শুক্রবার, জুলাই ৪, ২০২৫
Led05রাজনীতি

জুলাইয়ের আন্দোলনের স্মরণে না.গঞ্জে বিএনপির রক্তদান কর্মসূচি পালন

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: জুলাই আগস্টের আন্দোলনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি ও সভা করেছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে খানপুরের নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের আয়োজেন এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট আব্দুস সালাম, জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু প্রমুখ।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এড. আব্দুস সালাম বলেন, অনেকে বলছে জুলাইয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। এককভাবে একটি কায়েমী শাসক গোষ্ঠী জুলাইকে নিজেদের পকেটস্থ করতে চায়, তারা জাতিকে নিয়ে একটি বিভ্রান্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়। ন্যায় সঙ্গত কারণে জনগণের কল্যাণে কোনভাবে আপস না করে যদি কোন দল আন্দোলন করে তাহলে সেটা চূড়ান্ত আন্দোলনের রূপ নিবেই। যেটা হয়েছিল স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে। সে আন্দোলনে ডঃ মিলনের গায়ে লাগা একটি বুলেটের কারণেই এরশাদের পতন হয়েছে। যেমন ভাবে জন্মের পূর্ব শর্ত মৃত্যু তেমনই একটি বৈধ আন্দোলনের তার চূড়ান্ত রূপে যাবে এতে কোন সন্দেহ নাই। শুধু জুলাই আগস্টের মধ্যে দিয়ে হাসিনা পালায় নি, চৌধুরী আলমের মতো ৪০০ থেকে ৫০০ নেতাকর্মীরা গুম-খুন হয়নি। বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে শেখ হাসিনা প্রায় ১৫০০ নেতাকর্মীকে খুন করেছে। কোটা আন্দোলনের শুধু ছাত্ররা ৫ আগস্ট এর পরিসমাপ্তি ঘটায় নি, এ পরিসমাপ্তি ঘটনার পিছনে ইতিহাস আছে। এ আন্দোলন শুরু হয়েছিল গণতান্ত্রিক আন্দোলন থেকে। সে আন্দোলনে অনেক নেতাকর্মী গুম খুন হত্যা হয়েছে। এখানে যে কয়জন নেতাকর্মীরা বসে আছেন সবার নামে মামলা আছে শুধু জুলাইকে কেন্দ্র করে নয়। সেই প্রথম থেকে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার নির্দেশনা ও তারেক রহমানের নেতৃত্ব থেকেই চূড়ান্ত ফল অনুযায়ী ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়েছে। কোটা আন্দোলনের মধ্যে গণতান্ত্রিক শর্ত ছিল না, কোটা আন্দোলনে স্বৈরাচারী হাসিনার প্রথম হটাতে হবে এমন শর্ত ছিল না। কোটা আন্দোলন ছিল শুধুমাত্র একটি যুক্তিসঙ্গত দাবি নিয়ে। সেটা ছিলো একটি বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং এই দাবির প্রতি আমরাও সমর্থন জানিয়েছি। কোটা আন্দোলনের ভাইদের আটক করা হলো, তারা ডিবির অফিসে গেলেন, সেখান থেকে বলা হলো আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু তারা তো গণতান্ত্রিক আন্দোলন প্রত্যাহার করেনি। খালেদা জিয়া যদি স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সাথে আপোষ করতো তাহলে ১০ বছর সাজাও হয় না। খালেদা জিয়া আপোষ বিশ্বাস করেনি বলেই তাকে কারাগারে যেতে হয়েছে, মৃত্যুর মুখোমুখি করা হয়েছে। তারপরও সে আপোষ করে নি।

তিনি আরও বলেন, শেখ মুজিবুর পালিয়ে গিয়েছিল বলেই জিয়াউর রহমানের আবির্ভাব হয়েছে। জিয়াউর রহমান সেদিন বুঝেছেন যে কোন দলের দিকে না তাকিয়ে স্বাধীনতার দিকে ঘোষণা দিতে হবে। তাই একাত্তরে সে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দেন। এখানেই শেখ মুজিবুর জিয়াউর রহমানের মধ্যে আদর্শিক মতপার্থক্য রয়েছে। একজন পালিয়ে গেলেন আরেকজন জনগণের সাথে থেকে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন। এই বিগত ১৬ বছরে আমরা একটি মাসও ঘরে থাকতে পারিনি। আড়ালে থেকেও আন্দোলনের পক্ষে ছিলাম, অংশে ছিলাম। কারণ জানি আমরা ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত আটক হব। শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন না। স্বাধীনতার পক্ষে থাকলে ১৯৭০ এর নির্বাচন অংশগ্রহণ করতেন না। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে শেখ মুজিব ভুট্টু ও ইয়াহিয়ার সাথে বসে কথা বলেছিলেন । তারা পার্লামেন্ট গঠন করার কথাবার্তা দেনদরবার করেছিলা। শেখ মুজিব কখনো অখন্ড পাকিস্তান চাননি। সে স্বাধীনতা চাইনি বলে আতাত করে চলে গেছে এবং জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেছিলেন। জিয়াউর রহমান একজন আর্মি ছিলেন। সে জানতেন যদি তার স্বাধীনতার ডাকে পূর্ব পাকিস্তান সাড়া না দেয়, তাহলে কোর্ট মার্শাল হওয়ার মাধ্যমে তার ফাঁসিও হতে পারে। তারপরও সে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে হলেও স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন। তদ্রুপ একই ঘটনা ঘটলো, খালেদা জিয়ার জনগণের সাথে রয়ে গেল শেখ হাসিনা পালিয়ে গেল। একদিকে একটি পরিবার জনগণের সাথে বেইমানি করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, অন্যদিকে আরেকটি পরিবার জনগণের পক্ষে থেকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বারবার কাজ করেছে।

কেন্দ্রীয় বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, যখন কোটা আন্দোলনে ডিবির অফিসে বসে প্রত্যাহার করে নেওয়া হলে। তখন তারেক রহমান ঘোষণা দিলেন আমরা কোটা আন্দোলন দিয়ে নয়, সরাসরি সরকারের পতন দিয়ে দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব। একই ঘোষণা নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দিয়েছেন। তাদের এই ঘোষণার পর পরবর্তীতে ৫ই আগস্ট স্বৈরাচারী সরকার শেখ হাসিনা পালিয়েছে।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, আজকের এই রক্তদান কর্মসূচি হচ্ছে একটা প্রতিটি কর্মসূচি। এটা আয়োজন করা হয়েছে শুধুমাত্র জুলাই আগস্টের আন্দোলনকে স্মরণ করার জন্য। যাতে করে শেখ হাসিনার সরকার যেভাবে দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতি এবং অবিচার কায়েম করেছিল সেটিকে যেন রোধ করতে পারে। জুলাইয়ের আন্দোলনের গর্ব আমরা নিহত, আহত এবং আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার সকল ডাক্তার নার্সদের সাথে সমভাবে ভাগ করতে চাই। জুলাই এনসিপির, কোন রাজনৈতিক দল বা বিএনপির একার নয়। কিন্তু বিএনপির আগস্টের আন্দোলনের যথেষ্ট ত্যাগ রয়েছে। আপনারা জানেন আমরা বিগত ১৫টি বছর এই জাতীয়তাবাদী দলের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে আমরা এক দাবির আন্দোলনে ছিলাম। এর মধ্যে ছাত্ররা কোটা আন্দোলন শুরু করেছে, তাদের আন্দোলনে পুলিশ হামলা হত্যা শুরু করেছে বিধায় তারা আমাদের একদফায় এসে যুক্ত হয়েছে। আমাদের সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন দীর্ঘদিন ধরে চলমান ছিল। আমাদের এক দফার সাথে যখন ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয় তখন ফ্যাসিবাদের দোসররা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। তাই নিহত, আহত এমনকি যে মা রাজপথে এক গ্লাস পানি নিয়ে এসে সাহায্য করেছে তাকেও অংশীদার মেনে নিতে হবে। এ আন্দোলন কোন একই ব্যক্তি বা দলের নয়।

তিনি আরও বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি দেশের নতুন নতুন দল আসছে, নতুন দল আসলে আমাদের কোন বক্তব্য নেই তবে তারা যদি আন্দোলনকে কুক্ষিগত করতে চায় তাহলে সেটা জনগণ ও আমরা মেনে নেবে না। এই আন্দোলনে আমাদের ৪২২ জন নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। আরো হাজার হাজার নেতাকর্মী পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। যদি আমাদের এই আন্দোলনকে স্মরণীয় করতে হয় তাহলে আন্দোলনের নিহত আহত এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকেই স্মরণ করতে হবে। তারেক রহমান ঘোষণা দিয়েছেন আমরা এই শহীদ এবং নিহত আহতদের পক্ষে আছি। আমারা যদি ক্ষমতায় যেতে পারি তাহলে, তাদের জন্য এমন কিছু স্মরণীয় করবো যেটা দেখে ফ্যাসিবাদের দোসররা সব সময় ভীত হবে। আজ যে সংস্থঅর আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে তাদের প্রতি আহ্বান থাকবে আপনারা বিগত সরকারের আমলে হওয়া সকল দুর্নিত নৈরাজ্য প্রতিরোধ করবেন। মানুষের কিছু হলেই পাশের দেশের চিকিৎসা করতে চলে যায় সেটা সে আস্থার জায়গাটা ফিরে আনতে হবে।

মাসুকুল ইসলাম রাজিব বলেন, চিকিৎসকরা বাংলার মানুষের কাছে একটা আস্থার জায়গা। বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে জনগণ তার প্রাপ্য চিকিৎসা অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। একটি সরকারি ৩০০ শয্যা হসপিটাল থাকা সত্ত্বেও এটাকে দলীয়করণ করে মানুষের সেবাকে একদম নিম্ন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারেক রহমান বাংলাদেশকে বিনির্মাণে যে ৩১ দফা দিয়েছে সেখানে স্বাস্থ্য খাতে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবাকে মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিতে হবে। বাংলাদেশকে বিনির্মানের আমাদের নেতা তারেক রহমান বাংলাদেশের মানুষকে যে স্বপ্ন দেখেছেন, সেটি বাস্তবায়নে আমাদের ভূমিকা রাখতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই কাজ করবো, আল্লাহ যেন আমাদের সেই তৌফিক দেন করেন।


এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, বিএনপি’র পক্ষ থেকে এই জুলাই আগস্ট এর আন্দোলনকে শ্রদ্ধা রেখে ৩৬ দিনের একটি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। জুলাই বিপ্লব একদিনে হয়নি। অনেক গুম, খুন, হত্যা, নির্যাতন, মামলা ও হামলার পর দেশের জনগণ একত্রিত হয়ে জুলাই বিপ্লব সংগঠিত করেছে। এ আন্দোলনে ছাত্র-জনতা যেভাবে ভূমিকা পালন করেছে ঠিক একইভাবে বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা সমভূমিকা পালন করেছে। এই জুলাই আন্দোলনের তুলনামূলকভাবে বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ত্যাগ সবথেকে বেশি। সে সময় আমাদের ৪২২ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে এবং হাজার হাজারজনকে পঙ্গুত্ববরণ করতে হয়েছে। ১৩ জুলাই যখন থেকে আন্দোলন ডানা মিলতে শুরু করে, তখন নারায়ণগঞ্জের সন্ত্রাসী শামীম ওসমানের সেলিম ওসমানের নেতৃত্বে বিএনপিকে দমন করার জন্য পুলিশ গণআটক চালায়। সে সময় সেই আটকের ৯৫ ভাগ ছিল বিএনপি নেতাকর্মী। সেই থেকে ৫ই আগস্ট পর্যন্ত ৫২ টি মামলা দাড় করানো হয়েছে। সে ৫২টি মামলার মধ্যে চল্লিশটির মধ্যেই আসামি আমি, মামুন মাহমুদ, টিপু ও রাজিবসগ আরও বিএনপির নেতাকর্মীরা আছেন।

তিনি আরও বলেন, অনেকেই জুলাই বিপ্লবের নিজের নামে করতে চায়। যদি এই জুলাইয়ের আন্দোলনে সাফলতা অর্জন না করতো তাহলে সেই বায়ান্ন মামলায় আমাদের বিএনপি নেতাকর্মীদের কি অবস্থা হতো সেটা সবার জানা। সে সময় নারায়ণগঞ্জে ৫৫টি খুন হয়েছে, এগুলোর মধ্যে বিএনপির ছাত্রদল যুবদলের নেতাকর্মী বেশি। আর যদি জুলাই আগস্ট সফল না হতো তাহলে সেই পঞ্চান্নটি খুনের মামলায় আমাদের আসামি করা হতো। এ মামলাগুলোতে জেল থেকে আর জীবনেও বের হতে পারতাম কিনা সন্দেহ রয়েছে। আমরা বলছিনা বিএনপির একার অর্জন জুলাই আগস্ট। তবে এ আন্দোলনে ওই আমলের সরকার ব্যতীত সকল রাজনীতিক দল এবং সকল স্তরের জনগণের অংশ ছিল। সকলের ঐক্যবদ্ধ অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে স্বৈরাচারী সরকারের পতন হয়েছে। এখন জনগণের দাবি হলো দীর্ঘ ১৬ বছর যেভাবে তাদের ভোটাধিকার থেকে বিরত রাখা হয়েছে, এখন তারা নির্বাচনের মাধ্যমে এক নির্বাচিত সরকার গঠন করতে চায়। কিন্তু এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি, সরকারের মধ্যে থাকা কিছু কিছু ব্যক্তি এবং নির্বাচন হলে যারা কোন ভোট পাবে না তারা বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। বিভিন্ন ষড়যন্ত্র এবং তথ্য সন্ত্রাস করে বিএনপিকে বদনামের চেষ্টা করার চেষ্টা করছে। তবে বাংলাদেশের মানুষ এই সকল ষড়যন্ত্রকার নস্যাৎ করে দিয়ে, জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে।

এড. আবু আল ইউসুফ খাঁন টিপু বলেন, মানুষের পাঁচটি মৌলিক অধিকার রয়েছে যেমন খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা। এগুলোর মধ্যে জিয়াউর রহমান চিকিৎসা ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। তাই তিনি খানপুর হসপিটালের মতো ৩০০ শয্যা হাসপাতাল নির্মাণ করেছেন। খুনি হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের ইতিহাস বলে শেষ করা যাবে না। যেভাবে বাবা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে সেভাবে মেয়েও গনতন্ত্রকে হত্যা করেছে। যেমন ভাবে বাবা বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিল ঠিক একইভাবে তার মেয়েও বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। যেভাবে ৭২ এর শেখ মুজিবুর জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল ঠিক একইভাবে গত ১৬ বছর শেখ হাসিনা জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। আমাদের মধ্যে কেউ ১৬টি বছর রাতে বাড়িতে ঘুমাতে পারিনি। আমি অসুস্থ বাবার কবরের ও স্ত্রী সন্তানদের খবর নিতে পারিনি। আপনারা জানেন যখন কোটা আন্দোলনের ৬ জন নেতাকে ডিবির কুখ্যাত হারুন ধরে নিয়ে গিয়েছিল এবং আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তখন সারাদেশে কোটা আন্দোলন থমকে গিয়েছিল। কিন্তু আমাদের তারেক রহমান তখন সারাদেশের জনগণের সাথে এই নেতাদের বিভিন্ন উৎসাহ-উদ্দীপনা দিয়ে সহযোগিতা করেছে। শেখ হাসিনা পাশের দেশে পালিয়ে গিয়েও এখনো শান্ত হয়নি, এই বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারকে কিভাবে নামানো যায় সেই ষড়যন্ত্র এখনো করছে। শেখ হাসিনা ওই যুবলীগ নেতা নানককে দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে অনেক অস্ত্র কিনিয়ে নিয়েছে। এগুলো দিয়ে বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন নেতাদেরকে হত্যা করে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করা ষড়যন্ত্র করছে। আমি সকল উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাকে বলব আপনারা সজাগ থাকবেন। যে কোনো সময় তারা অরাজগতা সৃষ্টি করতে পারে।

RSS
Follow by Email