তরুণরা স্বাধীনতা সংগ্রামে জিয়াউর রহমানের অবদানের কথা জানেই না: মামুন মাহমুদ
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ৪নং ওয়ার্ডে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের পাশাপাশি দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়, যেখানে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। আজকের এই আলোচনা সভার প্রধান আকর্ষণ ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ , যিনি জিয়াউর রহমানের অবদান এবং বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সরব বক্তব্য রাখেন।
অধ্যাপক মামুন মাহমুদ তার বক্তৃতার শুরুতেই জিয়াউর রহমানের ঐতিহাসিক ভূমিকা তুলে ধরেন এবং সাম্প্রতিক সময়ে তার অবদানকে খর্ব করার চেষ্টার তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বলেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনামলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলা যাবে না—এমন রায় হাইকোর্ট থেকে অধ্যাদেশ জারি করে দেওয়া হয়েছিল। পাঠ্যপুস্তক থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা করা হয়েছে।” তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আজকের ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সী তরুণরা স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অবদানের কথা জানেই না। কিন্তু ইতিহাস কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। আমরা আমাদের পোস্টার, ব্যানার ও বক্তব্যে বারবার বলেছি—মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমান।”
আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, “গত ১৫ বছরে দেশে ফ্যাসিবাদী শাসন চলেছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরে থাকতে পারেনি, নিরাপদে চলতে পারেনি, জেল-জুলুম-মামলার শিকার হয়েছে। তারপরও আমরা শহীদ জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছি।”
তিনি জিয়াউর রহমানের বহুমুখী অবদান তুলে ধরে বলেন, “তিনি শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি, সরাসরি যুদ্ধও করেছেন। এজন্য তিনি বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন। তিনি সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম’ যুক্ত করায় তাকে মৌলবাদী বলা হয়েছিল। ইরান-ইরাক যুদ্ধে তিনি আন্তর্জাতিকভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।” মামুন মাহমুদ জোর দিয়ে বলেন, “মাত্র তিন বছরের মধ্যেই একটি তলাবিহীন ঝুড়ির দেশকে আত্মনির্ভরশীল রাষ্ট্রে রূপ দিয়েছেন। এ কারণেই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা তাকে হত্যা করেছে। মৃত্যুর পরও তার দল বিএনপির মাধ্যমে মানুষ তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে আসছে।”
সিদ্ধিরগঞ্জের আটি এলাকায় অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে অধ্যাপক মামুন মাহমুদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. কবির হোসেন, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শ্যামল, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাজ্জাদ, সাবেক সহ-সম্পাদক সম্রাট আকবর, যুবদল নেতা ইব্রাহিম, ছাত্রদল নেতা মৃদুলসহ থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।