রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
Led03জেলাজুড়েরাজনীতিসিদ্ধিরগঞ্জ

‘তারা বোঝেনা শামীম ওসমান আলাদা এক চিজ হে!’

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ‘এক দল গিয়ে প্রিজাইডিং অফিসারকে ধমক দিয়েছে। বলে শামীম ওসমানের ভোট কাস্ট কমাতে হবে। তারা বোঝেনা শামীম ওসমান আলাদা এক চিজ হে! আমি গাড়ীতে একটা ট্রিপ দিলে ভোট ঠিকমতো হত। কিন্তু আমি বলেছি, এবারের নির্বাচন ১০০ ভাগ ফ্রি ও ফেয়ার হবে। আমরা দেখতে চেয়েছি কি হয়। রাতে হোন্ডার বাহিনী এলান করেছে ভোট কেন্দ্রে যাবি যারা, লাশ হয়ে ফিরবি তারা। ওরা ট্রাকে আগুন দিয়েছে, ট্রেনে আগুন দিয়েছে। মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করা হয়েছে।’

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনোত্ত্বর এক পুণর্মিলনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান।

তিনি বলেন, আমি জানতাম আমার এলাকায় সর্বচ্চো কত শতাংশ ভোট পড়তে পারে। আমার হিসেব ছিল ৪১-৪২ শতাংশ ভোট পড়বে। কিন্তু ভোট পড়েছে ৩২ শতাংশ। বাকি ৯-১০ শতাংশ ভোট পড়ে নাই। পড়ে নাই, না পড়তে দেওয়া হয় নাই। এটাই এখন প্রশ্ন। একদল বলছে, মোবাইল নিয়ে ভোট দেওয়া নিষেধ। ভোটারদের যেতে দেওয়া হয় নাই। পুরুষ মানুষরা ফোন আশপাশে কোথাও রেখে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু মহিলারা যারা ফোন নিয়ে গেছেন তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্তত ২টা সেন্টারে ১০০ থেকে ২০০ মহিলা ফেরত গেছে। অথচ তারা ভোট দিলে ৪১ শতাংশ ভোট কাস্ট হত। এটা পরিকল্পনা করে করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের জন্য যে খরচ হয়, সংসদ নির্বাচনের জন্য আমি তার চেয়েও কম খরচ করেছি। ১০ টি ওয়ার্ডে আমার ছেলের বয়সী যারা কাজ করেছে তাদের মধ্যে কয়েকজন আমাকে টাকা ফেরত দিয়েছেন। বাকিরা চেষ্টা করেছিলেন টাকা দেওয়ার, আমি নিই নাই। ইলেকশন আসলে ‘টাকা দেন টাকা দেন’ এমন এক পরিস্থিতি তৈরী হয়। আমার তেমন কিছুই হয় নি। আমি নিজে পোস্টার-ব্যানারের কাজ করিয়েছি, আমার কর্মীরা খুশিমনে কাজ করেছে। আলহামদুলিল্লাহ, আমার আর চাওয়ার কিছু নেই।

RSS
Follow by Email