মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪
Led02ফতুল্লারাজনীতি

ডিসেম্বরে ওদের খেলা শেষ: শামীম ওসমান

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, ‘আগামী ১৯-২০ নভেম্বর ভাইয়েরা কষ্ট করে হরতাল দিয়েছে। ওরা হরতাল দিবে, আমরা শান্তি মিছিল করবো। আমি ফতুল্লার নেতাদের পায়ের তলায় মাটির জোড় কতটুকু দেখতে চাই। আমাদের বিজয় কিন্তু ৮০ ভাগ হয়ে গেছে। আর ২০ ভাগ ৭ই জানুয়ারিতে আমরা করবো ইনশাআল্লাহ। ওদের গেম ৯০ ভাগ শেষে, কিচ্ছু করার ক্ষমতা ওদের নাই।’

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শামীম ওসমান বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে তারা নাকি হরতাল ডেকেছে। আমি গাড়ি দিয়ে আসতে আসতে তো দেখলাম না। গতকাল অবরোধের ডাক দিয়েছিলো সেটাও দেখলাম না। আমরা কাউকে জোর করে গাড়ি চালাতে বলি নাই, যার ইচ্ছে চালাবে না চালাইতে মন চাইলে নাই। ওদের ষড়যন্ত্রের ধারাটা চরম আকাড়ে ধারণ করার জন্য আর ১৪দিন আছে। এর ঠিক একদিন পরে খেলা ৯০ভাগ শেষ। আমি আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলতে চাই, আপনাদের দোয়ায় আগামী ৭ জানুয়ারী বিপুল পরিমানের আসন নিয়ে শেখ হাসিনা আবারো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।’

তিনি বলেন, ‘ওই খুনি তারেক রহমানসহ কিছু শক্তি চেয়েছিলো এবং এখনো চাচ্ছে, যে বাংলাদেশে কোন নির্বাচন না হোক আর একটি পাপের সরকার ক্ষমতায় আসুক। যারা আমাদের দেশের বিষয়ে মানবধিকার ও গণতন্ত্রের কথা বলে তারা কিন্তু প্যালেস্টাইন-ইসরালে যুদ্ধের ক্ষেত্রে উল্টা কথা বলছে। যেখানে একদিনের বাচ্চা গুলি খেয়ে মারা যাচ্ছে, সোখানে মানবাধিকারের কোন কথা নাই, কিন্তু এখানে হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি কথায় কথায় বলে তারা ইসলাম, কিন্তু তাদের নেতা বলে প্যালেস্টাইনের পক্ষে কথা বললে তাদের প্রভুরা ক্ষেপে যাবে। আল্লাহ এদের যা বিচার করা দরকার করছেন এবং সামনে আরও বিচার দেখবেন। গত ১৪ বছর ধরে শুনতেছি, কালকে সরকার পরে যায়। ক্ষমতায় তো এখনো শেখ হাসিনাই আছে, আল্লাহ যদি না সরায় বান্দার কি ক্ষমতা? গত ২৮ তারিখ বিএনপি একটি সমাবেশ করলো যাতে গাজায় যা হচ্ছে তার একটি ছোট রূপ দেখালো বাংলাদেশে। গতকাল পর্যন্ত ৯০টি গাড়িতে আগুন দিয়েছে। আন্দোলন তো আমরাও করেছি, গুলি খেয়েছি। কিন্তু মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারা তো রাজনীতি হতে পারে না।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারকে বিবৃত করার চেষ্টা করা হচ্ছে উল্লেখ করে শামীম ওসমান বলেন, ‘তারা মিলিয়নস্ অব ডলার খরচ করছে, একটা কারনে সেটা হলো জাতির পিতার কন্যাকে বিবৃত করতে হবে। কিভাবে করবে? সজিব ওয়াজেদ জয়, বা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল কিনবা শেখ রাহানাকে কিনবা তার পরিবারকে কোন না কোন ভাবে বিবৃত করার জন্য একটি পরিকল্পনা করছে তারা। ঠিক যেভাবে পদ্মা সেতু নিয়ে জাতির পিতার কন্যাকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করার চেষ্টা করেছিলো। এরা গুজব ছড়াবে শুধু। ওরা জানে না, শেখ হাসিনা মাথা নিচু করে চলার মানুষ না।’

শামীম ওসমান বলেন, যে ছেলেটা বিএনপি বা অন্য দল করছে, সেও তো কোন মায়ের সন্তান। সে ঝামেলায় পরলে একই ভাবে কষ্ট হয় যেমনটা আমাদের বাবা-মার কষ্ট হয় আমরা ঝামেলায় পরলে। ১৯৯১-৯৬ পর্যন্ত আমাদের উপর অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। প্রচুর লোককে খুন করা হয়েছে। আমাদের সিদ্ধিরগঞ্জেই তো এত লোক মারা হয়েছে। সেখানে যে সাবেক এমপি আছে যে এখন নারায়ণগঞ্জে সমস্যা সৃষ্টি করছে। ওই এলাকায় ১৭জন নেতাকর্মীকে তিনি একা হত্যা করলেন। এইযে বাচ্চা ছেলেদেরকে দিয়ে বাসে আগুন দেয়াচ্ছেন, ককটেল ফাটাচ্ছেন। তাদের ভবিষ্যতটা কি হবে। কয়েকদিন পরে তাদের বাবা-মায়েরা আমার কাছে এসে বলবেন কিছু একটা করতে। তখনতো আমারও কিছু করার থাকবে না। এই লোকটা বিএনপির প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই নারায়ণগঞ্জটাকে অস্থির করে দিলো।

তিনি বলেন, আপনার সন্তান যখন এসব মামলা নিয়ে কোর্টের বারান্দায় কান্না করবে, তখন ওইযে সকল নেরা ওদেরেএগুরো করতে বলেছিলো; তারা কিন্তু আসবে না। আর তারেক রহমান লন্ডনে বসে আরামে থাকবে। ওর তো নিজের মায়ের প্রতি দরদ নাই, আপনাদের প্রতি কি থাকবে। তাই তাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, আপনারা এই কাজ গুলো কইরো না। আমি ধমক দিচ্ছি না, আমি তোমাদের স্বার্থেই তোমাদের বলছি।

এসময় ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদলের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিএম আরমান, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভুইয়া সাজনু, যুবলীগ নেতা জানে আলম বিপ্লব, শ্রমিক লীগ নেতা আব্দুল কাদির প্রমুখ।

RSS
Follow by Email