মঙ্গলবার, নভেম্বর ১৯, ২০২৪
Led02জেলাজুড়েফতুল্লারাজনীতি

জিয়া‘র ম্যুরাল পুন:স্থাপনের দাবিতে ডিসির সাথে বিএনপি নেতাদের সাক্ষাৎ

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল পুন:স্থাপনের দাবিতে জেলা প্রশাসকের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন মহানগর বিএনপির নেতৃব্ন্দ। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তারা জেলা প্রশাসকের সাথে সাক্ষাৎ করেন ও জিয়া হলের বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

জেলা প্রশাসকের সাথে সাক্ষাৎ শেষে এড. ইউসুফ খান টিপু বলেন, গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের গডফাদার শামীম ওসমানের নির্দেশে আমাদের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়েছে। গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমরা ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম যে, এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত না নেওয়া হলে আমরা কঠোর কর্মসূচীতে যাব। ৭২ ঘন্টা গতকাল শেষ হয়েছে। এখন পবিত্র রমজান মাস, ঈদের আর বেশি দিন নেই। নারায়ণগঞ্জবাসীর কোন ভোগান্তি যাতে না হয় তাই আমরা কঠোর কর্মসূচীতে এখনও যাই নি। আমরা আজ ডিসি সাহেবের সাথে সাক্ষাৎ করেছি। যথাযথ স্থানে জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল পুন:স্থাপন, জিয়া হল ভেঙে ফেলার কোন সরকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কি না, জিয়া হলের যেন নাম পরিবর্তন না করা হয় এবং সন্ত্রাসী গডফাদার অবৈধভাবে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে, সে হস্তক্ষেপ যাতে না করে সে ব্যাপারে আলাপ করেছি। ঈদের পর অবশ্যই মহানগর ও জাতীয় দলের নেতাদের সাথে কথা বলে রাজনৈতিক কর্মসূচীতে যাব। আমরা ডিসি সাহেবের মাধ্যমে সরকারের কাছে আবদেন করেছি, যাতে জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল যথাস্থানে পুন:স্থাপন করা হয় ও জিয়া হলের নাম পরিবর্তন না করা হয়। আমরা এটাও জানিয়েছি, আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া হলে আমরা রাজপথে নামবো ও কঠোর কর্মসূচীতে যাব।

এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, গত ৩ এপ্রিল যেভাবে আমাদের স্বাধীনতার ঘোষক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভাঙা হয়েছে তার জন্য আমরা ৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে দোষারোপ করি। নারায়ণগঞ্জবাসীও মনে করে এ কাজটি শামীম ওসমান করেছেন। আমরা জেলা প্রশাসকের সাথে সাক্ষাৎ করেছি। উনার সাথে কথা বলে আমরা জানলাম, এ ভবনটির নাম পরিবর্তন করার কোন সরাকারী সিদ্ধান্ত হয় নি। সরকার নাম পরিবর্তনের জন্য কারও উপর কোন প্রকার দায়িত্ব অর্পণ করেন নাই। তবে ভবনটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে বলে জেলা প্রশাসন ভবনটি ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখানে, ৬ দফা মঞ্চ করার কোন সিদ্ধান্ত হয় নি, এ নিয়ে মিথ্যা কথা প্রচার করা হচ্ছে। বালুর মাঠের জায়গায় জিয়া হল না। উনি একটি সেনসিটিভ বিষয়ে বক্তব্য দিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এইখানে অন্য একটি ভবন করার পাঁয়তারা করছেন ও ব্যক্তিগত স্বার্থেই উনি চেষ্টা করছেন। জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার জন্য কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নাই। ভবন ভাঙার সিদ্ধান্ত হয়েছে, কিন্তু নতুন ভবন কি হবে সে সিদ্ধান্ত হয় নাই। এমপি সাহেব যে বক্তব্য দিচ্ছেন, এটা একটা প্রপাগান্ডা। পানি ঘোলা করে মাছ শিকার করার চেষ্টা করছেন। এর জন্য আমরা প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। আমরা জেলা প্রশাসককে অবিলম্বে জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল পুন:স্থাপনের জন্য দাবি জানিয়েছি।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি বলেন, ডিসি সাহেব বলেছেন, জিয়া হল ভেঙে সেখানে নতুন করে কোন ভবন করা হবে না। এ জায়গাটা ওইভাবেই থাকবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস ডিসি সাহেব আমাদের কথা রাখবেন। অন্যরা যারা গুজব ছড়াচ্ছে তা গুজবেই সীমাবদ্ধ থাকবে।

RSS
Follow by Email