ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য কারিগরি শিক্ষা শুরু করবে জেলা প্রশাসন
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: “প্রযুক্তির সাথে শিক্ষা মিলে অগ্রগতির দুয়ার খোলে”- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে উদযাপিত হয়েছে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৫। দিবসটি উপলক্ষে সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয় এবং পরে সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল থেকেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষায় যুক্ত ব্যক্তিরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জড়ো হতে শুরু করেন। র্যালিতে অংশ নেওয়া সবার হাতে ছিল সাক্ষরতা দিবসের তাৎপর্য বহনকারী বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড। ‘স্বাক্ষর মানুষ দক্ষ হবে, সমৃদ্ধ দেশ গড়ি তবে’, ‘সাক্ষরতার আলো ছড়ায় সেতু গড়াই’ এবং ‘প্রযুক্তির পাঠশালা, সবার জন্য খোলা’ ইত্যাদি স্লোগান র্যালিটিকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।
র্যালি শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। তিনি বলেন, ‘সাক্ষরতার হার বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষার গুণগত মান উন্নত করাও আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। প্রযুক্তিগত শিক্ষার মাধ্যমে আমরা দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে পারি।’
আলোচনা সভায় জানানো হয় যে, আগামী ১৪ই সেপ্টেম্বর থেকে অষ্টম শ্রেণির আগেই স্কুল থেকে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে তাদের শিক্ষাজীবন চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি কর্মমুখী দক্ষতা অর্জনের সুযোগ তৈরি হবে। এটি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ আলমগীর হুসাইন, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর তরিকুল ইসলাম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া আশরাফী, জেলা শিক্ষা অফিসার আতিকুর রহমান, তোলারাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের উপাধ্যক্ষ তারেক হাসান মাহমুদ, জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর উপ-পরিচালক সাইদুর রহমান এবং ফিল্ড মনিটরিং অফিসার মাহমুদা আক্তারসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।