তারা ভোট দিবে না, অন্যদেরও দিতে দেবে না: সেলিম ওসমান
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: আজ দেশে এক দল রাজাকার-আলবদরের মতো নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে। ট্রেনে আগুন দিয়ে মা-শিশুসহ ৪ জনকে হত্যা করেছে। সন্তান ধারণ করতে ১০ মাস সময় লাগে। নয় মাস যুদ্ধ করে আল-বদর, রাজাকারদের দূর করেছি। এবারও আমরা তাদের দূরীভূত করবো। তারা দফায় দফায় টিভি চ্যানেল আর পত্র-পত্রিকা দিয়ে জানান দেন অবরোধ, হরতাল হবে। কিন্তু কিছুই করতে পারে না। তারা জনগণকে শুধুই ভয় দেখায়। নিজেরা ভোট দিবে না, অন্যকে দিতেও দিবে না।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বন্দরে আলহাজ্ব খোরশেদুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ে এক নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী একেএম সেলিম ওসমান। সভায় সভাপতিত্ব করেন কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধান। এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দনশীল, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিমউদ্দিন প্রধান, জেলা শ্রমিক লীগের সদস্য সচিব কামাল হোসেন প্রমুখ।
সেলিম ওসমান বলেন, বন্ধুমহলের অনেকেই বিএনপি করছেন। তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই, আপনারা বাড়িতে আসুন। বিএনপি কি বলে না শুনে পরিবারের কাছে ফিরে আসুন। বিএনপির কথায় কান না দিয়ে ঘরে আসুন। যখন ওরা দেখেছে কেউ তাদের কথা কেউ শুনে না, তখন নাশকতার পথ বেছে নিয়েছে। ওরা আমেরিকায় আছে, ইউরোপে আছে থাকুক; আমাদের দেশের জন্য কাজ করতে দিক। তাই আপনারা বাড়ি আসুন, প্রয়োজনে আমি আপনাদের জামিনদার হবো। আপনাদের একটা দায়িত্ব থাকবে, তা হলো ভোটের দিন পরিবারের সকলকে নিয়ে ভোট দেওয়া। আমাকে ভোট দেওয়ার লাগবে না। আমাকে যারা ভালোবাসবে তারা আমায় ভোট দিবে। আমার উপরে কেউ রাগ করে থাকলে অন্য সীলে ভোট বসাবে।
তিনি বলেন, আমি কোন দল বুঝি না। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অন্তরে ধারণ করে সাড়ে নয় বছর জনগণের গোলামী করেছি। কৌশলগত কারণে কখনও নৌকা নিয়ে নির্বাচনে দাঁড়ানোর সুযোগ হয় নি। সব ইচ্ছে হয়ত আল্লাহ পূরণ করেন না। তবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে, জননেত্রীর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে কাজ করেছি। যদিও কাজ মাত্র ২০ ভাগ হয়েছে। আরও ৮০ ভাগ বাকি আছে। যখন আমি মৃত্যুর কাছে গিয়েছি, আল্লাহ আমাকে জনগণের সেবা করার জন্যে, বাকি কাজগুলো সম্পূর্ণ করতে ফেরত পাঠিয়েছেন। দেশবাসীর উপর আল্লাহর বিশেষ রহমত যে জননেত্রী শেখ হাসিনা আছেন। দেশের উন্নয়নে তিনি নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।