মঙ্গলবার, নভেম্বর ১৯, ২০২৪
মতামত

‘তারেক রহমান নিজের হাতে আইন তুলে নিতে নিষেধ করেছেন’

আব্দুস সবুর খান সেন্টু: আমাদের নেতা জনাব তারেক রহমান সুদূর ব্রিটেন থেকে বাংলাদেশের জনগণকে নিজের হাতে আইন তুলে নিতে নিষেধ করেছেন, বিএনপির আদর্শ মানুষের মৌলিক অধিকার পূর্ণ প্রতিষ্ঠিত করা, পরাজিত শক্তি নরঘাতকদের বিরুদ্ধে জনতার দাবি “‘অবিলম্বে দোষীদের”” বিচারে আওতা আনা হোক ও গ্রেফতার করা হোক, তৎকালীন সময়ে নারায়ণগঞ্জে জেলার পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে সে সকল চিহ্নিত পুলিশ সুপার,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সহকারি পুলিশ সুপার, পুলিশ পরিদর্শক, সাব ইন্সপেক্টর,কনস্টেবল যারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নামে পরাজিতশক্তি শেখ হাসিনার সরকারের তাবেদার করে নিরপরাধ ছাত্র জনতাকে খুন করেছে,তাদেরকে অবিলম্বে তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হোক, নারায়ণগঞ্জবাসীর একটি দাবি”এই সমস্ত হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য “‘এই জেলায় দুটি বিশেষ আদালত স্থাপন করা হোক।

নারায়ণগঞ্জের অনেক নেতা পূর্বে এই পরাজিত শক্তির ছত্রছায়ায় এই চিহ্নিত খুনিদের বিকটীম হিসাবে রাজনীতিদ, ব্যবসায়ী নেতা, সাংবাদিক নেতা, সুশীল সমাজেরকর্ণধার হিসাবে সমর্থন করে যায়। এখন তাদের অপকর্ম আদালতে বিচারের অপেক্ষায়, এ সমস্ত চিহ্নিত ব্যক্তিদের নারায়ণগঞ্জবাসীও বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা তাদেরকে চিনে, এখন তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যানার ব্যবহার করে, ফেসবুকে তারা হুংকার দিচ্ছেন। এই শ্রেণীর লোকরাই নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাসী নগরী বানাতে তাদেরকে (চিহ্নিত খুনি) সহায়তা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে কখনোই সোচ্চার হয় নাই, এখন দেখা যাচ্ছে রাজনৈতিক দলের সাইনবোর্ড ও পথ পদবী ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় দখলের মহড়া দিচ্ছে। আমাদের শ্রদ্ধেয় নেতা জনাব তারেক রহমান ঘোষণা করেছেন এই সমস্ত দুষ্কৃতিকারীদের আটক করে, বর্তমান অন্তবর্তী কালীন সরকারের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। বাড়ি দখল করা, জোরপূর্ব দোকান দখল করা, সরকারি সম্পত্তি দখল করা, কোন ব্যক্তির বাড়িতে আগুন দেওয়া, আক্রমণ করা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কোন নেতা ও কর্মীদের কাজ না। এই কাজটি যারা করতেছে তারা চিহ্নিত পরাজিত শক্তির, ইউনিয়ন থানার ও জেলার পালিত সন্ত্রাসী, তারা এখন পূর্বের অপকর্ম ঢাকার জন্য জেলা শহর উপজেলার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে হাত মিলে বিএনপি রাজনৈতিক দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করা পায়ঁতারা করতেছে।

আমাদের মনে রাখতে হবে জনগণকে নিয়ে আমাদের রাজনীতি, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র জনতার আত্মহতির সাথে যারা বিশ্বাস ঘাতকতা করবে, আগামী দিনে বাংলাদেশের জনগণ ছাত্র জনতা তাদেরকে ক্ষমা করবে না। আমরা একটি অধিকার বাস্তবায়নের জন্য রাজপথে এখন আছি। এই অধিকার হলো মানুষের ভোটের অধিকার, এই অধিকারটি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি নেতা কর্মীরা ঘরে যাবে না। আপনারা দেখেছেন প্রতিদিন আমাদের দল থেকে কিছু চিহ্নিত সমাজ বিরোধীদেরকে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র প্রেস বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ বিভিন্ন জেলার দায়িত্বশীল পদ পদবী থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। তাই আসুন দলমত নির্বিশেষে এই চিহ্নিত সমাজ বিরোধীদের ব্যাপারে আমরা ঐক্যবদ্ধ ও সতর্ক থাকি। আমাদের মনে রাখতে হবে এ দেশ সকলের, একটি জাতির জন্য এ দেশ সৃষ্টি হয় নাই। আসুন এই কান্তিকালে আমাদের রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে যেয়ে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে এখন নতুনভাবে সমৃদ্ধি বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলি।

লেখক: সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, মহানগর বিএনপি।

RSS
Follow by Email