ঢাকার সমাবেশ সফল করতে প্রস্তুত না.গঞ্জ আ.লীগের নেতাকর্মীরা
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: আগামী ৪ নভেম্বর ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ ও জেলার বিভিন্ন দলীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে যৌথ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সার্কিট হাউজে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদলের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ এমপি, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা জাহানারা বেগম ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সাঈদ খোকন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, বস্ত ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংস সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দনশীল।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা।
এসময় মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ্ নিজাম, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. সামসুল ইসলাম ভুইয়া, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদ, সাধারণ সম্পাদক কাজিমউদ্দিন প্রধানসহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি প্রতিটি উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মির্জা আজম এমপি বলেন, বিএনপি আবার ২৮ তারিখ জনসমাবেশের নামে ঢাকা অবরোধের কথা বলছে। সে অবরোধে যা যা করার দরকার তারা তাই করবে। এবং এটা তাদের মরণকামড়। তাহলে আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি তারা কী এখানে বসে থাকবো। আমরা বলেছিলাম ৪ তারিখ সমাবেশ করবো। সেটা হবে। কিন্তু তার আগে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে তারা যে কর্মসূচি দিয়েছে ঢাকা অবরোধের সেদিন আমরাও ঢাকা দখলে রাখবো। আপনারা সকলে সেখানে নেতাকর্মী নিয়ে উপস্থিত থাকবেন।
এমপি শামীম ওসমান বলেন, আগামী ৪ঠা নভেম্বর দেশের মানুষ জাতির পিতার কন্যাকে কতটা ভালোবাসে সেটা প্রমাণ করতে হবে। সমাবেশটা যেহেতু শাপলা চত্বরে হবে আমাদের বিশ্বাস সেদিন সেখানে ইতিহাসের সর্ববৃহৎ সমাবেশটা হবে। আর ২৮ অক্টোবরের কর্মসূচিটা একটু ক্রিটিক্যাল। আমাদের বুঝে শুনে তারপর পা ফেলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আজম ভাই আপনি নিশ্চিন্ত থাকেন। ৪ তারিখেরটা আমরা ব্যপক ভাবেই করবো। ২৮ তারিখের বিষয়টা টেকনিকের ব্যাপার সেটা আমরা বুঝে ব্যবস্থা করবো, আপনিও আমাদের দিকনির্দেশনা দিবেন। বাংলাদেশে সব জায়গার মিছিল থেকে নারায়ণগঞ্জেরটা সবচেয়ে বৃহত্তর ও সুশৃঙ্খল হবে ইনশাআল্লাহ।
এড. খোকন সাহা বলেন, ‘আমরা তো দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আছি। বিএনপির আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের থাকতে হয়। আজম ভাইকে বলতে চাই, নির্বাচনের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মী ঘরে বসে থাকবে না। যত সমাবেশ আপনারা ডেকেছেন, সমস্ত সমাবেশে নারায়ণগঞ্জের নেতাকর্মীরা সেই সমাবেশ সফল করার জন্য ব্যপক ভাবে কাজ করেন।’
বাবু চন্দনশীল বলেন, শুধু ৪ তারিখ আর ২৮ তারিখের সমাবেশ না। আজকে থেকে আমরা যারা এখানে একসাথে আছি আমাদের যুদ্ধ করতে হবে এদের বিরুদ্ধে। এই যুদ্ধে আমরাই জিতবো। কারণ বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আমরা ধারণ করি। তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।
শাহ্ নিজাম বলেন, আমাদের যে পরিমানে নেতাকর্মী নিয়ে সমাবেশে যাওয়ার কথা, সেই তুলনায় আমাদের যানবাহন খুবই কম। ছাত্রলীগকে যদি জিজ্ঞেস করি তোমরা কতজন লোক নিয়ে যাবা তারা বলে, আমাদের ২০০ বাস দিতে হবে। যুবলীগ বলে আমাদের ২০০ বাস দিতে হবে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে এত বাস তো নেই। জননেত্রী শেখ হাসিনা মানেই হচ্ছে আগামী দিনের সুন্দর বাংলাদেশ। সেই উন্নয়নর অংশ হিসেবে আগামী ৪ তারিখের সমাবেশে আপনারা ঢাকা থেকে মানুষ রাখবেন, ইনশাআল্লাহ নারায়ণগঞ্জের মানুষ তার থেকে বেশি হবে। আমি নারায়ণগঞ্জের অতিত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের দৃষ্টিকোন থেকে আপনাকে আশ্বস্ত করতে চাই।
সভায় বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড থেকে আগত নেতাকর্মীরা কে কত লোক নিয়ে সমাবেশে যোগদান করতে পারবেন সেই বিষয়ে প্রধান অতিথির সাথে আলাপ করেন।