দেশের জন্য, উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন। উন্নয়নের স্বার্থে বিভিন্ন নেতাকর্মীরা সেন্টুর পতাকা তলে আশ্রয় নিয়েছে। তবে ৫ আগস্টে শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করার পর রাতে আওয়ামী লীগ দিনে বিএনপি করা নেতারাও এখন প্রকাশ্যেই বিএনপি করতে শুরু করেছেন। গোপনে বা আতাতে নয়, প্রকাশ্যেই এখন বিএনপি করার বাস্তবতা তৈরী করেছন মনিরুল আলম সেন্টুর অনুপ্রেরণায়।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর এলাকা সব সময় বিএনপি’র ঘাটি হিসেবে পরিচিত পেয়ে এসেছে। রাজনৈতীক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কুতুবপুর এখন বিএনপি’র অনেক শক্তিশালী ঘাটি। মনিরুল আলম সেন্টুর গুরুদর্শীতায়, সাংগঠনিক দক্ষতায় বিএনপি দুর্গ হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিগত সময়ে বিএনপি’র বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছিলো, সরকার পতনের আন্দোলন, জালাও পোরাও আন্দোলনের সময় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুরে মনিরুল আলম সেন্টু, দেশ এবং মানুষের স্বার্থের কথা চিন্তা করে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের সহযোগীতা করেছে। কিন্তু ৫ আগস্টের পর নিজ দলের নেতাকর্মীরা তাকে সেই মূল্যয়ন করেছেন না। তিনি মানুষের জন্য রাজনীতি করেন, তার রাজনীতি কেবল মানুষ কেন্দ্রীক। দল যেটাই হোক, যে দল মানুষের জন্য হয় না, সে দল কখনো গ্রহন যোগ্যতা পায় না। নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুরে মনিরুল আলম সেন্টু মানুষের জন্য রাজনীতি করায় আশ্রস্থল খুঁজে পেয়েছে বিএনপি। এতে বিএনপি পুরোপুরি ভাবে লাভবান হয়েছে। দুর্বল হয়েছে আওয়ামী লীগ, শক্তিশালী হয়েছে বিএনপি।
তবে, দলের জন্য এতো ত্যাগ শিকার করার পরও তার বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্র মূলক আচরণ করছে বিএনপি’র নেতারা, এমনটাই দাবি করেছেন সাবেক বিএনপি নেতা ও চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু।
মনিরুল আলম সেন্টু সাংবাদিকদের জানায়, আমার রাজনীতির জন্মই হয়েছে বিএনপি দিয়ে। ওয়ার্ড যুবদল থেকে ইউনিয়ন, থানা ও জেলা যুবদলে নেতৃত্ব দিয়েছি। থানা বিএনপিতেও নেতৃত্ব দিয়েছি। আমার পরিচয়টাই তো বিএনপি। কিন্তু কিছু মানুষের গ্রুপিং এর কারণে আমাদের বিরোধীতা করছে। বিএনপির রাজনীতিতে থাকা কালীন আমি চাপের মুখে আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছি। আমাকে বিভিন্ন আওয়ামী লীগের প্রোগ্রামে রাখার জন্য বাধ্য করা হয়েছে। আমি চেয়ারম্যান হিসেবে যতটুকু সম্ভব থাকার চেষ্টা করেছি। আমি যতদিন চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলাম ততদিন আমি মানুষের সেবা করেছি। যার জন্য মানুষ ব্যাক্তি সেন্টুকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। কারণ সব সময় আমি মানুষের জন্য কাজ করেছি। আমি বিএনপিকে আওয়ামী লীগ থেকে সেভ করেছি সব সময়। আওয়ামী লীগ যখন অত্যাচার নির্যাতন করেছে তখন আমি নেতাকর্মীদের সেভ করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমি আওয়ামী লীগের সাথে থেকে বিএনপিকে ব্যাক্তিগতভাবে সেভ করেছি। নেতাকর্মীদের সেভ করেছি। গোপনে বিএনপিকে সমর্থন দিয়েছি। যেহেতু এখন পট পরিবর্তন হয়েছে, আওয়ামী লীগের স্বৈরাচার পতন হয়েছে। তাই সেই লক্ষে বিএনপিকে আরও শক্তিশালী করতে আমি আমার দল বিএনপিতে পুনরায় আগের অবস্থান গ্রহন করতে চাচ্ছি। তাই আমি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সমর্থন কামনা করছি। তবে কিছু মানুষ তাদের ব্যাক্তি স্বার্থ হাসিল করার জন্য আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে ও প্রতিহিংসার রাজনীতি কায়েম করতে চাচ্ছে।