বুধবার, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪
Led04রাজনীতি

জেলা মহিলা পরিষদের নতুন নেতৃত্বে রীনা-রহিমা

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: রীনা আহমেদকে সভাপতি ও রহিমা খাতুনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩৫ সদস্যের নতুন কমিটি গঠন করেছে জেলা মহিলা পরষিদ। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ১০টায় নগরীর আলী আহম্মদ চুনকা পাঠাগারের মিলনায়তনে জেলা মহিলা পরিষদের ১১তম সম্মেলনে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

‘নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের নারীর সম-অধিকার নিশ্চিত করি’ এ স্লোগানে সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: ফওজিয়া মোসলেম। মহিলা পরিষদের পতাকা উত্তোলন করেন জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লক্ষ্মী চক্রবর্তী। এ পর্ব পরিচালনা করেন সদস্য ও আবৃত্তি শিল্পী ফাহমিদা আজাদ।

বীর মুক্তিযোদ্ধা লক্ষ্মী চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে সম্মেলনের বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. ফওজিয়া মোসলেম, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম ও কেন্দ্রীয় সংগঠন সম্পাদক উম্মে সালমা বেগম, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. দীপা ইসলাম। প্রথম অধিবেশন বক্তব্য রাখেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক সহ-সভাপতি রীনা আহমেদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও জেলার সাবেক সভাপতি আনজুমান আরা আকসির।

দ্বিতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হাসিনা পারভীন, সংগঠন সম্পাদক প্রীতিকণা দাস, লিগ্যাল এইড সম্পাদক সাহানারা বেগম, ভারপ্রাপ্ত অর্থ সম্পাদক লায়লা ইয়াসমিন, আন্দোলন সম্পাদক শোভা সাহা, ভারপ্রাপ্ত প্রশিক্ষণ গবেষণা ও পাঠাগার সম্পাদক রওনক রেহানা, সমাজকল্যাণ সম্পাদক রওশন আরা বেগম, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদকের রিপোর্ট পেশ করেন সহ-সাধারণ সম্পাদক রহিমা খাতুন, প্রচার সম্পাদক কানিজ ফাতেমা, শহর সংগঠন সম্পাদক নীলা আহমেদ, তরুণী সদস্য তিথি সুবর্ণা ও সুমাইয়া সেতু।

এসময় বক্তারা বলেন, বাংলার নারী আন্দোলনসহ সকল জাতীয় আন্দোলনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে জেন্ডার সমতা, দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন, সচেতনতা বৃদ্ধি, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, শিক্ষা-স্বাস্থ্য, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ও অর্থনৈতিক মুক্তি, সম্পত্তিতে সম-অধিকার প্রতিষ্ঠা, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ প্রভৃতি বিষয়ে আজ পর্যন্ত আন্দোলন করে চলেছে। মহিলা পরিষদ এবার অভিন্ন পারিবারিক আইন চালু এবং সাইবার ক্রাইম ও মাদক নিরোধ আইন দ্রুত বাস্তবায়ন করার জোর দাবী জানাচ্ছে। হিন্দু-মুসলিম, বৌদ্ধ-খৃষ্টান সকল সম্প্রদায়ের এক ও অভিন্ন পারিবারিক আইন চালু করতে হবে। বিবাহ ও তালাক সংক্রান্ত আইন, সম্পত্তি আইন সব সম্প্রদায়ের এক হওয়া জরুরী। এভাবেই সংগঠনটি চ্যালেন্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে চলেছে। সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ের আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে। নারী-শিশুসহ সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, দ্রব্য মুল্য বৃদ্ধি রোধ করতে হবে। সেদিকে সরকারের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ও ভূমিকা পালন করতে হবে।

RSS
Follow by Email