সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
Led05বন্দর

জাল দলিল দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ, জমি নিজের দখলে দেখানোর চেষ্টা

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: জাল দলিল দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নূর মোহাম্মদ সিকদার ওরফে ‘গুরু বাবা’র বিরুদ্ধে।

ভুক্তাভোগী জানান, ‘নতুন এই সংযোগটিকে ব্যবহার করা হচ্ছে জমি নিজের দখলে দেখানোর প্রমাণ হিসেবে।’

২০১৭ সালের ২৭ জুলাই নারায়ণগঞ্জ শহরের টানবাজার গাঙ্গলী রোডে ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ জমি আব্দুল গনির ওয়ারিশদের থেকে ক্রয় করে মোহাম্মদপুরের মোরশেদ আহম্মদ।

নারায়ণগঞ্জ ‘ম’ খন্ডের আরএস ১১৬২ দাগের জমিটি মিটিশন করতে গিয়ে জানতে পারেন ব্যাংকে পূর্ব মালিকানার লোন রয়েছে। পরে ব্যাংকের দায়ের করা একটি মামলায় আসামী হন মোরশেদ।

ভুক্তভোগী মো. মোরশেদ আহম্মদ বলেন, টাকার অভাবে মামলা লড়তে না পারায় সহযোগীতা চাওয়া হয় নূর মোহাম্মদ সিকদার ওরফে গুরু বাবার। শত সাপেক্ষে সে কিছু দিন টাকা ও শ্রম দিয়ে মামলা পরিচালনায় সহযোগীতাও করেন। কিন্তু তার ছলচাতুরীর প্রতিবাদ করলে তার আসল চরিত্র প্রকাশ পায়। এখন সেই গুরু বাবাই ভূয়া কাগজপত্র বানিয়ে জমির মালিকানা দাবি করছে।

এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২০২২ সালে ৪ অক্টোবর একটি পিটিশন মোকাদ্দমা শুরু হয়। মামলা নং-৭৩২।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নূর মোহাম্মদ সিকদার ওরফে গুরু বাবা মূলত জমির মালিকা দাবি করছেন ১৯৭৪ সালে তেজগাঁও রেজিস্ট্রেশন কার্যালয়ের ৯৬৭৫ নং দলিল বলে। সেখানে তিনি জমির পূর্বের মালিক আব্দুল গনির কাছ থেকে ক্রয় সূত্রে মালিক দেখিয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হাবিবুর রহমান দলিলের সঠিকতা যাচাই করণের আবেদন করেন তেজগাঁও শিল্প এলাকার রেজিষ্ট্রেশন কমপ্লেক্স ভবনে। সেখানে দায়িত্বরত সদর রেকর্ড রুমের সাব-রেজিস্ট্রার মো. ফারুক হোসেন লিখিত জবাবে (স্মারক নং-১১১২/আর) জানান, নির্ধারিত ভলিউমে ৯৬৭৫ নং দলিলটির কোন তথ্য নেই। কার্যালয়ে রক্ষিত অন্য একটি ভলিয়মে ৯৬৭৫ নং দলিলে জমি, স্থান, দাতা ও গৃহিতার নামের সাথেও মিল নেই।

ভুক্তভোগী মো. মোরশেদ আহম্মদ বলেন, জমিটি দখল দেখাতে তিনি এখন নতুন কৌশল গ্রহণ করেছেন। জাল নামজারী, খাজনা পরিশোধের কাগজ ব্যবহার করে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করেছেন। সেই কাগজ দিয়ে আদালতে নিজ দখলে জমিটি দেখাতে চাইছেন নূর মোহাম্মদ সিকদার।

এদিকে, নূর মোহাম্মদ সিকদার জমিটি বরাবরই নিজের দাবি করে আসছেন। তিনি বলছেন, জমিটি নূর মোহাম্মদ সিকদারের নামে কিনে দিয়ে গেছেন তার বাবা।

RSS
Follow by Email