শনিবার, নভেম্বর ৯, ২০২৪
Led02আদালতজেলাজুড়েসদর

ত্বকী হত্যা মামলায় জামশেদ ৫ দিনের রিমান্ডে

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: মেধাবী কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা মামলায় আজমেরী ওসমানের গাড়িচালক জামশেদ শেখকে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাওসার আলমের আদালতে এ রায় দেওয়া হয়। এর আগে জমশেদকে আদালতে তোলা হলে তদন্তকারী কর্মকর্তা ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে ও বিপরীতে আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করেন৷

একই দিন ভোড়ে জমশেদকে ঢাকার মিরপুর থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এ নিয়ে গত তিন দিনে ত্বকি হত্যা মামলায় চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জামশেদ ছাড়াও মঙ্গলবার মোঃ শাফায়েত হোসেন শিপন, মামুন মিয়া ও মোঃ কাজল হাওলাদারকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত ৬ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এ মামলার আইনজীবী প্রদীপ ঘোষ বলেন, চঞ্চলকর এই হত্যা মামলার আসামি শওকত সুলতান ভ্রমর যার নাম নিয়েছিল আজমির ওসমানের গাড়ি চালক। সেই জমশেদও ত্বকী হত্যাকাণ্ডের ওই ঘরে উপস্থিত ছিল। ত্বকীকে যখন বস্তা বন্দি করে নিয়ে যায়, সেই গাড়িচালক এই জমশেদ ছিল। তাকে আটক করা হয়েছে এবং আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। আমরা একটি ন্যায় সংগত বিচারের কাছাকাছি যাচ্ছি এবং এ হত্যাকান্ডে ন্যায় সংগত বিচার পাবে। ২০১৩ সাল থেকে আমরা একটি হত্যা মামলার বিচারের জন্য অপেক্ষা করে আসছি।

নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজল বলেন, সেই দিন কুমুদিনীর খাল থেকে ত্বকীর লাশটা পাওয়ার পর আমরা তাকে শহীদ মিনারে নিয়ে আসি। ত্বকের সেই লাশ ছুঁয়ে আমরা শপথ করেছিলাম, এ হত্যার বিচার যতদিন পর্যন্ত না হবে, আমরা রাজপথ ছাড়বো না। ত্বকী হত্যার বিচারের দাবিতে প্রতি মাসের ৮ তারিখ আমরা কর্মসূচি দিয়ে এসেছি এবং এই হত্যার বিচারের দাবিতেই মম শিখা প্রজ্জ্বলন করেছি। যে জামশেদকে গ্রেপ্তার করা হলো সে হচ্ছে আজমীর ওসমানের ড্রাইভার এবং আজমির ওসমানের সকল কর্মকান্ডের হোতা। যেদিন ত্বকীকে গাড়িতে করে আনা হয় এবং হত্যা করা হয় সে হত্যাকাণ্ডে জমশেদ অংশগ্রহণ করেছিল। সেই লাশ নিয়ে যাওয়া সময় সময় জামশেদ অংশগ্রহণ করে। জমশেদকে পাঁচ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি ত্বকী হত্যার বিচার আমরা পাবো।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ বিকেলে বঙ্গবন্ধু সড়ক থেকে তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীকে অপহরণ করে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। একদিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যায় মেলে ত্বকীর লাশ। এই হত্যাকান্ডের সাথে ওসমান পরিবারের সদস্যরা জড়িত আছেন বলে শুরু থেকে অভিযোগ করে আসছে ত্বকীর পরিবার। তবে, দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এই হত্যকাণ্ডের তদন্ত শেষ করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাব।

RSS
Follow by Email