ডিসি কাছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ দফা পেশ
লাইভ নারায়নগঞ্জ: জেলা প্রশাসক মাহমুদুর হকের বরাবর হতাহতদের বিষয়ে ৬ দফা দাবি পেশ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বুধবার (১৪ আগস্ট)ফারহানা মানিক মুনা,সাইদুর রহমান এবং সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসক বরাবর এ দাবি পেশ করেন।
দফাগুলো হলো, ১৮ আগস্ট ২০২৪ এর মধ্যে আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের সঠিক তালিকা প্রকাশ করতে হবে, এই সময়ের মধ্যে জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে আন্দোলনে আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে, আন্দোলনে শহীদদের পরিবারের জন্য যৌক্তিক ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে, নারায়ণগঞ্জের শহীদদের স্মরণে জেলা ও উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে ‘স্মৃতি স্তম্ভ ও নাম ফলক’ তৈরি করতে হবে, অনতিবিলম্বে প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত ও হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে হবে, জেলার প্রাণকেন্দ্রে হতাহত ও লড়াইয়ের স্মৃতি সংরক্ষণে একটি সংগ্রহশালা তৈরি করতে হবে।
এসময় দাবি পেশকারী নেতৃবৃন্দ বলেন,মহান মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ বিনির্মানে আমরা ছাত্র জনতা এক ঐতিহাসিক সময় পাড়ি দিয়েছি৷ সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সময়ের প্রয়োজনে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। বহু মুক্তিকামী জীবনের বিনিময়ে গত ৫ আগষ্ট বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করে। স্বৈরাচারী সরকারের এই পতনকে আমরা আমাদের প্রাথমিক বিজয় মনে করছি। আমাদের এই লড়াইয়ে সারাদেশে অসংখ্য ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো তথ্য ও প্রযুক্তির এই উৎকর্ষতার সময়ে এসেও আমরা জানি না নারায়ণগঞ্জে আমাদের কতো ভাই বোন শহীদ হয়েছেন৷ আমরা জানি না কতো জন আহত হয়েছেন। এবিষয়ে গত ৬ আগস্ট আপনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষের মতবিনিময় সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে কিছু সুনির্দিষ্ট দাবি জানানো হয়। কিন্তু সেসব দাবি পূরণের বিষয়ে কোন দৃশ্যমান ভূমিকা আমাদের চোখে পড়েনি। এটা যেমন দুঃখের তেমনি লজ্জার। বিষয়টি নারায়ণগঞ্জের শিক্ষার্থীদের ক্ষুব্ধ করেছে। এমন অবস্থায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় হতাহতদের বিষয়ে ছয় দফা দাবি পেশ করেছি।